শনিবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ঐতিহাসিক বলার কারণ হল, এরআগে আইপিএল-এর ইতিহাসে ২০০ রান তাড়া করে কখনও জিততে পারেনি মুম্বই। অবশেষে সেই অধরা স্বপ্নকে সফল করল রোহিতের মুম্বই। ২০০ রান তাড়া করে জিতল আইপিএল-এর ম্যাচ।
তবে শুধু ২১৯ রান তাড়া করে জেতাই নয়, আইপিএল-এর ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার রেকর্ডটিও নিজেদের দখলে করল মুম্বই। রোহিতদের সামনে এখন ২০২০সালে রাজস্থান রয়্যালস ও পঞ্জাব ম্যাচের ২২৪ রান তাড়া করার রেকর্ড রয়েছে। এদিনের ম্যাচের পরেই তিন নম্বরে রয়েছে ২০০৮ সালের রাজস্থানের ম্যাচ। এদিনের ম্যাচ জিতে সমালোচকদের জবাব দিয়ে নিজেদের টুইটারে সেটা জানিয়েও দেয় মুম্বই। তারা বলতে চায় মুম্বইও ২০০ রান তাড়া করে জিততে পারে।
এদিনের ম্যাচে টসে জিতে চেন্নাইকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই অধিনায়ক। নির্দারিত ২০ ওবারে ৪উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান তোলে সিএসকে। জবাবে ৯ ওভার চার বলে ৮১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়েছিল মুম্বই। সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান কায়রন পোলার্ড।
শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ১৭ বলে অর্ধশতরান করে ফেলেন কায়রন পোলার্ড। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই দ্রুততম শতরান। এর আগে ২০১৬ সালে আইপিএলে ক্রিস মরিস ১৭ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন। দ্রুততম অর্ধশতরান করার তালিকায় ক্রিস মরিসের সঙ্গে শীর্ষে নাম লেখালেন পোলার্ড। এদিন মাত্র ৩৪ বলে করলেন অপরাজিত ৮৭ রান। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া ও হার্দিক পান্ডিয়া।
শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ব্যাট হাতে ছিলেন মুম্বইয়ের কায়রন পোলার্ড। মুম্বইকে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে সাহায্য করলেন তিনি। বল হাতে ১২ রানে ২ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৩৪ বলে ৮৪ রান করার জন্য ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।