শুধু ব্যাট হাতে নয়, ফিল্ডিংয়েও সুপার হিট পারফরম্যান্স জোস বাটলারের। রজত পতিদারের ক্যাচটি এমন মোক্ষম সময়ে ধরেছিলেন, সেই সময়ে যদি পতিদারকে ফেরানো না যেত, তবে কিন্তু চাপ বাড়ত রাজস্থান রয়্যালসের। ৪২ বলে ৫৮ করে ফিরতে হয় পতিদারকে। সৌজন্যে বাটলারের ক্যাচ।
১৫.৩ ওভারে রবিনচন্দ্রন অশ্বিনের বলে পতিদার উঁচুতে বল পাঠালেও, শটটি ছিল লম্বা। নিশ্চিত ভাবে সেটি বাউন্ডারির বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাটলার এক লাফে এক হাতে ক্যাচটি ধরেন।
আরও পড়ুন: Eliminator-এ শতরান, Qualifier-এ ৫০, অনন্য নজির আনক্যাপড পতিদারের, ছুঁলেন রায়নাকে
শুধু ক্যাচ ধরা নয়, শরীরের ভারসাম্য এত সুন্দর ভাবে ধরে রাখেন যে পা একবারের জন্যও বাউন্ডারি স্পর্শ করেনি। মাঝে বাউন্ডারিতে পা লেগে যেতে পারে ভেবে, বলটি বাটলার উপরের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, পরে আবার সেটি ধরে নেন। এত ব্যালেন্স ধরে রাখা, চূড়ান্ত ফিটনেস না থাকলে সম্ভবই ছিল না।
পতিদার আউট হওয়ার পর সে ভাবে কেউ ক্রিজে টিকতে পারেননি। এ দিন রাজস্থান রয়্যালস টসে জিতে ব্যাট করতে পাঠায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। রজিত পতিদার ৪২ বলে ৫৮ করেন। এ ছাড়া ২৫ (২৭ বলে) করেছেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। ১৩ বলে ২৪ করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শাহবাজ আহমেদের সংগ্রহ ১২ রান। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। পতিদার হাফ সেঞ্চুরি না করলে ১৫০ টপকানো হত না আরসিবি-র।
নির্দিষ্ট ২০ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করেছে। ওবেড ম্যাকয়ে এবং প্রসিধ কৃষ্ণ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ট্রেন্ট বোল্ট এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।