২০০৮ সালে উদ্বোধনী বছরে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হল রাজস্থান রয়্যাল। এরপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। কিন্তু আর চ্যাম্পিয়ন হয়নি রাজস্থান। অধিনায়ক বদল হয়েছে। এসেছে নতুন কোচও। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। তবে গত মরশুমে ট্রফির একেবারে কাছে গিয়েও তা হাতছাড়া হয়। গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে হারতে হয় সঞ্জু স্যামসনের দলকে।
এবারও তাদের সামনে সেই সুযোগ রয়েছে। যে গতিতে এগিয়ে চলেছে রাজস্থান রয়্যালস, তাতে সঞ্জুদের প্লেঅফে দেখলে অস্বাভাবিক কিছু থাকবে না। কারণ এখনও পর্যন্ত ৮ ম্যাচের মধ্যে ৫ ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। এই মুহূর্তে বেশ ছন্দে রয়েছে সঞ্জুর দল।
হার-জিত: ৮ ম্যাচের মধ্যে ৫ ম্যাচে জিতেছে রাজস্থান রয়্যালস। মাত্র ৩ ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে পেয়েছে তারা।
পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান: ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী: এখনও পর্যন্ত রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন জস বাটলার। ৮ ম্যাচ খেলে তাঁর সংগ্রহ ২৭৭ রান।
সর্বাধিক উইকেটশিকারি: এখনও পর্যন্ত রাজস্থানের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। ৮ ম্যাচ খেলে চাহাল উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১২টি।
সব থেকে বেশি ছক্কা: রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন শিমরন হেটমেয়ার। এখনও পর্যন্ত তিনি ১৫টি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।
সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস: রাজস্থান রয়্যালস সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান তোলে।
ঘরের মাঠে জয়: এখনও পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ জিতেছে রাজস্থান রয়্যালস। যার মধ্যে মাত্র ২টি হোম ম্যাচ জিতেছে সঞ্জু স্যামসনের দল।
অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়: রাজস্থান রয়্যালস এখনও পর্যন্ত ৩টি অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, গুজরাট টাইটানস, চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখেছে।
ঘরের মাঠে হার: পঞ্জাব কিংস এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হারের মুখ দেখতে হয়েছে রাজস্থানকে।
অ্যাওয়ে ম্যাচে হার: এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র অ্যাওয়ে ম্য়াচে হারতে হয়েছে রাজস্থানকে। আরসিবির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারতে হয় সঞ্জুর দলকে।
প্রথমে ব্যাট করে জয়: প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এখনও পর্যন্ত ৪টি ম্য়াচ জিতেছে রাজস্থান। প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান করে তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩১ রানে শেষ হয়ে যায় হায়দরাবাদের ইনিংস। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তোলে রাজস্থান। ১৪২ রানেই শেষ হয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। ৫৭ রানে ম্য়াচ জিতে নেয় সঞ্জু স্যামসনের দল। ঠিক পরের ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান তোলে রাজস্থান। চেন্নাই ১৭২ রানে তাদের ইনিংস শেষ করে। ফের চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধেই প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০২ রান তোলে রাজস্থান। সেই ম্যাচে ১৭০ রানে অলআউট হয়ে যায় লিএসকে। ৩২ রানে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান।
রান তাড়া করে জয়: শুধুমাত্র একটি ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে জয়ের মুখ দেখেছে রাজস্থান। গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ১৭৭ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল হাতে থাকতেই ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য নির্ধারিত রান তুলে নেয় তারা।
প্রধান সমস্যা: এখনও পর্যন্ত দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ৮ ম্যাচের মধ্যে ৫ ম্যাচই জিতেছে তারা। প্লেঅফে টিকিট পাওয়ার অন্যতম দাবিদার এই রাজস্থান। তবে এই দলে ব্যাটাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে চলেছেন। তবে সেই সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ফিল্ডিং নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। যা সমস্যায় ফেলছে দলকে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু বোলারের অফ ফর্মও ভোগাচ্ছে রাজস্থানকে।
সমাধানের উপায়: গতবারের মতো এবারও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে রাজস্থান। গতবারের একই ভুল এবার আর তারা করতে চাইবে না। বরং বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেই সব সমাধান করে প্লেঅফের দিকে এগিয়ে যেতে মরিয়া সঞ্জুর দল।
(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।