বোলাররা যতটা ভালো বল করনে, ততটাই খারাপ ফিল্ডিং চেন্নাইয়ের। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে অতি সস্তায় গুটিয়ে দিতে পারত সিএসকে। তবে রোহিত শর্মারা শেষমেশ দেড়শো রানের গণ্ডি টপকে যান মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজা, ডোয়েন ব্র্যাভোদের বদান্যতায়।
ম্যাচে অবিশ্বাস্যরকম খারাপ ফিল্ডিং করে চেন্নাই সুপার কিংস। দ্বিতীয় ওভারে মিচেল স্যান্টনারের দ্বিতীয় বলে (১.২ ওভারে) মহেন্দ্র সিং ধোনি সূর্যকুমার যদবকে স্টাম্প-আউট করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। ধোনিকে এভাবে আগে কবে স্টাম্প-আউট মিস করতে দেখা গিয়েছে, তা মনে করা মুশকিল। সূর্যকুমার তখন ব্যাট করছিলেন ৪ রানে। শেষমেশ তিনি ৩২ রানের যোগদান রাখেন।
স্যান্টনারের সেই ওভারের শেষ বলে (১.৬ ওভারে) ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের সহজ ক্যাচ ছাড়েন জাদেজা। ব্রেভিস তখন ২ রানে ব্যাট করছিলেন। যদিও ব্যক্তিগত ৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান বেবি এবি। তাই তাঁর ক্যাচ ছাড়ার বড়সড় মাশুল চোকাতে হয়নি চেন্নাইকে।
৪.১ ওভারে মুকেশ চৌধরীর বলে তিলক বর্মার ক্যাচ মিস করেন ডোয়েন ব্র্যাভো। তিলক তখন ২ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষমেশ তিনি ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
পরে ১১.৬ ওভারে স্যান্টনারের বলে হৃত্বিক শোকিনের অতি সহজ ক্যাচ মিস করেন জাদেজা। তাঁর মানের ফিল্ডারের এভাবে ক্যাচ মিস করা হাস্যকর মনে হওয়াই স্বাভাবিক। হৃত্বিক তখন ১৪ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষমেশ তিনি ২৫ রানের যোগদান রাখেন।
শেষে ১৮.৪ ওভারে প্রিটোরিয়াসের বলে উনাদকাটের ক্যাচ ছাড়েন শিবম দুবে। উনাদকাট তখন ১ রানে ব্যাট করছিলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
সুতরাং, চেন্নাই এমন ফিল্ডিং মিস না করলে মুম্বইয়ের পক্ষে ১০০ রানের গণ্ডি টপকানোও মুশকিল হয়ে দাঁড়াত। শেষমেশ তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রান তোলে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।