বুধবার (৪ মে) পুণের ময়দানে লিগ তালিকায় ছয়ে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হয়েছিল নয় নম্বরে থাকা চেন্নাই সুপার কিংস। প্লে-অফের দৌড়ে থাকতে দুই দলেরই এই ম্যাচে জয় একেবারে জরুরি ছিল। সেই লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছিল দুই দল।
টসে জিতে চলতি ধারা বজায় রেখে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে বল হাতে শুরুটা কিন্তু তাঁর দল খুব একটা ভাল করেনি। আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ ডু'প্লেসি খুব বেশি রান না করলেও, ২২ বলে ৩৮ রানের তাঁর ইনিংস দলকে ভাল শুরু দিয়ে যায়। বিরাট কোহলি ৩০ রান (৩৩ বল) করলেও, তাঁকে একেবারেই ছন্দে দেখায়নি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ৩ রানেই সাজঘরে ফেরেন। তবে আরসিবির হয়ে মিডল অর্ডারে মহিপাল লোমরোর ও রজত পাতিদার বেশ ভাল ব্যাটিং করে দলকে মজবুত জায়গায় এনে দেন।
লোমরোর করেন ৪২ ও পাতিদারের সংগ্রহ ২৬। শেষের দিকে ফিনিশারের ভূমিকায় আবারও একবার জ্বলে উঠে দীনেশ কার্তিকের ব্যাট। ১৭ বলে ২৬ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ডোয়েন প্রিটোরিয়াসের বিরুদ্ধে ১৬ রান করেন কার্তিক। তাঁর সুবাদেই নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটের বিনিময়ে ১৭৩ রান তোলে আরসিবি। সিএসকের হয়ে বল হাতে মাহিশ থিকসানা ২৭ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার।
জবাবে সিএসকের হয়ে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়েও অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়ে শুরুটা ভালই করেন। রুতুরাজ ২৮ রানে আউট হয়ে গেলেও কনওয়ে লাগাতার নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতরান করেন। কনওয়ের ৫৬ রানের পাশাপাশি মইন আলি ৩৪ রান করলেও, সিএসকের হয়ে গোটা মিডল অর্ডারই ব্যর্থ। জাদেজা ও ধোনি যথাক্রমে দুই ও তিন রানে আউট হন। এর জেরেই শেষের দিকে একেবারেই আরসিবিকে চাপে ফেলতে পারেনি সিএসকে। শেষমেশ ১৩ রানে পরাজিত হতে হয় হলুদ ব্রিগেডকে।
আরসিবির হয়ে হার্ষাল সর্বাধিক তিন উইকেট নিলেও, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও চার ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। জোস হ্যাজেলউড এক উইকেট নিয়ে মাত্র ১৯ রান দেন। এই ম্যাচ জিতে আরসিবি প্লে-অফের দৌড়ে অক্সিজেন পেল। অপরদিকে, সিএসকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সিএসকের প্লে-অফে যাওযার আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।