পাহাড়ে ঘেরা ধরমশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় পঞ্জাব কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালস। গতবারের রানার্সরা এবারও প্লেঅফের টিকিট পাকা করে নিতে মরিয়া। যদিও টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই প্রথম চারের মধ্যেই ছিল সঞ্জু স্যামসনের দল। কিন্তু টুর্নামেন্ট যত গড়িয়েছে সাপ লুডো খেলা জমে উঠেছে। অনেক দলই পরপর ম্যাচ হেরে নেমে গিয়েছে। আবার কেউ উপরের দিকে উঠে গিয়েছে। তেমনই রাজস্থানও পরপর কিছু ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
প্রথমে টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ধাওয়ানদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়ে পুরোপুরি ভাবে অ্যাডভান্টেজ তুলে নেয় রাজস্থান। তবে শুরুতে সেই ভাবে চালিয়ে না খেললও, একেবারে শেষের দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন স্যাম কারান এবং শাহরুখ খান। কারান ৩১ বলে ৪টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। পাশাপাশি শাহরুখ খান ২৩ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। শাহরুখ খানের এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে পঞ্জাব কিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস শুরুতেই ধাক্কা খায় বাটলারের উইকেট হারিয়ে। খাতা না খুলেই ফিরে যান তিনি। যদিও যশস্বী জয়েসওয়াল ৩৬ বলে ৫০ রান করে দলের প্রথমিক ধাক্কা সামলে এগিয়ে দেন। যশস্বীর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও দেবদূত পাডিক্কাল ৫টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় রাজস্থান। সিমরন হেটমেয়ার ব্যাট করতে নেমে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। কিন্তু স্যাম কারানের বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ঝাপিয়ে ক্যাচ ধরে নেন পঞ্জাব অধিনায়ক। হেটমেয়ার ৪টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে ৪৬ রান করেন। শেষ ওভারে টানটান উত্তেজনা দেখা দেয়। ২ বল হাতে থাকতেই ৬ উইকেটে জয়ের নির্ধারিত রান তুলে নেয় রাজস্থান।
তবে এই ম্যাচে জঘন্য ফিল্ডিং করতে দেখা যায় পঞ্জাবের ক্রিকেটারদের। যা দেখে বিরক্ত পঞ্জাব অধিনায়ক ধাওয়ানও। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'এই ম্যাচে আমরা অনেক ক্যাচ এবং ফিল্ডিং মিস করেছি। এত ক্যাচ মিস করলে কোনও ম্যাচ জেতা যায় না। পাওয়ার প্লেতেও আমরা অনেক উইকেট হারিয়ে ফেলি। যা আমাদের ব্যাকফুটে ফেলে দেয়। তবে শাহরুখ, কারান এবং জীতেশ খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। বোলাররাও নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। তবে ফিল্ডিং খুব একটা ভালো হয়নি আমাদের। এই পিচে ২০০ রান হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।'
ধাওয়ান আরও বলেন, 'আমি মনে করি অনেক জায়গা আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। কখনও ব্যাটিং ভালো হয়েছে, আবার কখনও বোলিং। আমরা ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারিনি। তবে এটি একটি তরুণ দল, তাই এই মরশুমে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। অধিনায়ক হিসাবেও অনেক কিছু শিখতে পারলাম। আশা করব পরের মরশুমে আরও ভালো ভাবে ফিরে আসতে।'
(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl)