RCB vs KKR:হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে RCB-কে জয় এনে দিলেন প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক কার্তিক
Updated: 30 Mar 2022, 11:57 PM IST- শেষ ওভারে পরপর দুই বলে ছয় ও চার হাঁকিয়ে আরসিবিকে জেতালেন দীনেশ কার্তিক।
মরশুমে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। গোটা ম্যাচ জুড়েই বোলারদের দাপট দেখা গেল। আরসিবির হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার চার ও আকাশ দীপের তিন উইকেটের দৌলতে কোনও সময়ে বড় রানের দিকে এগোতে পারিনি কেকেআর। খুড়িয়ে খুড়িয়ে ১২৮ রান করার পরে অবশ্য নাইট বোলাররা জ্বলে উঠেন। টিম সাউদির তিন ও উমেশ যাদবের দুই উইকেটে ভর করে এক অবিশ্বাস্য জয় প্রায় ছিনিয়ে নিচ্ছিল নাইটরা। তবে শেষ পর্যন্ত মাথা ঠান্ডা রেখে আরসবিরি হয়ে ম্যাচ করে নেন প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।
শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে আরসিবির জয় সুনিশ্চিত করলেন প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। চার বল বাকি থাকতেই তিন উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল আরসিবি।
ম্যাচে নিজের প্রথম ওভার বল করতে এসে বেশ ভালই বল করছিলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। তবে শেষ বলে চার মেরেই আবার সমীকরণ বদলে দিলেন হার্ষালয ওভারে উঠল ১০ রান। শেষ ওভারে আরসিবির জয়ের জন্য ৭ রান চাই। বর্তমান স্কোর ১২২-৭।
দুর্দান্ত ওভার সাউদির, সাত রান দিয়ে দুই উইকেট নিলেন টিম সাউদি। ১৮ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ১১২-৭। দুই ওভারে আরসিবির জয়ের জন্য ১৭ রান প্রয়োজন।
ওভারের চতুর্থ বলে চার মারার পরের বলেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ৪ রানে (৩ বল) সাজঘরে ফেরত পাঠালেন সাউদি। ১১১ রানে সপ্তম উইকেট হারাল আরসিবি।
তুখড় ক্যাচ শেল্ডন জ্যাকসনের। ২৮ রানে (৪০ বল) রাদারফোর্ডকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচে আবার রুচি ফিরিয়ে আনলেন সাউদি। ১০৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল আরসিবি।
১৭ তম ওভারে মাত্র চার রান দিলেন সুনীল নারিন। আরসিবির স্কোর ১০৫-৫। জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে ২৪ রান করতে হবে আরসিবিকে।
আগের বলেই বরুণের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসে লম্বা ছক্কা হাঁকানোর পর ১৬তম ওভারের শেষ বলে পুনরায় ছয় মারতে উদ্যত হন শাহবাজ। তবে তিনি সম্পূর্ণভাবে বল মিস করে ২৭ রানে (২০ বল) স্টাম্প আউট হলেন। ১০১ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল আরসিবি। ক্রিজে নতুন ব্যাটার দীনেশ কার্তিক।
উমেশ এবং সাউদি পরপর দুটি ভাল ওভার বল করলেন। দুই ওভারে উঠল মাত্র আট রান। আরসিবি ম্যাচ জয়ের ফেভারিট হলেও, এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কেকেআর। ১৫ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ৯৩-৪। শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান দরকার আরসিবির।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেও এই পিচে ঠিক লেংথে খুঁজে পেলেন না রাসেল। তাঁর ওভারে উঠল ১৫ রান। শাহবাজ দুই ছক্কা হাঁকান রাসেলকে। ১২ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ৮৫-৪।
১২তম ওভারে উঠল আট রান। আরসিবির বর্তমান স্কোর ৭০-৪। আট ওভারে আরসিবির জয়ের জন্য আর ৫৯ রান দরকার।
১৮ রানে (২৮ বল) উইলিকে ফেরালেন নারিন। ১১তম ওভারের শেষ বলে ৬২ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল আরসিবি। ক্রিজে নতুন ব্যাটার শাহবাজ আহমেদ।
১০ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ৫৯-৩। শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য আরসিবির ৭০ রান দরকার।
দুর্দান্ত ওভার করলেন সুনীল নারিন। তাঁর ওভারে উঠল মাত্র ১ রান। নয় ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ৫৩-৩। উইলির স্কোর ১৩ (২১ বলে), রাদারফোর্ডও ১৩ রানেই (২০ বলে) ব্যাট করছেন।
বরুণ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ১২ রান তুলে অষ্টম ওভারে ৫০-র গণ্ডি টপকাল আরসিবি।
সুনীল নারিনের নিজের প্রথম ওভারে উঠল চার রান। সাত ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ৪০-৩।
নিজের প্রথম ওভারে ১১ রান দিলেন রাসেল। পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেটের বিনিময়ে ৩৬ রান তুলল আরসিবি। উইলি খেলছেন ৬ রানে (১১ বল), রাদারফোর্ডের সংগ্রহ ৪ রান (১২ বল)।
পঞ্চম ওভারে ১ রান দিলেন উমেশ। ৫ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ২৫-৩।
আরসিবি ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাত্র দুই রান দিলেন টিম সাউদি। চার ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ২৪-৩।
কেকেআরের আগুনে বোলিং অব্যাহত। তিন ওভারে ২২ রান তুললেও আরসিবি ইতিমধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার শেরফান রাদারফোর্ড ও ডেভিড উইলি।
পরপর দুই বলে দুই উইকেট। ডু'প্লেসির পরের বলেই আউট বিরাট কোহলি। ১২ রানে (৭ বল) তাঁকে সাজঘরে ফেরালেন উমেশ যাদব। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেলেন উমেশ। ১৭ রানে তিন উইকেট হারাল আরসিবি।
দারুণ স্টার্ট কেকেআরের। প্রথম ওভারে অনুজ আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে আরসিবি অধিনায়ক ডু'প্লেসিকে ৫ রানে (৪ বল) ফেরালেন টিম সাউদি।
এক উইকেট হারালেও ব্যাটে নেমেই প্রথম দুই বলে দুইটি চার মেরে দারুণ শুরু করলেন কোহলি। প্রথম ওভারে আরসিবি মোট ১০ রান তুলল।
আরসিবির বিরুদ্ধে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই অনুজ রাওয়াতকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরালেন উমেশ যাদব। ক্রিজে নতুন ব্যাটার বিরাট কোহলি। ১ রানে প্রথম উইকেট হারাল আরসিবি।
ম্যাচে নিজের তৃতীয় উইকেট নিলেন আকাশ দীপ। ১২ বলে ১৮ রান করে আউট হলেন উমেশ যাদব। ১২৮ রানে অল আউট হয়ে গেল কেকেআর। শেষ উইকেটে অবশ্য ২৭ রান যোগ করে কেকেআর। তবে নির্ধারিত ২০ ওভারের সাত বল আগেই অল আউট হয়ে গেল কেকেআর।
১৮তম ওভারে হার্ষালকে দু'টি চার মেরে ওভার থেকে আট রান তুললেন বরুণ চক্রবর্তী কেকেআরের স্কোর ১১৮-৯।
সিরাজের ১৭তম ওভার থেকে উঠল ছয় রান। ১৭ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ১১০-৯।
১৬তম ওভারে মাত্র তিন রান তুলল কেকেআর। ১৬ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ১০৪-৯।
২০ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত এক স্পেল শেষ করলেন হাসারাঙ্গা। ১৫ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ১০১-৯।
বল হাতে আরসিবির দাপট অব্যাহত। এবার হাসারাঙ্গার বিরুদ্ধে ১ রানে আউট হলেন টিম সাউদি। ১০১ রানে নবম উইকেট হারাল কেকেআর।
হার্ষালের দুর্দান্ত বোলিং অব্যাহত। নাগাড়ে দ্বিতীয় উইকেট মেডেন ওভার বল করলেন তিনি। ১৪ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ৯৯-৮।
পরপর চার বল ডট খাওয়ার বড় শট হাঁকাতে গিয়ে আউট আন্দ্রে রাসেল। ১৮ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেট পেলেন হার্ষাল প্যাটেল। ৯৯ রানে আট উইকেট হারিয়ে ফেলল কেকেআর।
কেকেআরের সাত উইকেট পরে গেলেও রাসেলের আক্রমণ অব্যাহত। শাহবাজের ওভার থেকে উঠল ১৬ রান। ১৩ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ৯৯-৭। রাসেল ১৩ বলে ২৫ রানে ব্যাট করছেন। সাউদি এখনও খাতা খোলেননি।
ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারেই স্যাম বিলিংসকে ১৪ রানে (১৫ বলে) সাজঘরে ফেরালেন হার্ষাল প্যাটেল। ওভারে এক রানও হয়নি। ১২ ওভার শেষে ৮৩ রানে সাত উইকেট হারিয়ে বিশাল চাপে নাইট শিবির।
হাসারাঙ্গার হ্যাটট্রিক হল না। প্রথম বল রুখে দিলেন বিলিংস। ১১ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ৮৩-৬। বিলিংস খেলছেন ১৪ রানে (১১ বল), রাসেলের সংগ্রহ ১০ রান (৮ বল)।
কেকেআরের হয়ে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন আন্দ্রে রাসেল। ১০ ওভারে সিরাজের বিরুদ্ধে চার মেরে নিজের দক্ষতার হালকা ঝলক দিয়ে রাখলেন আন্দ্রে রাসেল। ১০ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ৭৬-৬।
প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেন শেল্ডন জ্যাকসন। নাইটদের ব্যাটিং ধ্বস অব্যাহত। ৯ ওভার শেষে কেকেআরেরে স্কোর ৬৭-৬। পরের ওভারের প্রথম বলে হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকছে হাসারাঙ্গার সামনে।
নবম ওভারে পঞ্চম বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বিরুদ্ধে বড় শট মারতে গিয়ে আউট হলেন সুনীল নারিন। ৬৭ রানে পাঁচ উইকেট হারাল কেকেআর। নারিন ১২ রানে (৮ বলে) আউট হলেন।
ম্যাচে আকাশ দীপের তৃতীয় ওভার থেকে উঠল ১২ রান। অষ্টম ওভারে কেকেআর ৫০-র গণ্ডি টপকাল। ৮ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ৫৮-৪।
দারুণ প্রথম ওভার হাসারাঙ্গার। এই ওভারে মাত্র দুই রানের বিনিময়ে এক উইকেট নিলেন তিনি। ৭ ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ৪৬-৪।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার প্রথম ওভারেই বড় শট মারতে গিয়ে ১৩ রানে (১০ বলে) আউট হলেন শ্রেয়স। ৪৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল কেকেআর। ক্রিজে নতুন ব্যাটার স্যাম বিলিংস।
পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভার শেষে কেকেআরের স্কোর ৪৪-৩। বেঙ্কটেশ আইয়ার (১০ রান) ও নীতিশ রানার (১০ রান) উইকেট নিয়েছেন আকাশ দীপ। অজিঙ্কা রাহানেকে ৯ রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। ক্রিজে রয়েছেন সদ্য ব্য়াট করতে এসেছেন সুনীল নারিন। ১২ রানে ব্যাট করছেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জিতলেও, সেই ম্যাচ থেকে এক বদল করে আরসিবির বিরুদ্ধে মাঠে নামছে কেকেআর। শিবম মাভির বদলে দলে এলেন টিম সাউদি।
কেকেআরের প্রথম একাদশ-
বেঙ্কটেশ আইয়ার, অজিঙ্কা রাহানে, শ্রেয়স আইয়ার (অধিনায়ক), নীতিশ রানা, স্যাম বিলিংস, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, শেল্ডন জ্যাকসন (উইকেটরক্ষক), টিম সাউদি, উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ হারলেও, সেই ম্যাচের একাদশই কেকেআরের বিরুদ্ধে বজায় রাখল আরসিবি।
আরসিবির প্রথম একাদশ-
ফ্যাফ ডু'প্লেসি (অধিনায়ক), অনুজ রাওয়াত, বিরাট কোহলি, দীনেশ কার্তিক (উইকেটরক্ষক) , শেরফান রাদারফোর্ড, শাহবাজ আহমেদ, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ডেভিড উইলি, হার্ষাল প্যাটেল, মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ ডু'প্লেসির।
আর মাত্র তিনটি বাউন্ডারি মারলেই আইপিএল ইতিহাসে শিখর ধাওয়ানের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে ৫৫০টি চার মারার রেকর্ড গড়বেন বিরাট কোহলি। শিখর অবশ্য এই তালিকায় অনেকটা এগিয়ে। তিনি আইপিএলে মোট ৬৫৯টি চার মেরেছেন।
কেকেআরের সঙ্গে নিজের শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ ডু'প্লেসি। অবশ্য সেটা ছিল চেন্নাই সুপার কিংস জার্সিতে গত মরশুমের আইপিএল ফাইনালে।
নাইটদের তরফে দুই ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারিনের আরসিবির বিরুদ্ধে ব্য়াটিং রেকর্ড অসাধারণ। দুই জনের স্ট্রাইক রেট যথাক্রমে ২১৫.১২ ও ১৯৬.৪৩।
কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অতীতের রেকর্ড দেখে তাদের খুব একটা আলাদা করা যাবে না। এই মোকাবিলায় কেকেআর ১৬ ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকলেও, ১৩ ম্যাচ জয়ী আরসিবি কিন্তু খুব একটা পিছনে নেই।
ডিয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নিজেদের এ মরশুমের দ্বিতীয় ম্যাচে একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এই দুই চেনা প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হওয়াই মানে ব্যক্তিগত দক্ষতায় ম্যাচ জয়, মহাতারকাদের মোকাবিলা, রেকর্ডের ছড়াছড়ি। তাই এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার অন্ত নেই।