IPL 2022 Qualifier 2: মরশুমের চতুর্থ শতরান বাটলারের, ১৪ বছর পরে আইপিএলের ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস
Updated: 27 May 2022, 11:34 PM IST- IPL 2022-তে ৮০০ রানের গণ্ডি টপকে যান জোস বাটলার, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় RCB-র।
২০১৬-র পরে ফের আইপিএলের ফাইনালে ওঠার হাতছানি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সামনে। দীর্ঘদিন পরে এলিমিনেটরের বাধা টপকাতে সক্ষম হওয়া বিরাট কোহলিরা কোনওভাবেই পিছন ফিরে তাকাতে রাজি ছিলেন না। অন্যদিকে উদ্বোধনী মরশুমে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে ফের খেতাবি লড়াইয়ের টিকিট হাতে পেতে মরিয়া ছিল রাজস্থান রয়্যালস। আমদাবাদে শেষ হাসি হাসে রাজস্থান। আরসিবিকে ফের হতাশ করে ১৪ বছর পরে পুনরায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ফাইনালে ওঠে রয়্যালস।
১০টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ বলে অপরাজিত ১০৬ রান করে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন জোস বাটলার।
আরসিবির ৮ উইকেটে ১৫৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস ১৮.১ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৬১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। হার্ষালকে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতান বাটলার। রাজস্থান ১১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে খেতাবি লড়াইয়ে জায়গা করে নেয়। বাটলার ১০টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩ বলে ২ রান করে নট-আউট থাকেন হেতমায়ের। রাজস্থান রয়্যালস ২০০৮ সালের উদ্বোধনী মরশুমে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়। তার পর থেকে আর কখনও ফাইনালেই উঠতে পারেনি তারা। অবশেষে ১৪ বছর পরে রাজস্থান পুনরায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের খেতাবি লড়াইয়ে জায়গা করে নেয়।
চলতি আইপিএলের চার নম্বর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেলন জোস বাটলার। ১০টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছে যান বাটলার। ১৮ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর ৩ উইকেটে ১৫৫।
১৬.৫ ওভারে জোস হ্যাজেলউডের বলে কার্তিকের দস্তানায় ধরা পড়েন জেবদূত পাডিক্কাল। ১২ বলে ৯ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। রাজস্থান ১৪৮ রানে ৩ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন হেতমায়ের। জয়ের জন্য ৩ ওভারে রাজস্থানের দরকার ১০ রান। বাটলার ৯৫ রানে ব্যাট করছেন।
জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে রাজস্থানের দরকার ১৮ রান। ১৬ ওভার শেষে রয়্যালসের স্কোর ২ উইকেটে ১৪০। ৫২ বলে ৮৮ রান করেছেন বাটলার। পাডিক্কাল ১০ বলে ৮ রান করেছেন।
জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে রাজস্থানের দরকার ৩২ রান। ১৫ ওভার শেষে রয়্যালসের স্কোর ২ উইকেটে ১২৬। ৪৭ বলে ৭৫ রান করেছেন বাটলার। পাডিক্কাল ৯ বলে ৭ রান করেছেন।
১০.১ ওভারে হার্ষালের বলে বাটলারের সহজ ক্যাচ ছাড়েন দীনেশ কার্তিক। তবে ১১.৪ ওভারে হাসারাঙ্গার বলে সঞ্জু স্যামসনকে স্টাম্প আউট করেন দীনেশ। স্যামসন ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ২৩ রান করে আউট হন। রাজস্থান ১১৩ রানে ২ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন দেবদূত পাডিক্কাল। ১২ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ২ উইকেটে ১১৪। বাটলার ৬৯ রানে ব্যাট করছেন।
১০ ওভার শেষে রাজস্থান রয়্যালস ১ উইকেটে ১০৩ রান তুলেছে। ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে ৬৬ রান করেছেন বাটলার। ১৪ বলে ১৬ রান করেছেন স্যামসন।
৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জোস বাটলার। ৭ ওভার শেষে রাজস্থান রয়্যালসের স্কোর ১ উইকেটে ৭৭ রান। বাটলার ৫৪ রানে ব্যাট করছেন।
৫.১ ওভারে জোস হ্যাজেলউডের বলে কোহলির হাতে ধরা পড়েন যশস্বী জসওয়াল। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২১ রান করে মাঠ ছাড়েন জসওয়াল। রাজস্থান ৬১ রানে ১ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন সঞ্জু স্যামসন। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ১ উইকেটে ৬৭ রান। বাটলার ২০ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
৫ ওভার শেষে রাজস্থান রয়্যালসের স্কোর বিনা উইকেটে ৬১ রান। শাহবাজের ওভারে ২টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন বাটলার। তিনি ১৮ বলে ৪০ রান করেছেন। ১২ বলে ২১ রান করেছেন জসওয়াল।
দুর্দান্ত শুরু রাজস্থানের। ৩ ওভার শেষে রয়্যালস কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩৭ রান তোলে। যশস্বী ৮ বলে ১৭ রান করেছেন। ১০ বলে ২০ রান করেছেন বাটলার।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ওপেন করতে নামেন জোস বাটলার ও যশস্বী জসওয়াল। আরসিবির হয়ে বোলিং শুরু করেন মহম্মদ সিরাজ। প্রথম ওভারেই ২টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন যশস্বী। প্রথম ওভারে ১৬ রান ওঠে।
আরসিবি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে বিনিময়ে ১৫৭ রান তোলে। সুতরাং, জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার ১৫৮ রান। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ। ২ বলে ১ রান করেন হ্যাজেলউড। ৩টি করে উইকেট নেন প্রসিধ ও ম্যাকয়।
১৯.১ ওভারে ম্যাকয়ের বলে বোল্ড হন হার্ষাল প্যাটেল। ২ বলে ১ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। আরসিবি ১৫৪ রানে ৮ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন জোস হ্যাজেলউড।
১৮.২ ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণার ইয়র্কারে বোল্ড হন হাসারাঙ্গা। গোল্ডেন ডাকে মাঠ ছাড়েন ওয়ানিন্দু। আরসিবি ১৪৬ রানে ৭ উইকেট হারায়। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হার্ষাল প্যাটেল। ওবারের পঞ্চম বলে ছয় মারেন শাহবাজ। ১৯ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ৭ উইকেটে ১৫৪।
১৮.১ ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণার বলে রিয়ানের হাতে ধরা পড়েন কার্তিক। ৭ বলে ৬ রান করে মাঠ ছাড়েন কার্তিক। আরসিবি ১৪৬ রানে ৬ উইকেট হারায়। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
১৭.৪ ওভারে ম্যাকয়ের বলে অশ্বিনের হাতে ধরা পড়েন মহীপাল লোমরোর। ১০ বলে ৮ রান করেন তিনি। আরসিবি ১৪১ রানে ৫ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন শাহবাজ আহমেদ। ১৮ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ৫ উইকেটে ১৪৬।
১৫.৩ ওভারে অশ্বিনের বলে বাটলারের হাতে ধরা পড়েন রজত পতিদার। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৫৮ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। আরসিবি ১৩০ রানে ৪ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন দীনেশ কার্তিক।
এলিমিনেটরে শতরান করেছেন। এবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হাফ-সেঞ্চুরি করেলন রজত পতিদার। ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যান রজত। ১৫ ওভারে আরসিবির স্কোর ৩ উইকেটে ১২৩।
১৩.৬ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন ওবেদ ম্যাকয়। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২৪ রান করে মাঠ ছাড়েন ম্যাক্সওয়েল। আরসিবি ১১১ রানে ৩ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে মাঠে আসেন মহীপাল লোমরোর। রজত ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।
১৩তম ওভারে চাহালের বলে ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন ম্যাক্সওয়েল। ওভারে মোট ১৫ রান ওঠে। ১৩ ওভার শেষে ব্যাঙ্গালোরের স্কোর ২ উইকেটে ১০৭ রান। ম্যাক্সওয়েল ৮ বলে ২১ রান করেছেন। পতিদার ৩৫ বলে ৪৩ রান করেছেন।
১০.৪ ওভারে ওবেদ ম্যাকয়ের বলে অশ্বিনের হাতে ধরা পড়েন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ বলে ২৫ রান করে মাঠ ছাড়েন আরসিবি দলনায়ক। ব্যাঙ্গালোর ৭৯ রানে ২ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
অর্ধেক ইনিংস শেষ। ১০ ওভার শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান সংগ্রহ করেছে। ২৭ বলে ৩২ রান করেছেন রজত পতিদার। ২৫ বলে ২৫ রান করেছেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি।
৮ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ১ উইকেটে ৫৮ রান। ১৯ বলে ২০ রান করেছেন রজত। ডু'প্লেসি ২১ বলে ২২ রান করেছেন। দুই তারকাই ৩টি করে চার মেরেছেন।
৫.৫ ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণার বলে রজত পতিদারের সহজ ক্যাচ ছাড়েন রিয়ান পরাগ। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে আরসিবি ১ উইকেটে ৪৬ রান সংগ্রহ করেছে। ১৩ বলে ১৪ রান করেছেন রজত। ১৫ বলে ১৭ রান করেছেন ডু'প্লেসি।
৪ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ১ উইকেটে ২৫ রান। ৭ বলে ৪ রান করেছেন রজত। ডু'প্লেসি ৯ বলে ৬ রান করেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে রং ছড়াতে পারলেন না বিরাট কোহলি। ১.৫ ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণার বলে স্যামসনের দস্তানায় ধরা দেন বিরাট। ৮ বলে ৭ রান করে মাঠ ছাড়েন কোহলি। ব্যাঙ্গালোর ৯ রানে ১ উইকেট হারায় ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন এলিমিনেটরের নায়ক রজত পতিদার।
আরসিবির হয়ে ওপেন করতে নামেন বিরাট কোহলি ও ফ্যাফ ডু'প্লেসি। রাজস্থানের হয়ে বোলিং শুরু করেন ট্রেন্ট বোল্ট। দ্বিতীয় বলে ১ রান নিয়ে খাতা খোলেন কোহলি। তৃতীয় বলে ১ রন নেন ডু'প্লেসি। শেষ বলে ছক্কা মারেন কোহলি। প্রথম ওভারে ৮ রান ওঠে।
বিরাট কোহলি, ফ্যাফ ডু'প্লেসি (ক্যাপ্টেন), রজত পতিদার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মহীপাল লোমরোর, শাহবাজ আহমেদ, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), হার্ষাল প্যাটেল, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহম্মদ সিরাজ ও জোস হ্যাজেলউড।
জোস বাটলার, যশস্বী জসওয়াল, সঞ্জু স্যামসন (ক্যাপ্টেন ও উইকেটকিপার), দেবদূত পাডিক্কাল, শিমরন হেতমায়ের, রিয়ান পরাগ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ট্রেন্ট বোল্ট, ওবেদ ম্যাকয়, যুজবেন্দ্র চাহাল ও প্রসিধ কৃষ্ণা।
আরসিবির বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২২-এর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টস জিতল রাজস্থান রয়্যালস। টস জিতে সঞ্জু স্যামসন শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ব্যাঙ্গালোরকে। দু'দলই অপরিবর্তিত প্রথম একাদশে মাঠে নামে।
রাজস্থান রয়্যালস প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটানসের কাছে হেরে যায়। অন্যদিকে এলিমিনেটরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর হারিয়ে দেয় লখনউ সুপার জায়ান্টসকে।
রাজস্থান রয়্যালস লিগের ১৪ ম্যাচের ৯টিতে জয় তুলে নেয়। তারা ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে-অফে প্রবেশ করে। অন্যদিকে, আরসিবি লিগের ১৪ ম্য়াচের মধ্যে ৮টি ম্যাচে জয় তুলে নেয়। তারা ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পকেটে পোরে।
প্রথমবার আইপিএলে অংশ নিয়েই ফাইনালে উঠেছে গুজরাট টাইটানস। অন্যদিকে রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শুরু থেকে আইপিএল খেললেও তারা খুব বেশি সাফল্য পায়নি। রাজস্থান তবু উদ্বোধনী মরশুমে খেতাব জিতেছে। ব্যাঙ্গালোরের হাত খালি এখনও। এবার আইপিএলের অধরা ট্রফিটাই হাতে তুলতে মরিয়া কোহলিরা। তার আগে খেতাবি লড়াইয়ের টিকিট হাতে পেতে চোয়ালচাপা লড়াই চালাবে আরসিবি।