অতি সহজে জয় তুলে নেওয়ার সুযোগ ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে। তবে নিজেদের ভুলেই ম্যাচ জিততে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালাতে হয় তাদের। শেষমেশ চেন্নাইয়ের পরিত্রাতা হয়ে দেখা দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফের একবার ফিনিশারের ভুমিকা নিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নেন মাহি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৭ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। প্রথম বলে আউট হন প্রিটোরিয়াস। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন ব্র্যাভো। সুতরাং, ৪ বলে জিততে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল চেন্নাইয়ের। উনাদকাটের শেষ চারটি বলে যথাক্রমে ৬, ৪, ২ ও ৪ রান সংগ্রহ করে চেন্নাইকে ম্যাচ জেতালেন ধোনি। ফের একবার ম্যাচের একেবারে শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন মাহি।
টস জিতে মুম্বইকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় সিএসকে। তিলক বর্মার অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে মুম্বই ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫৬ রান তুলে নেয়।
চেন্নাই এদিন জঘন্য ফিল্ডিং করে। ক্যাচ মিস করেন জাদেজা, ব্র্যাভো, দুবেরা। সহজ স্টাম্প-আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেন ধোনি। মুম্বইয়ের যেখানে ১০০-র মধ্যেই গুটিয়ে যাওয়া উচিত ছিল, সেখানে তারা দেড়শো রানের গণ্ডি টপকে যায়। তিলক ৫১, সূর্যকুমার ৩২, হৃত্বিক শোকিন ২৫, পোলার্ড ১৪ ও উনাদকাট অপরাজিত ১৯ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি রোহিত ও ইশান। ব্রেভিস ৪ রান করে আউট হন।
মুকেশ চৌধরী ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন। ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন ব্র্যাভো। স্যান্টনার ১৬ রানে ১ উইকেট নেন। ৩৫ রানে ১টি উইকেট দখল করেন থিকসানা।
চেন্নাইয়ের হয়ে উথাপ্পা ৩০, আম্বাতি ৪০, প্রিটোরিয়াস ২২ ও ধোনি অপরাজিত ২৮ রান করেন। ১৩ বলের ইনিংসে ধোনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ড্যানিয়েল স্যামস ৩০ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মুকেশ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।