শুভব্রত মুখার্জি: চলতি আইপিএলে শুরুটা অত্যন্ত খারাপ হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস দলের। প্রথম পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছিল তারা। সেখান থেকে অনবদ্য কামব্যাক করেছে। নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচে তারা চারটিতেই জিতেছে। ফলে এখনও বেঁচে রয়েছে তাদের প্লে অফে যাওয়ার আশা। দলে কিপার ব্যাটার ফিল সল্টের অন্তর্ভুক্তি আমুল বদলে দিয়েছে দলটাকে। শনিবার রাতে যার সাক্ষী থেকেছেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকেরা। এক রুদ্ধশ্বাস রান তাড়ার সাক্ষী থেকেছেন সমর্থকেরা। ১৮০-এর উপর স্কোর দাপটের সঙ্গে তাড়া করে ম্যাচ জিতে নয়া নজির গড়ে ফেলেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
আইপিএলে ১৮০ বা তার বেশি রান তাড়া করে একাধিক বল হাতে রেখে জয়ের ক্ষেত্রে নয়া নজির গড়েছে দিল্লি। ২০ বল বাকি থাকতে ম্যাচ পকেটে পুড়ে অনন্য নজিরের তালিকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম। এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে ২০১৪ সালের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচ। ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে মুম্বই জিতেছিল ৩২ বল বাকি থাকতে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২০১৭ সালের কেকেআর বনাম গুজরাট লায়ন্সের ম্যাচ। যেখানে কেকেআর ১৮৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জিতেছিল ৩১ বল বাকি থাকতে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম পঞ্জাব কিংসের ম্যাচ। ২০১৭ তে যে ম্যাচে ২৭ বল বাকি থাকতে ১৯৯ রান করে জিতেছিল মুম্বই।
আরও পড়ুন: শামিকে টপকে বেগুনি টুপির মালিক তুষার, ৫০০-র গণ্ডি টপকে কমলা টুপির দখল নিলেন ফ্যাফ
এই তালিকাতেই চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ২০২৩ সালের আরসিবি বনাম দিল্লি ম্যাচটি। যে ম্যাচে ১৮২ রান তাড়া করে ২০ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি। এ দিনের ম্যাচে ফিল সল্ট মাত্র ৪৫ বলে ৮৭ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন মিচেল মার্শ (২৬) এবং রিলি রসউ (অপরাজিত ৩৫)। ফলে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিল্লি। এর আগে আরসিবি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করেছিল। মাহিপাল লোমরর ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। বিরাট কোহলি ৫৫ এবং ফ্যাফ ডু'প্লেসি ৪৫ রান করেন।