চলতি আইপিএলে বড় রান তাড়া করে জয় তুলে নেওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পরে ব্যাট করে রোহিতরা হেসে খেলে ২০০ রানের গণ্ডি টপকে যাচ্ছেন। তবে মুম্বইকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে। কোনওভাবেই প্রতিপক্ষের সামনে বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দিতে পারছিলেন না হিটম্যানরা।
অবশেষে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠে মুম্বই। চলতি আইপিএলে প্রথমবার শুরুতে ব্যাট করে ২০০ রানের গণ্ডি টপকান রোহিতরা। সৌজন্যে, সূর্যকুমার যাদবের আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম শতরান। টাইটানসের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৪৯ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন সূর্য। যার ফলে মুম্বই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২১৮ রানের বিশাল দলগত ইনিংস গড়ে তোলে।
পালটা ব্য়াট করতে নামা গুজরাট টাইটানসকে ৮ উইকেটে ১৯১ রানে আটকে রেখে ২৭ রানের ব্যবধানে ম্য়াচ জেতে মুম্বই। রশিদ খান ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফর্ম্যান্সে কড়া টক্কার দিলেও শেষমেশ ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সূর্যকুমার।
কীভাবে প্রথমে ব্যাট করে অবশেষে ২০০ টপকাতে সক্ষম হয় মুম্বই, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যাদব ফাঁস করেন সেই রহস্য। তিনি বলেন, ‘বলা যায় যে, এটা আমার অন্যতম সেরা টি-২০ ইনিংস। কেননা যখনই আমি রান সংগ্রহ করি, আমার লক্ষ্য থাকে দলকে জেতানোর। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আজ আমরা শুরুতে ব্যাট করেছি। বিকালে টিম মিটিংয়ের সময় আমাদের আলোচনা হয়েছিল যে, যেভাবে আমরা ২০০ বা তারও বেশি রান তাড়া করতে নামি, ঠিক সেই মানসিকতা নিয়েই ব্যাট করব। শেষ ওভার পর্যন্ত সেই মনোভাবটা ধরে রাখব। শেষমেশ সেটা করতে পারায় খুশি। তাই বলতে পারেন এটা আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা টি-২০ ইনিংস।’
ম্যাচে কভার ড্রাইভের ঢংয়ে অদ্ভুত স্কুপ শটে থার্ডম্যানে একটি ছক্কা মারেন সূর্যকুমার যাদব, যেটি নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। সচিন তেন্ডুলকরকেও সেই শটটি আপ্লুত করে। বিশেষ সেই ছক্কাটি সম্পর্কে সূর্যকুমার বলেন, ‘মাঠে প্রচুর শিশির ছিল। সাত-আট ওভার পর থেকেই শিশিরের প্রভাব দেখা যায়। আমি জানি কোন ধরণের শট খেলতে পারি। তাছাড়া একদিকের বাউন্ডারি ছিল ৭৫-৮০ মিটারের। সেই ওভারে আমি ২টি শটের জন্য তৈরি ছিলাম। থার্ডম্য়ানের উপর দিয়ে স্কুপ শট এবং স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে ফ্লিক শট। আমি সামনে মারার কথা একেবারেই ভাবিনি। আমি এই শটটি আগেও খেলেছি। আমি খুশি শেষমেশ ওটা থার্ডম্যান বাউন্ডারির উপর দিয়ে যাওয়ায়।’