শুভব্রত মুখার্জি: ১৬ তম আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচের শুরুতেই খারাপ খবর এসেছে সিএসকে সমর্থকদের জন্য। দীর্ঘদিন বাদে ২২ গজে ফিরেছেন তাঁদের ডানহাতি ভারতীয় পেসার দীপক চাহার। আর নামার পরপরেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দীপককে। প্রথম ওভার বল করার সময়েই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আক্রান্ত হন দীপক চাহার। তারপরেই সমর্থকদের আশঙ্কা বাড়িয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
গত বছর ডিসেম্বরে চোটের কবলে পড়েছিলেন দীপক চাহার। চোটের কারণে এরপর মাত্র তিনবার ২২ গজে ক্রিকেট খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আর তিনবারের বার নেমেই হ্যামস্ট্রিং চোট যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রথম ওভারের পঞ্চম বল করার পরেই সমস্যায় পড়েন চাহার। তাঁর বাঁপায়ে সমস্যা অনুভূত হয়। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে দৌড়ে চলে আসেন সিএসকের ফিজিও। সঙ্গে করে বেশ কিছু টেপ নিয়ে আসতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর তাঁর পায়ে 'টেপিং' করেন ফিজিও। খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। এরপর শেষ ওভারে বল করতে আসেন তিনি। চোট নিয়ে কোনওরকমে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে একটি আউট সুইং বল করেন তিনি। যে বলটিকে সোজা বাউন্ডারির বাইরে পাঠান মুম্বইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
এরপরেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন দীপক চাহার। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার চোটের কবলে পড়েছেন দীপক চাহার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার চোটের কবলে পড়েন তিনি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কবলে পড়েন তিনি। এরপর রিহ্যাবের সময়ে ফের পিঠের চোটে আক্রান্ত হন তিনি। ফলে ২০২২ সালেও সিএসকের হয়ে আইপিএলে খেলা হয়নি তাঁর। এরপর জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে জাতীয় দলে ফেরেন তিনি। টি-২০ বিশ্বকাপের দলেও প্রাথমিকভাবে তাঁকে রাখা হয়েছিল। তবে পিঠের চোটের কারণে তাঁকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। এরপরে বাংলাদেশ সিরিজে জাতীয় দলে ফিরলেও মাত্র তিন ওভার বল করার পরেই পিঠের চোটে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। এরপর ২০২৩ আইপিএলে ফিরে আসার পরেও ফের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে মাঠ ছাড়তে হল তাঁকে।
জিও সিনেমাতে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে চাহারের চোট নিয়ে বলতে গিয়ে সিএসকের কিংবদন্তি সুরেশ রায়না জানিয়েছেন, 'দীপক চাহারের চোটটা দেখে মনে হচ্ছে ৪-৫ ম্যাচ অন্ততপক্ষে ওকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। মনে হয়েছে ওর পুরনো হ্যামস্ট্রিং চোটটা ফিরে এসেছে। দীপককে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে এই চোট। চেন্নাই থেকে সমস্ত আইপিএলের ভেন্যুগুলো বেশ দূরে। সেই কারণে বেশি সফর করতে হবে। আর তাতে অস্বস্তি আরও বাড়বে।'