সেরা ব্যাটসম্যানকে রান-আউট করিয়ে ঘরের মাঠে দলের বিপদ ডেকে আনেন রাজস্থান রয়্যালসের ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন। যদিও এক্ষেত্রে পুরোপুরি কাঠগড়ায় তোলা যায় না সঞ্জুকেও। রান-আউট হওয়ার ক্ষেত্রে যশস্বীর নিজের ভুলও দায়ী।
জয়পুরে আইপিএল ২০২৩-এর ৪৮তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে গতবছরের দুই ফাইনালিস্ট গুজরাট টাইটানস ও রাজস্থান রয়্যালস। টস জিতে রাজস্থান শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও স্যামসনের সেই সিদ্ধান্ত কতটা যথার্থ ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কেননা ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জোস বাটলারকে আউট করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৬ বলে ৮ রান করে মোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়েন তিনি। অপর ওপেনার যশস্বী অবশ্য পরিচিত আগ্রাসী মেজাজেই ইনিংস শুরু করেন। তবে পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে অর্থাৎ ষষ্ঠ ওভারে স্যামসনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান-আউট হতে হয় জসওয়ালকে।
৫.১ ওভারে রশিদ খানের বলে কাট শট খেলেন স্যামসন। পয়েন্ট ফিল্ডার অভিনব মনোহর ডাইভ দিয়ে বাউন্ডারি বাঁচিয়ে দিলেও বল ছিটকে যায় শর্ট থার্ডম্যানে ফিল্ডিং করা মোহিত শর্মার দিকে। স্যামসনের নজর ছিল বলের দিকে। তিনি প্রাথমিকভাবে ক্রিজ ছেড়ে কয়েক পা এগিয়ে গেলেও পুনরায় ব্যাটিং ক্রিজে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
নন-স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান যশস্বী ততক্ষণে প্রায় ব্যাটিং ক্রিজে পৌঁছে গিয়েছিলেন। যশস্বীকে ঠিক পাশে দেখেও স্যামসন ঝুঁকি নেওয়ার পথে হাঁটেননি। তিনি নিজের উইকেট নিরাপদ করাই শ্রেয় মনে করেন। যশস্বী ইউটার্ন নিয়ে বোলিং ক্রিজে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন বটে, তবে উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা ফিল্ডার মোহিতকে নির্দেশ দেন বোলারের হাতে বল ছোঁড়ার। সেই মতো মোহিত বোলার রশিদের হাতে বল ছুঁড়ে দেন এবং যশস্বী ক্রিজে পৌঁছনোর আগেই রশিদ স্টাম্প ভেঙে দেন। যশস্বীকে ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। ১১ বলের ইনিংসে জসওয়াল ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
যশস্বী রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার পরেই রাজস্থানের ইনিংসে ধস নামে। তারা ১৭.৫ ওভারে ১১৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩০ রান করেন স্যামসন। উল্লেখ্য, চলতি আইপিএলে রাজস্থানের হয়ে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি ৪৪২ রান করেছেন যশস্বী। তিনি ১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন।