দল জিতলেও লজ্জার নজির গড়ে ফেললেন রোহিত শর্মা। বুধবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শূন্য করার রেকর্ড গড়েন রোহিত। তিনি স্পর্শ করেন দীনেশ কার্তিক, সুনীল নারিন এবং মনদীপ সিং-কে। যাঁরা প্রত্যেকেই আইপিএলে ১৫বার করে শূন্য হাতে সাজঘরে ফিরেছেন।
পঞ্জাব কিংসের দেওয়া ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুম্বই। মুম্বইয়ের ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। ঋষি ধাওয়ানের বলে তিনি ম্যাথু শর্টকে ক্যাচ দেন। মুম্বই তখনও রানের খাতাই খোলেনি। তিন বল খেলে একটিও রান না করে আউট হন রোহিত। সেই সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে ১৫তম বার ডাক করার নজির গড়েন তিনি।
তবে রোহিত দ্রুত আউট হলেও, সেই ধাক্কা সামলে নেন ইশান। পরে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন সূর্যকুমার যাদব। এবং শেষ পর্বে তিলকের ঝড়ে ‘পঞ্জাব-বধ’ সুসম্পন্ন করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
আরও পড়ুন: শিখরের পরামর্শ শুনে মোটেও ভুল করেননি রোহিত, ৬ উইকেটে পঞ্জাবকে গুঁড়িয়ে দিল মুম্বই
বুধবার মোহালিতে আইপিএলের ৪৬তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পঞ্জাব কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে বড় রানের লক্ষ্য ঝুলিয়ে দেয় পঞ্জাব কিংস। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে শিখর ধাওয়ানের টিম। শুরুর দিকে পঞ্জাব কিছুটা নড়বড় করলেও, চতুর্থ উইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জিতেশ শর্মা মিলে অপরাজিত ১১৯ রানের পার্টনারশিপ করেন। তাও মাত্র ৫২ বলে।
লিয়াম লিভিংস্টোন একেবারে ঝড় তোলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন জিতেশ। ৪২ বলে ৮২ করে অপরাজিত থাকেন লিভিংস্টোন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার এবং ৪টি ছক্কা। আর ২৭ বলে ৪৯ করে অপরাজিত থাকেন জিতেশ। তিনি ৫টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান। এ ছাড়া ওপেন করতে নেমে ২০ বলে ৩০ করেন শিখর। ২৬ বলে ২৭ করেন ম্যাথু শর্ট। মুম্বইয়ের পিযূষ চাওলা ২ উইকেট নিয়েছেন। ১ উইকেট নিয়েছেন আর্শাদ খান।
আরও পড়ুন: এক ওভারে ২৭ রান বিলিয়ে লজ্জায় ডুবলেন, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড করলেন জোফ্রা
রোহিত দ্রুত আউট হলেও দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে চলেন ইশান। শুরুটা কিছুটা মন্থর হলেও ধীরে ধাীরে খোলস ছেড়ে বের হন ইশান। বিশেষ করে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে তাঁর পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা ১১৬ রানের পার্টনারশিপ করেন। সূর্য ৩১ বলে ঝোড়ো ৬৬ রান করেন। আর ইশান ৪১ বলে ৭৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তাঁরা দু'জনে মিলেই মুম্বইয়ের জয়ের ভিত তৈরি করে দেন। তিনে ব্যাট করতে নেমে ক্যামেরন গ্রিন ১৮ বলে ২৩ করেছিলেন।
দুই তারকা সাজঘরে ফিরে গেলেও বাকি কাজটা করেন তিলক বর্মা এবং টিম ডেভিড মিলে। তিলকের ১০ বলে ঝোড়ো ২৬ রানের ইনিংসই জয় এনে দেয় মুম্বইয়ের। তিলক ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শেষ করেন। তিলকের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন টিম ডেভিড। ১০ বলে ১৯ করেন ডেভিড। ১৮.৫ বলে ৪ উইকেটে ২১৬ রান করে ফেলে মুম্বই। বড় রান তাড়া করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে বড় জয় ছিনিয়ে নেয় রোহিত ব্রিগেড। পঞ্জাবের নাথান এলিস ২ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ঋষি ধাওয়ান এবং আর্শদীপ সিং।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।