ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে নেমেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। লখনউ যেখানে লিগ তালিকায় উপরে উঠার আশায় ছিল, সেখানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নিজেদের প্রথম জয়ের খোঁজে ছিল। কিন্তু আবারও হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হল মুম্বইকে। লখনউয়ের বিরুদ্ধেও হেরে গেল পল্টনরা।
প্রথম ইনিংসে লখনউ ১৯৯/৪ রান তোলে
টসে জিতে চলতি আইপিএলের প্রথা মতোই প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ফের একবার নতুন বলে একেবারেই কার্যকরী দেখায়নি মুম্বই বোলিংকে। ভাগ্য বদলে নতুন পরিকল্পনা নিতে দেখা যায় রোহিতকে। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ছয় বোলারকে ব্যবহার করেন রোহিত। শেষমেশ ষষ্ঠ ওভারে কুইন্টন ডি'কককে (২৪) ফেরান ফ্যাবিয়েন অ্যালেন। ততক্ষণে অবশ্য ৫২ রান যোগ করে ফেলেছিলেন লখনউ ওপেনাররা। ডি'কক আউট হলেও, ক্রিজে টিকে ছিলেন লোকেশ রাহুল। তাঁকে সঙ্গ দেন মণীশ পান্ডে।
শুরু থেকেই আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছিলেন মণীশ। তিনিও রাহুলের সঙ্গে জুটিতে ৭২ রান যোগ করেন। এই সময়ই ৩৩ বলে রাহুল নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। মণীশ ৩৮ রানে আউট হওয়ার পর, মার্কাস স্টইনিস (১০), দীপক হুডা (১৫) কেউই বড় রান করতে পারেননি। তবে একদিক সামলে রাখা রাহুল অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে ৬০ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ব্যাটে ভর করেই লখনউ চার উইকেটে ১৯৯ রান তোলে। জসপ্রীত বুমরাহ চার ওভারে মাত্র ২৪ রান দিলেও, তিনি উইকেট পাননি। পল্টনদের হয়ে ৩২ রানের বিনিমে দুইটি উইকেট সফলতম বোলার জয়দেব উনাদকাট।
(আইপিএলের টাটকা খবর, সূচি, ফলাফল, পয়েন্ট টেবিল ও দুর্দান্ত সব ছবি দেখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায়)
জেতাতে পারলেন না পোলার্ড, ফের ব্যর্থ রোহিত
মুম্বইকে ২০০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে হলে শুরুটা ভাল হওয়া খুবই জরুরি ছিল। কিন্তু তেমনটা হল না। আবারও ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৬)। তিনি ফিরে গেলে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস তিন নম্বরে নেমে তুখড় ছন্দে ব্যাট করছিলেন। তবে ১৩ বলে ৩১ রান করার পরেই তাঁকে থামিয়ে দেন আবেশ খান। ব্যর্থ ইশান কিষাণও (১৩)। চতুর্থ উইকেটে সূর্যকুমার যাদব (৩৭) ও তিলক বর্মা (২৬) মিলে ৬৪ রান যোগ করেন বটে, তবে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ৪৮ বলের পার্টনারশিপ খুব একটা কার্যকরী ছিল না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুর্দান্ত কিছু করে ম্যাচ শেষ করার দায়িত্ব এসে পড়ে কায়রন পোলার্ডের ঘাড়ে।
জয়দেব উনাদকাটও ৬ বলে ১৪ রানের ক্যামিওতে পোলার্ডকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন বটে। কিন্তু রানের বোঝাটা একটু বেশিই ছিল। সেই চাপেই ধ্বসে গেল মুম্বই। কাজে এল না পোলার্ডের ১৪ বলে ২৫ রানের ইনিংস। ১৮ রানে লখনউয়ের কাছে মাত খেল রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। এ মরশুমে এই নিয়ে ছয়টি ম্যাচ খেলে সবকয়টিতেই হারল পল্টনরা। লখনউয়ের হয়ে ৩০ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নিয়ে দলের সফলতম বোলার আবেশ খানই। এই জয় লোকেশ রাহুলদের আইপিএল লিগ তালিকায় এক ধাক্কায় দুই নম্বরে পৌঁছে দিল। ছয়টি ম্যাচ খেলে চারটিতে জিতেছে তারা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।