টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটারই আগুনে মেজাজে ছাতু করেন লখনউ বোলারদের। বিরাট কোহলি ৪৪ বলে ৬১ করেন। ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৯ রান করেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। ২৯ বলে ৫৯ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করে আরসিবি। লখনউয়ের অমিত মিশ্র এবং মার্ক উড ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৪ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল লখনউ। তার পর দলের হাল ধরেন মার্কাস স্টোইনিস। তিনি ৩০ বলে ৬৫ করেন। এর পর মূলত দলের জয়ের রাস্তা মসৃণ করেন নিকোলাস পুরান। স্টোইনিস আউট হতে পুরান ক্রিজে নেমেই ঝড় তোলেন। ১৫ বলে করেন হাফসেঞ্চুরি। তাঁর করা ১৯ বলে ৬২ রান লখনউয়ের কাছে অক্সিজেন হয়ে যায়। এ ছাড়া সাতে নেমে আয়ুশ বাদোনি পুরানকে যোগ্য সঙ্গত করেন। কিন্তু তিনিও ১৯তম ওভারে হিট উইকেট হয়ে আউট হন। কিন্তু তার পরে শেষ ওভারে আরও ২ উইকেট তুলে নেয় হার্ষাল। শেষ বল পর্যন্ত গড়ায় ম্যাচ। শেষ বলে ১ রান নিয়ে আবেশ খান দলের জয় নিশ্চিত করেন।
আরসিবি-র হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন সিরাজ এবং পার্নেল। ২ উইকেট নিয়েছেন হার্ষাল। তবে রোমহর্ষক ম্যাচ জিতে বাজিমাত করেছে লখনউ।
শেষ ওভারের উৎকন্ঠা, রোমহর্ষক জয় লখনউয়ের
শেষ ওভারে ২ উইকেট হারায় লখনউ। প্রতিটা মুহূর্তে ছিল টানটান উত্তেজনা। শেষ ওভারের প্রতিটা বলই ছিল নাটকীয়। শেষ পর্যন্ত শেষ বলে বাজিমাত করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ২১৩ রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি-রই ঘরের মাঠে তাদের গুঁড়িয়ে দেয় লখনউ।
উডকে ফেরালেন হার্ষাল
২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হার্ষাল বোল্ড করলেন মার্ক উডকে। ২ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরলেন উড। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন রবি বিষ্ণোই। ৪ বলে চাই ৪ রান।
হিট উইকেট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন বাদোনি
বাদোনি একটি ছক্কা হাঁকিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই ছক্কা তো লখনউয়ের স্কোরবোর্ডে যোগ হলই না, উল্টে হিট উইকেট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন বাদোনি। ভালো শট ছিল। কিন্তু ব্যাটকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। ২৪ বলে ৩০ করে সাজঘরে ফেরেন বাদোনি। জেতার জায়গা থেকে শেষ পর্যন্ত হারতে হবে না তো? ১৯ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২০৮ রান লখনউয়ের।
২০০ পার লখনউয়ের
২০০ পার করে ফেলল লখনউ। ১৮তম ওভারের প্রথম ২ বল ওয়াইড করে পার্নেল। আর তাতেই ২০০ হয়ে যায় আরসিবি-র। পরের বলে এক রান নিয়েই ২০০ পার করে লখনউ। হাতে চার উইকেট রয়েছে। আশা এখনও পুরোদমে বেঁচে রয়েছে লখনউয়ের।
পুরান আউট
১৭তম ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে গেলেন পুরান। ১৯ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে লখনউকে ভরসা জোগালেও, ক্রিজে থেকে তরী পার করাতে পারলেন না পুরান। সিরাজের বলে শাহবাজ আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সিরাজের ফুলটস উঁচুতে ছিল। নো-বল ছিল কিনা, নিশ্চিত করতে তৃতীয় আম্পায়ের দ্বারস্থ হলেও, শেষ পর্যন্ত আউট হন পুরান। ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৮৯ রান লখনউয়ের। ১৮ বলে ২২ করে লড়াই চালাচ্ছেন বাদোনি।
১৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পুরানের, গড়ে ফেললেন নজির
১৫ বলে ৫০ করে ফেললেন পুরান। এটা আইপিএলের যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। রাহুল করেছিলেন ১৪ বলে হাফসেঞ্চুরি। এই মরশুমের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি এটি। ছক্কা মেরে তিনি এ দিন ৫০ পূরণ করেন। এ ছাড়াও এই ওভারে তিনি ২টি চার হাঁকিয়েছেন। সেই সঙ্গে ১৫তম ওভারে মোট ১৭ রান এল। ওভার শেষে লখনউয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭১ রান। ১৬ বলে ৬৬ রান পুরানের। ৯ বলে ১৩ রান বাদোনির।
১৫০ পার লখনউয়ের
১৪ ওভার শেষে লখনউ ১৫৪ করে ফেলেছে। তারা ৫ উইকেট হারালেও, স্বপ্ন দেখাচ্ছেন পুরান এবং বাদোনি। এই ওভারে হার্ষালকে পিটিয়ে ১৮ রান নিল লখনউ। পুরান মারলেন ২টি ছয়, একটি চার। ওভার শেষে ১৫৪ করে ফেলল লখনউ। ১২ বলে ৪০ রান পুরানের। ৭ বলে ১১ রান বাদোনির।
কর্ণ শর্মার ওভারে ২০ রান হল
ওভারের শুরুতে কর্ণকে প্রথমে একটি চার মারেন বাদোনি। চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে পুরান দু'টি ছক্কা হাঁকান। এই ওভারে হয় মোট ২০ রান। ১৩ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান লখনউয়ের। ৮ বলে ২৩ রান পুরানের। ৫ বলে ১০ রান বাদোনির।
রাহুল আউট
১২তম ওভারের প্রথম বলেই আউট কেএল রাহুল। মহম্মদ সিরাজের বলে ২০ বলে ১৮ করে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। পাঁচ উইকেট হারিয়ে মারাত্মক চাপে লখনউ। রানরেট খারাপ নয়। কিন্তু উইকেট পড়ে চলেছে। আর এটাই লখনউয়ের চাপের কারণ। তবে রাহুলের পরির্তে ক্রিজে আসা আয়ুশ বাদোনি এবং পুরান একটি করে চার মারেন। সিরাজের এই ওভারে মোট ১১ রান হয়। ১২ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১১৬ রান লখনউয়ের। ৫ বলে ১০ রান পুরানের। ২ বলে ৫ রান আয়ুশ বাদোনির।
১০০ পার লখনউয়ের
১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কর্ণ শর্মাকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন স্টোইনিস। চতুর্থ বলে ফের বড় শট মারতে গিয়ে আউট হন স্টোইনিস। ৩০ বলে ৬৫ করে আউট হন তিনি। ৬টি চার এবং ৫টি ছক্কা হাঁকান স্টোইনিস। অথচ এই ওভারের শেষ বলে স্টোইনিসের পরিবর্তে নামা নিকোলাস পুরান ছক্কা হাঁকিয়ে দলের রান ১০০ পার করান। ১১তম ওভারে ১০৫ রান লখনউয়ের। কিন্তু চার উইকেট হারিয়ে লখনই মারাত্মক চাপে। ২ বল খেলে ৬ রান পুরানের। কেএল রাহুলের ১৯ বলে ১৮ রান।
স্টোইনিসের ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি, ১০ ওভারে ৯১ হল লখনউয়ের
মার্কাস স্টোইনিস আশা দেখাচ্ছেন লখনউকে। শুরুতেই ৩ উইকেট হারালেও, স্টোইনিস পাঁচে নেমে পুরো ঝড় তোলেন। ২৫ বলে তিনি হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। ১০ ওভারে ৯১ রান করে ফেলে লখনউ। ২৭ বলে দুরন্ত ছন্দ ৫৯ করে লড়াই চালাচ্ছেন স্টোইনিস। ১৮ বলে ১৭ করে উল্টোদিকে খুঁটি আঁকড়ে রেখেছেন রাহুল।
আক্রমণের মেজাজে স্টোইনিস, নবম ওভারে হল ১৬ রান
স্টোইনিস আক্রমণাত্মক মেজাজে রয়েছেন। ১৬ রান হল এই ওভারে। ২৩ বলে ৪৬ রান করে ফেললেন স্টোইনিস। ১৬ বলে ১৫ রান কেএল রাহুলের। ৯ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৭৬ রান লখনউয়ের।
অষ্টম ওভারে হল ১৭ রান
এই ওভারে হার্ষালের বলে ২টি চার এবং একটি ছয় মারেন স্টোইনিস। সেই সঙ্গে আরও ৩ রান হয়। ১৮ বলে ৩১ করে ফেলেছেন স্টোইনিস। ১৫ বলে ১৪ রান কেএল রাহুলের। ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৬০ রান লখনউয়ের।
২ উইকেট নিয়েছেন পার্নেল, একটি সিরাজ
কাইল মায়ার্সকে আউট করেন মহম্মদ সিরাজ (তিন বলে শূন্য রান)। দীপর হুডাকে আউট করেন ওয়েন পার্নেল। ক্রুণাল পান্ডিয়া দুই বল খেলেন। কোনও রান করতে পারেননি। তাঁকেও আউট করেন পার্নেল।
ধুঁকছে LSG, পাওয়ার প্লে'তে স্কোর ৩৭/৩
ছয় ওভারে লখনউ সুপার জায়েন্টসের স্কোর তিন উইকেটে ৩৭ রান।আপাতত ক্রিজে আছেন মার্কাস স্টইনিস (নয় বলে ১১ রান) এবং কেএল রাহুল (১২ বলে ১১ রান)।
রান তাড়া শুরু করল লখনউ
রান তাড়া করা শুরু করল লখনউ। ২১৩ রানের বিশাল বড় লক্ষ্য। কেএল রাহুল এবং কাইল মেয়ার্স ওপেন করতে নেমেছেন। বল হাতে ওপেন করেছেন আরসিবি-র মহম্মদ সিরাজ।
আউট ম্যাক্সওয়েল
অবশেষে সাজঘরে ফিরলেন ম্যাক্সওয়েল। ২৯ বলে ৫৯ করে সাজঘরে ফিরলেন ম্যাক্সওয়েল। এর আগে দু'বার আউট করার সুযোগ দিয়েছিলেন ম্যাক্সি। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া করে লখনউ। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারে মার্ক উডের বলে বোল্ড হন ম্যাক্সওয়েল। ততক্ষণে অবশ্য দু'শো ছাড়িয়ে গিয়েছে ব্যাঙ্গালোর।
ম্যাক্সির হাফসেঞ্চুরি, ২০০ পার আরসিবি-র
২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন ম্যাক্সওয়েল। আবেশ খানের ওভারে প্রথম দুই বলে দু'টি ছক্কা হাঁকিয়ে হাফসেঞ্চুরি করেন ম্যাক্সি। সেই সঙ্গে ১৯তম ওভারেই জুটিতে ৪৪ বলে ১০০ করে ফেললেন ম্যাক্সওয়েল-ফ্যাফ জুটি। ২০০-র গণ্ডিও টপকে গেল আরসিবি। ১৯তম ওভার শেষে ১ উইকেটে ২০৩ রান ব্যাঙ্গালোরের। ২৫ বলে ৫৩ রান ম্যাক্সওয়েলের। ৪৫ বলে ৭৮ রান ফ্যাফ ডু'প্লেসির।
ক্রুণালের সহজ ক্যাচ মিস, ১৮তম ওভারে হল ২৩ রান
১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। পরের বলেই তিনি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন। বাউন্ডারি লাইনের ধারে সহজ ক্যাচ ছিল। কিন্তু সেটা মিস করেন ক্রুণাল। আফসোস করতে থাকেন রাহুল। এই উইকেটটা পড়লে, কিছুটা অক্সিজেন পেত লখনউ। উল্টে ম্যাক্সির ক্যাচ ফেলার কারণে এক রান হয়। সিঙ্গলস নিয়ে নন-স্ট্রাইকারে আসেন ম্যাক্সওয়েল। স্ট্রাইকে আসেন ফ্যাফ। যিনি এর পর ২টি ছক্কা, একটি চার হাঁকান। মোট ২৩ রান আসে ১৮তম ওভারে। ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান আরসিবি-র। ৪২ বলে ৭১ রান ফ্যাফের। ২২ বলে ৪০ রান ম্যাক্সির।
ফ্যাফ ডু'প্লেসির হাফসেঞ্চুরি
ছক্কা হাঁকিয়ে হাফসেঞ্চুরি করলেন ফ্যাফ। কোহলির মতো ৩৫ বলেই তিনি হাফসেঞ্চুরি করেন। ১৬তম ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৪৬ রান আরসিবি। ৩৭ বলে ৫৩ রান ফ্যাফের। ১৫ বলে ২২ রান ম্যাক্সির।
রবি বিষ্ণোইয়ের ওভারে ৩টি ছক্কা হাঁকালেন ম্যাক্সি
ফ্যাফ এ বার নিজের রণ-মূর্তি ধারণ করেছেন। ১৫তম ওভারে রবি বিষ্ণোইকে ২টি ছক্কা হাঁকালেন তিনি। আরও একটি ছক্কা হাঁকালেন ম্যাক্সওয়েল। এই ওভারে এল ২০ রান। আর এক লাফে আরসিবি পৌঁছে গেল ১ উইকেটে ১৩৭ রানে। ৩৪ বলে ৪৬ করে ফেললেন ফ্যাফ। ১২ বলে ২১ রান ম্যাক্সওয়েলের।
অমিত মিশ্রকে পেটালেন ম্যাক্সি
১৪তম ওভারে অমিত মিশ্র বল করতে এলে ম্যাক্সওয়েল তাঁর তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে যথাক্রমে চার এবং ছয় হাঁকান। সেই সঙ্গে এই ওভারে হয় ১৩ রান। ১৪ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১১৭ রান করে ফেলেছে আরসিবি। ৯ বলে ১৪ রান ম্যাক্সওয়েলের। ৩১ বলে ৩৩ রান ফ্যাফের।
১০০ পার করে গেল আরসিবি
১৩তম ওভারে ১০০ পার করে ফেলল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। তারা কি পারবে দু'শো রান করতে? ১৩ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০৪ রান আরসিবি-র। ২৯ বলে ৩২ রান ফ্যাফের। ৫ বলে ২ রান ম্যাক্সওয়েলের। কোহলি আউট হতে নিঃসন্দেহে রানের গতি কমেছে।
আউট কোহলি
৪৪ বলে ৬১ করে সাজঘরে ফিরলেন কোহলি। ৪টে চার এবং ৪টে ছয় মেরেছেন কোহলি। অমিত মিশ্রের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই তিনি বাউন্ডারি লাইনেক কাছে ক্যাচ দেন স্টোইনিসকে। ক্যাচ ধরতে কোনও ভুল করেননি স্টোইনিস। ১২ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান আরসিবি-র। ফ্যাফের সংগ্রহ ২৬ বলে ৩২ রান। কোহলির পরিবর্তে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২ বলে ২ করেছেন।
ক্রুণালের ওভারে হল ১৩ রান
ক্রুণালকে ছক্কা হাঁকান বিরাট। ফ্যাফ একটি চার মারেন। দশ নম্বর ওভারে এল মোট ১৩ রান। ১০ ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৮৭ রান আরসিবি-র। ৩৯ বলে ৫৮ রান কোহলির। ২১ বলে ২৫ রান ফ্যাফের।
ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি কোহলির
নবম ওভারে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন কোহলি। ৩৫ বলে তিনি ৫০ করেন। এই নিয়ে এ বার আইপিএলের তিন ম্যাচ খেলে ২টি হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন কোহলি। ৯ ওভার শেষে ৭৪ রান বিরাটের। ১৯ বলে ২০ করে কোহলিকে যোগ্য সঙ্গত করছেন ফ্যাফষ
৮ ওভারে আরসিবি-র সংগ্রহ ৬৮/০
কোহলি এবং ফ্যাফ জুটি আরসিবি-র বড় ভরসা হয়ে উঠছেন। এই ওপেনিং জুটিই দলের হাল ধরছেন বারবার। কেকআর-এর বিরুদ্ধেও এই জুটি শুরুটা ভালো করেছিল। যাইহোক লখনউয়ের বিরুদ্ধে কোহলি ঝড়, সঙ্গে ফ্যাফের যোগ্য সঙ্গত, ৮ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৮ করে ফেলল আরসিবি। ৩২ বলে ৪৮ রান কোহলির। ১৬ বলে ১৬ রান ফ্যাফের।
আগুনে মেজাজে কোহলি, ৫০ পার করে ফেলল আরসিবি
কোহলি একদম বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছেন। কাউকেই ছাড়ছেন না। ষষ্ঠ ওভারে মার্ক উড বল করতে এসেছিলেন। তাঁকে একেবারে পিটিয়ে ছাতু করে দিলেন কিং কোহলি। উডের প্রথম বলে সিঙ্গলস নিয়ে কোহলিকে স্ট্রাইকে দেন ফ্যাফ। এর পরের ২ বলে ৪ এবং ছয় হাঁকান কোহলি। মোট ১৪ রান আসে এই ওভার থেকে। কোহলি ঝড়ে পাওয়ার প্লে-তেই ৫০ পার করে গেল আরসিবি। ৬ ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ব্যাঙ্গালোরের সংগ্রহ ৫৬। কোহলি ২৫ বলে ৪২ করে ফেলেছেন। ১১ বলে ১২ রান ফ্যাফের।
পঞ্চম ওভারে হল ৯ রান
ক্রুণাল পাণ্ডিয়াকে এই ওভারে লম্বা ছক্কা হাঁকান কোহলি। দুরন্ত ছন্দে তিনি ব্যাট করছেন। এই ওভারে হল মোট ৯ রান। স্কোরবোর্ডে আরসিবি-র রান ৪২। কোনও উইকেট পড়েনি। ২১ বলে ৩০ রান কোহলির। ৯ বলে ১০ করেছেন ফ্যাফ।
আবেশ চতুর্থ ওভারে দিলেন ৮ রান
এই ওভারে কোহলি ২টি চার হাঁকিয়েছেন। সিঙ্গলস হয়নি আর। মোট ৮ রানই এসেছে এই ওভারে। ৪ ওভার শেষে আরসিবি করেছে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩৩ রান। ১৮ বলে ২৩ করে ফেলেছেন বিরাট। ফ্যাফের সংগ্রহ ৬ বলে ৮ রান।
তৃতীয় ওভারে ক্রুণাল পাণ্ডিয়া দিলেন ৮ রান
তৃতীয় ওভারে বল করতে এসেছিলেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। তিনি দিলেন মোট ৮ রান। ৬ বলে ৮ করেছেন ফ্যাফ। বিরাটের সংগ্রহ ১২ বলে ১৫। ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ২৫ রান আরসিবি-র।
আবেশকে ছয়, চার হাঁকালেন কোহলি, দ্বিতীয় ওভারে এল ১৩ রান
দ্বিতীয় ওভারে আবেশকে একটি ছক্কা এবং একটি চার হাঁকান কোহলি। এ ছাড়া আরও ৩ রান হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ওভারে এল মোট ১৩ রান। ২ ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৭ রান আরসিবি-র। ৯ বলে ১৫ করে ফেললেন কোহলি। ৩ বলে ২ রান ফ্যাফের।
প্রথম ওভারে হল মাত্র ৪ রান
প্রথম ওভারে খুব বেশি সুবিধে করতে পারলেন না ফ্যাফ এবং কোহলি। হল মাত্র ৪ রান। ৪ বলে ৩ করেছেন কোহলি। ২ বলে ১ করেছেন ফ্যাফ। উনাদকাট এই ওভারে উইকেট ফেলতে না পারলেও, ভালো বল করেছেন।
ব্যাটিং শুরু আরসিবি-র
আরসিবি ব্যাটিং শুরু। ওপেন করেছেন বিরাট কোহলি এবং ফ্যাফ ডু'প্লেসি। বল হাতে ওপেন করেছেন উনাদকাট।
দুই দলের একাদশ
লখনউ টিমে দলে ফিরেছেন মার্ক উড। এ দিকে আরসিবি প্রথম একাদশে রেখেছেন পার্নেলকে।লখনউয়ের একাদশ: কেএল রাহুল (অধিনায়ক), কাইল মেয়ার্স, দীপক হুডা, মার্কাস স্টোইনিস, 5 ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, নিকোলাস পুরাণ (উইকেটরক্ষক), জয়দেব উনাদকাট, অমিত মিশ্র, আবেশ খান, মার্ক উড, রবি বিষ্ণোই। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার অপশন হল: বাদোনি, স্বপ্নিল, গৌতম, মানকড় এবং সামসআরসিবি-র একাদশ: বিরাট কোহলি, ফ্যাফ ডু'প্লেসি (অধিনায়ক), মহিপাল লোমর, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, শাহবাজ আহমেদ, দীনেশ কার্তিক (উইকেটরক্ষক), অনুজ রাওয়াত, ডেভিড উইলি, ওয়েন পার্নেল, হার্ষাল প্যাটেল, মহম্মদ সিরাজ। ইমপ্যাক্ট প্লেয়াররা হলেন: কর্ণ, প্রভুদেশাই, আকাশ দীপ, ব্রেসওয়েল এবং সোনু যাদব।
টস জিতল লখনউ
টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন এলএসজি অধিনায়ক কেএল রাহুল। বিরাট কোহলিরা ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করবেন। তারা বড় রানের লক্ষ্য লখনউকে দিতে চাইবে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হাল
কেআরের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে বড় রান করতে ব্যর্থ হলেও, আরসিবি-র প্রথম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জয়ের রাস্তা গড়ে দিয়েছিল বিরাট কোহলি এবং ফ্যাফ ডু'প্লেসির পারফরম্যান্স। ঘরের মাঠে জিতে ২০২৩ আইপিএলে যাত্রা শুরু করেছিল আরসিবি। ফের চিন্নাস্বামীতে জয়ে ফিরতে মরিয়া থাকবে আরসিবি। বিরাট-ফ্যাফ ছাড়াও গ্লেন ম্য়ক্সওয়েল, দীনেশ কার্তিকের ব্যাটিংয়ের দিকেও নজর থাকবে। কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচে দুটি করে উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ডেভিড উইলি ও কর্ণ শর্মা। লখনউয়ের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর বোলাররা কেমন পারফরম্যান্স মেলে ধরেন, তার ওপরে অনেকাংশে নির্ভর করবে ম্যাচের ফল। এ দিকে অনুজ রাওয়াতের জায়গায় লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ের জন্য মহিপাল লমরোরকে খেলাতে পারে আরসিবি ব্রিগেড।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের হাঁড়ির খবর
এ বারের আইপিএল অভিযানে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে হারলেও প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। আর তৃতীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েই বেঙ্গালুরুতে অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে নামছে লখনউ। আবেশ খানের এই ম্যাচে নামা নিয়ে খানিক শঙ্কা থাকলেও, প্রথম একাদশে ফিরবেন মার্ক উড। এ দিকে বিরাটদের বিরুদ্ধে লখনউ পাবে কুইন্টন ডি'কককেও। চিন্নাস্বামীর পিচে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে কেএল রাহুল ছাড়াও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। অলরাউন্ডার ক্রুণাল ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ছাপ রেখেছিলেন বোলিংয়েও। গত ম্যাচে তিনি নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। পাশাপাশি অভিজ্ঞ স্পিনার অমিত মিশ্র-র ঝুলিতে গিয়েছে ২ টি উইকেট। স্বভাবতই আরসিবি-র ঘরের মাঠে জেতার জন্য ফুটছে লখনউ।