বিরাট কোহলির মতো প্লেয়ার রয়েছে যে দলে, যে দলের বিশাল ফ্যানবেস রয়েছে, সেই দলের হয়ে খেলাটা প্রত্যেক ক্রীড়াবিদের স্বপ্ন। উঠতি অলরাউন্ডার মহিপাল লোমরোর কাছেও আরসিবি-র হয়ে খেলাটা কার্যত স্বপ্নপূরণ। ২০২২ সালের মেগা নিলামেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর তাঁকে দলে নিয়েছিল। আর এর জন্য লোমরোর নিজেকে গর্বিত ব্যক্তিদের মধ্যে বিবেচনা করে থাকে।
আরসিবি-র বোল্ড ডায়রিজের শেষ পর্বে কথা বলার সময়ে লোমরোর ২০২২ আইপিএল নিলামের স্মৃতি হাতড়েছেন। আরসিবি যখন তাঁকে কিনেছিল, সেই মুহূর্তের কথা মনে করে নস্ট্যালজিক হয়েছেন। এবং তিনি বলেছেন যে, আইপিএলে বিরাট কোহলির দলের অংশ হতে পেরে তিনি খুবই গর্বিত।
আরও পড়ুন: কমলা টুপির তালিকায় বড় লাফ দিলেন সূর্য, বেগুনি টুপির দখল নিলেন রশিদ
লোমরোর বলেছেন, ‘নিলাম থেকে আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। আমি যে ২-৩টি ট্রায়াল দিয়েছিলাম, সবগুলোই খুব ভালো হয়েছিল। এমন কী আগের আইপিএল মরশুমেও আমি ৪-৫টি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ভালো পারফর্ম করেছিলাম। সেটা আমি আশা করেছিলাম, যে কোনও দল আমাকে বেছে নেবে। তাই যখন আরসিবি আমাকে সই করেছিল, তখন আমি মনে মনে ভেবেছিলাম যে, বিরাট কোহলির মতো প্লেয়ারের সঙ্গে একই দলে খেলব, যে দলটির এত বড় নাম এবং ফ্যানবেস রয়েছে, আমি গর্ব বোধ করেছিলাম।’
২৩ বছর বয়সী এই টুর্নামেন্টের চলতি সংস্করণে ৯ ইনিংসে মোট ১৩৩ রান সংগ্রহ করেছেন এবং সম্প্রতি তিনি দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি করে সকলের নজর কেড়েছেন।
আরও পড়ুন: MI জিতে তিনে লাফ, কঠিন হল RR, LSG এবং RCB-র পথ
নিজের ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে লোমরর মন্তব্য, ‘সেই ম্যাচের আগে, আমি খুব বেশি রান করিনি তাই স্পষ্টতই আমি দলের জন্য কিছু অবদান রাখতে এবং তাদের জয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। দুই বলে দুই উইকেট হারানোর পর যখন আমি সেই সুযোগটা পেয়েছিলাম, তখন আমার সামনে একটাই পথ খোলা ছিল। ফলাফল নিয়ে চিন্তা না করেস সেই পরিস্থিতিতে নিজের প্রতিক্রিয়া দেখানো।’
লোমরোর বাবা-মাও, যারা সেই এপিসোডে উপস্থিত হয়েছিলেন, তাঁরা একেবারে উচ্ছ্বসিত। ছেলেকে নিয়ে আবেগপ্রবণ ছিলেন তাঁরা। জানা গিয়েছেন, ছেলের খেলা চলাকালীন লোমরোর মা পূজোর ঘরে প্রার্থনা করেন। খেলা দেখেন না।
মহিপালের বাবা কৃষাণ কুমার লোমরোর বলেছেন, ‘বিরাট স্যারের সঙ্গে ওকে খেলতে দেখে আমরা খুব খুশি। আমরা ওর কৃতিত্বের জন্য খুব গর্বিত এবং ওকে একদিন ভারতের হয়ে খেলতে দেখলে খুশি হব।’