ব্যাটে বল লাগার আগেই ‘স্পাইক’ হয়েছিল। পরে আরও বড় ‘স্পাইক’ ধরা পড়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে আদৌও ব্যাটে বল লেগেছে নাকি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। পুরো বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। একাংশের দাবি, ব্যাট ও বলের মধ্যে ফাঁক ছিল। তাও ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে (ডিআরএস) রোহিতকে আউট দেওয়া হয়েছে।
সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বিরুদ্ধে ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে যান রোহিত। তবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। টিম সাউদির ব্যাক অফ দ্য লেন্থ বল ঠুকে দিতে যান রোহিত। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। উইকেটের পিছনে শেলডন জ্যাকসনের হাতে বল জমা পড়ে। ক্যাচের আবেদন করা হয়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। ডিআরএস নেন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার।
দেখুন রোহিতের আউটের ভিডিয়ো - এখানে ক্লিক করুন
রিভিউয়ে দেখা যায়, বল ব্যাটের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় আল্ট্রা-এজে ঝাঁকুনি আসছে। ব্যাটের কাছে বল আসার আগে, ব্যাটের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও আল্ট্রা-এজে ঝাঁকুনি ধরা পড়ে। এত 'স্পাইক' ছিল যে কোনটি কোন শব্দের, তা বোঝা দুষ্কর হয়ে ওঠে। তৃতীয় আম্পায়ার জানান, এতগুলি যে 'স্পাইক' দেখা গিয়েছে, তার একটি ব্যাট এবং বলের ধাক্কার বলে ফলে তৈরি হয়েছে। তারপরই অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পালটে দেওয়া হয়। যদিও সেই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দেখায় রোহিতকে।
আরও পড়ুন: KKR vs MI: টিকে থাকার লড়াই নাকি! ১৪.১ ওভারে ১৩৬/৩ থেকে ২০ ওভারে ১৬৪/৯ রান তুলল KKR
মুম্বই অধিনায়কদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন নেটিজেনদের একাংশও। তাঁরা দাবি করতে থাকেন, ব্যাট এবং বলের মধ্যে দৃশ্যতই ফাঁক ছিল। অনেকের বক্তব্য, ব্যাটে বল লাগার আগেই আল্ট্রাএজে ‘স্পাইক’ ধরা পড়েছিল। পরে ব্যাটে যখন বল লাগছে বলে মনে হচ্ছিল, তখন আরও ‘স্পাইক’ দেখাচ্ছিল। ফলে কীভাবে ব্যাটে বল লাগার স্পাইক ধরতে পারলেন তৃতীয় আম্পায়ার? ধারাভাষ্যকারদের বক্তব্য, তৃতীয় আম্পায়ারের হাত-পা বাঁধা ছিল। তবে রোহিতের ভাগ্য কিছুটা খারাপ ছিল।