শুভব্রত মুখার্জি: কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অন্যতম মালিক বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের একটি সিনেমার বহুল প্রচলিত সংলাপ 'রাহুল নাম তো সুনা হি হোগা'। অনেকটা সেই কায়দাতেই কলকাতা বনাম দিল্লির এলিমিনেটরের শেষ ওভারে ছয় মেরে কলকাতাকে জয় এনে দিলেন কেকেআরের রাহুল। ডান হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার রাহুল ত্রিপাঠি লং অফের উপর দিয়ে অশ্বিনকে সোজা পাঠিয়ে দিলেন মাঠের বাইরে। আর সেই সাথে দলের ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করলেন তিনি। ম্যাচ শেষে ত্রিপাঠির সহজ সরল স্বীকারোক্তি, ১৮তম ওভারটা রাবাডা অসাধারণ বল করেছে। ম্যাচ এতদূর গড়াবে, সেটা তারা আশা করেননি।
ত্রিপাঠি জানান, 'অসাধারণ অনুভূতি। জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অন্যতম কঠিন জয়। ম্যাচ এতদূর গড়াবে, আশা করিনি। ১৮তম ওভারটা রাবাডা দারণ বল করেছিল। আমাকে একটা ব্যাটে বল সঠিক কানেক্ট করতে হত তা হলেই ম্যাচ আমাদের দখলে আসত। আর সৌভাগ্যবশত আমি সেটাই করতে সক্ষম হয়েছি। লকির সাথে আমার যে কথাবার্তা হয়েছিল তাতে আমি বলেছিলাম দু রানের সুযোগ থাকলে তা আমরা নেব। এই উইকেটে এসেই স্ট্রোক খেলাটা খুব কঠিন। বল খুব নীচু হয়ে আসছিল। প্রথম পর্যায়ের পরে আমাদের স্পিরিট একটু কম ছিল। কিন্তু আমরা সবসময় পজিটিভ টাই ভেবেছি। ফাইনালে যেতে পেরে আমরা খুব খুশি।'
উল্লেখ্য ১৩৬ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামা কেকেআরকে এক অসাধারণ ওপেনিং জুটি উপহার দেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং শুভমন গিল। ৯৬ রান ওঠে প্রথম উইকেট জুটিতে। এরপরেই কেকেআরের মিডল অর্ডারে কিছুটা ছন্দপতন হলে যে ম্যাচ একটা সময় তারা সহজেই জিতবে মনে হয়েছিল তা গড়ায় শেষ ওভারে। শেষ ওভারে ও অশ্বিন দুরন্ত বোলিং করে পরপর দুবলে শাকিব এবং নারিনকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। তবে ২ বলে ৬ রান বাকি থাকা অশ্বিনকে মাথার উপর দিয়ে সোজা ওভার বাউন্ডারি মেরে কেকেআরকে ম্যাচ জেতান ত্রিপাঠি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।