বিরাট কোহলির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। ২০২৩ আইপিএলের শেষ ম্যাচে অবশেষে চর্চায় নবীন-উল-হকের বোলিং। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বল হাতে আগুনে মেজাজে ছিলেন নবীন। এলিমিনেটর ম্যাচে চার উইকেট তুলে নেন তিনি।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচে বিরাট কোহলির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন নবীন-উল-হক। সেই ঝামেলা স্মৃতি এখনও টাটকা। সুযোগ পেলেই কোহলিকে এখনও খোঁচা মারেন নবীন। এ বার গৌতম গম্ভীরদের দলের আফগান পেসার রোহিতকে আউট করে যে ভাবে সেলিব্রেশন করলেন, তা নিয়ে শুরু হল নতুন বিতর্ক।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ড আকাশের, ভাঙলেন ১৪ বছর আগের কুম্বলের নজিরও
বুধবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এলিমিনেটরের ম্যাচে খেলতে নেমেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। সেই ম্যাচেই নবীন-উল-হকের অদ্ভূত সেলিব্রেশন নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। লোকেশ রাহুল আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। দলের নিয়মিত অধিনায়ক না থাকলেও, রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফিরিয়ে তাঁর নকল করেই সেলিব্রেশনে মাততে দেখা গেল নবীনকে।
নবীন এ দিন প্রথম উইকেট নেন রোহিতের। ১১ রানের মাথায় মুম্বইয়ের অধিনায়ককে আউট করে দু’কানে আঙুল গুঁজে উল্লাস করতে দেখা যায় নবীনকে। লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল সাধারণত এই ভঙ্গিতে সেলিব্রেশন করেন। কানে আঙুল দেওয়ার অর্থ, কোনও সমালোচনা কানে না নিয়ে নিজের কাজ করছেন তিনি।
নবীন সাধারণত উইকেট নেওয়ার পরে শার্টের কলার তুলে উল্লাস করে থাকেন। কিন্তু এই ম্যাচে অন্য ভাবে উল্লাস করেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। নবীনের এই ভঙ্গি পছন্দ হয়নি সুনীল গাভাসকরের। তিনি সেই সময় ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন। গাভাসকর বলেন, ‘নবীনের বোধহয় দর্শকদের সঙ্গে কোনও সমস্যা রয়েছে। নইলে কেন কেউ কান বন্ধ করে উল্লাস করবে। সাফল্য পেলে তো কান খুলে উল্লাস করা উচিত। দর্শকদের চিৎকার কানে ঢুকলে আরও বেশি আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কিন্তু বার বার দর্শকদের সঙ্গে বিবাদ করছে নবীন। এটা ভালো নয়।’
এদিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে বল হাতে বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন এই আফগান তারকা। ৪ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন নবীন। লখনউ বোলারদের মধ্যে যশ ঠাকুর ছাড়া তিনিই সবচেয়ে উজ্জ্বল। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথম ধাক্কা দেন নবীন। ফেরান ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে।
আরও পড়ুন: ভারতীয়দের মধ্যে IPL-এর ৫০ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান, সচিনের রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিলেন রুতুরাজ
এর পর তাঁর শিকার হলেন একে একে সূর্যকুমার যাদব এবং ক্যামেরন গ্রিন। এই দুই বিধ্বংসী ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল মুম্বই। নবীনের শেষ শিকার তিলক বর্মা। তবে আফগান পেসারের বিক্রম শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি লখনউয়ের। আকাশ মাধওয়ালের পাঁচ উইকেটের সঙ্গে, রানআউটের ধুম (এসএসজি-র ইনিংসে তিনটি রান আউট হয়), যার নিটফল তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে লখনউয়ের ব্যাটিং লাইন আপ। ৩.৩ ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন আকাশ। সর্বাধিক ৪০ রান মার্কাস স্টোইনিসের। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। সেখানেই পিছিয়ে পড়ে লখনউ। ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হার এবং আইপিএল থেকে এ বারের মতো বিদায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।