অধিনায়ক বদলালেও ভাগ্য বদলাল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। শুক্রবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধেও সেই হেরেই বসে থাকল তারা। হায়দরাবাদের ব্যাটাররাই মূলত নিরাশ করে। প্রথমে ব্যাট করে তাঁরা মাত্র ১২১ রান করে। আর লখনউ ১২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, খুব সহজেই ২৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায়।
প্রথম ম্যাচে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি এডেন মার্করাম। তাই তাঁর বদলে দলকে নেতৃত্ব দেন ভুবনেশ্বর কুমার। আর ভুবির নেতৃত্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদ বাজে ভাবে হেরেছিল। লখনউয়ের বিরুদ্ধে মার্করাম দায়িত্ব নেওয়ার পরেও বদলাল না তাদের ভাগ্য। ম্যাচ হেরে হায়দরাবাদ অধিনায়ক ব্যাটারদের উপর ক্ষোভ উগরে দেন। যদিও তিনি নিজেও গোল্ডেন ডাক করে সাজঘরে ফিরেছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌরভ থেকে রানা, প্রজন্ম বদলালেও অটুট RCB-র বিরুদ্ধে নাইটদের বড় জয়ের পরম্পরা
মার্করাম ম্যাচের পর বলেন, ‘পর্যাপ্ত রান করতে পারিনি আমরা। ১৫০-১৬০ রান করার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু পরপর উইকেট হারিয়েছি। যে কারণে স্কোরবোর্ডে রানের গতি বাড়েনি। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, এটি খুব একটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল না। তবে আমরা লড়াই করতে পেরে খুশি। ওদের (লখনউ) বোলাররা পরিস্থিতি অনুযায়ী দুর্দান্ত বল করেছে।’
তিনি বোলারদের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আমাদের বোলাররা ভালো লড়াই করেছে। তবে ওদের লড়াই করার মতো রান আমরা করতে পারিনি। তবু আমাদের বোলাররা ভালো লড়াই করেছে। (পরের ঘরের মাঠে খেলায়) আবারও অন্য পরস্থিতিতে, যদিও আমাদের দল ইতিমধ্যেই সেখানে খেলেছে। পঞ্জাব কিংস খুব ভালো করছে। কিন্তু রবিবার ওদের ধাক্কা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: কী ভাবে করলাম জানি না- RCB বোলারদের ছাতু করার পরেও ঘোর কাটেনি KKR-এর ‘লর্ডে’র
হায়দরাবাদ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২১ রান করে। সর্বোচ্চ ৩৪ (৪১ বলে) করেন রাহুল ত্রিপাঠি। এ ছাড়া ওপেন করতে নেমে অনমোলপ্রীত সিং ২৬ বলে ৩১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। আব্দুল সামাদ ১০ বলে ঝোড়ো ২১ করে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান ওয়াশিংটন সুন্দর। তিনি ২৮ বলে ১৬ করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছতে পারেননি। অধিনায়ক মার্করাম প্রথম বলেই শূন্য করে সাজঘরে ফেরেন। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া তাঁকে বোল্ড করেন। ক্রুনাল মোট ৩ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন অমিত মিশ্র।
রান তাড়া করতে নেমে ১৬ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লখনউ। এলএসজি-র ব্যাটাররাও যে খুব স্বচ্ছন্দে ব্যাট করেছে তা নয়। কেএল রাহুলের ৩১ বলে ৩৫ এবং ক্রুনালের ২৩ বলে ৩৪ রানের পুঁজিকে সম্বল করেই লখনউ ৫ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয়। এ দিন কাইল মেয়ার্সের লড়াকু মেজাজ দেখা যায়নি। তিনি ওপেন করতে নেমে ১৪ বলে ১৩ করে সাজঘরে ফেরেন। এ ছাড়া মার্কাস স্টোইনিসের ১৩ বলে অপরাজিত ১০ এবং নিকোলাস পুরানের ৬ বলে অপরাজিত ১১ লখনউকে ১৬ ওভারে ১২৭ রানে পৌঁছে দেয়। ৫ উইকেটে ম্য়াচ জেতে তারা। হায়দরাবাদের আদিল রশিদ ২টি উইকেট নিয়েছেন।