‘এবার টুর্নামেন্ট শুরু হবে’। ষষ্ঠীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে আইপিএলের এলিমিনেটরে নামার আগে রীতিমতো ফুটছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। নাইটদের বক্তব্য, প্লে-অফে পৌঁছানোর পর যে কোনও দল আইপিএল খেতাব জিততে পারে।
সোমবার সকালে কেকেআরের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। সঙ্গে লেখা হয়, ‘এবার টুর্নামেন্ট শুরু হল’। সেই ভিডিয়োয় শুভমন গিলকে বলতে শোনা যায়, 'যেভাবে দ্বিতীয় ভাগে আমরা প্রত্যাবর্তন করেছি, তা খুব বেশি দল করতে পারে না। যদি আমাদের দলের দিকে দেখেন, তাহলে কেউ অরেঞ্জ ক্যাপ পাননি, কেউ পার্পল ক্যাপ পাননি। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে সকলে সংঘবদ্ধভাবে খেলছেন। এভাবেই একটি দল চ্যাম্পিয়ন দলে পরিণত হয়।' একইসুরে লকি ফার্গুসন বলেন, 'বিশ্বজুড়ে যে কোনও দুর্দান্ত দল এরকমই হয়ে থাকে। যেখানে ১১ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে যে কেউ এগিয়ে আসতে পারেন এবং ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারেন। দ্বিতীয় ভাগে আমরা সাতটির মধ্যে ম্যাচ জিতেছে। আমাদের যে মোটামুটি জায়গায় থাকার কথা, সেখানে আমরা পৌঁছে গিয়েছে। এবার টুর্নামেন্ট শুরু হবে।'
একনজরে এলিমিনেটরে কেকেআরের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ -
শুভমন গিল : এবারের আইপিএলে তেমন ছন্দে ছিলেন না। শেষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অর্ধশতরান করেছেন। বিশেষত শারজার ঢিমেগতির কঠিন পিচে শেষ ম্যাচেই অর্ধশতরান করেছেন।
ভেঙ্কটেশ আইয়ার : আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে তিনি দলে আসার পরই কেকেআরের ভোল বদলে গিয়েছে। ওপেনিংয়ে নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছেন। দ্রুত রান তুলতে পারেন।
নীতিশ রানা : আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে বিশাল বড় রানের ইনিংস খেলেছেন, তেমন নয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সাতটির মধ্যে তিনটি ম্যাচে ৩০-এর বেশি রান করেছেন। একটি ম্যাচে করেছেন ২৫ রান। একটি ম্যাচে ব্যাটের সুযোগ পাননি। অপর ম্যাচে বেশিক্ষণ ব্যাট করতেই হয়নি।
রাহুল ত্রিপাঠী : আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। বিশেষত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তাঁর মারকুটে ৭১ রানের জন্য কেকেআর নেট রানরেট বাড়াতে পেরেছিল। তবে আরও কিছুটা ধারাবাহিকতার প্রয়োজন আছে।
দীনেশ কার্তিক : তেমন ছন্দে নেই আইপিএলে। তবে ইনিংস শেষ করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ইয়ন মর্গ্যান : দলের অধিনায়ক না হলে নিশ্চিত বাদ পড়তেন। অধিনায়ক হওয়ার সুবাদে দলে জায়গা ধরে রেখেছেন। জীবনের জঘন্যতম ফর্মে আছেন। ১৪ ম্যাচে করেছেন মাত্র ১২৪ রান। গড় মাত্র ১২.৪। অনেকেই তাঁকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছে। তবে নক-আউট ম্যাচে সেই ঝুঁকি নেবে না কেকেআর।
শাকিব আল হাসান বা আন্দ্রে রাসেল : চতুর্থ বিদেশি হিসেবে লড়াই হবে রাসেল এবং শাকিবের মধ্যে। এমনিতে শারজার পিচে শাকিব বেশি কার্যকর হবেন। তবে রাসেল ফিট থাকলে তাঁকে বাইরে রাখার সম্ভাবনা কম। রাসেল ফিট কিনা, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। রাসেল যদি ১০০ শতাংশ ফিট না থাকেন, তাঁকে কি খেলিয়ে ঝুঁকি নেবে কেকেআর? বিশেষত রাসেলের ফিটনেস ইতিহাস যথেষ্ট খারাপ। রাসেল খেলতে না পারলে শাকিব নিশ্চিতভাবে খেলবেন।
সুনীল নারিন : সুনীল নারিন : আইপিলের দ্বিতীয় ভাগে খুব খারাপ ছন্দে নেই। তবে নারিনের মূল লড়াই হবে নিজের ইতিহাসের সঙ্গে। আইপিএলের ন'টি প্লে-অফ ম্যাচে নারিন নিয়েছেন মাত্র চারটি উইকেট। ইকোনমি রেট ৮.৬। যেখানে সার্বিকভাবে ১৩০ ম্যাচে ১৩৭ উইকেট নিয়েছেন। ব্যাট হাতে গড় ১৫.৯৬।
লকি ফার্গুসন : দ্বিতীয় ভাগে কেকেআরের ছন্দে ফেরার অন্যতম কারিগর হলেন কিউয়ি পেসার। দ্বিতীয় ভাগে পাঁচ ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। চোটের জন্য দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। দলের পেস বিভাগকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেষ ম্যাচেই চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছিলেন।
বরুণ চক্রবর্তী : এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত কেকেআরের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। দ্বিতীয় ভাগে সাত ম্যাচে ন'উইকেট নিয়েছেন। আবুধাবিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধেই নিয়েছিলেন তিন উইকেট। চার ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ১৩ রান।
শিবম মাভি : আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। নিয়েছেন সাত উইকেট। গত ম্যাচেই রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৩.১ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন চার উইকেট। যা তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।