রবিবার জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে শেষ বলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৪ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ম্যাচের শেষ ওভারের শেষ বলে সন্দীপ শর্মা ‘নো’ করে বসেন। ফ্রি-হিট পায় হায়দরাবাদ। আব্দুল সামাদ সেই বলে ছক্কায় হাঁকিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন। তবে এই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল হ্যারি ব্রুকের পরিবর্তে কিউয়ি ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপসকে দলে নেওয়া।
১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে রাহুল ত্রিপাঠি রান-আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে আসেন গ্লেন ফিলিপস। প্রথম ২ বলে করেন ৩ রান। এর পর একই ওভারে চাহালের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক এডেন মার্করামও। ১৮ ওভারে ১৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে হায়দরাবাদ। সেই সময়ে হারের ভ্রুকুটি ঘিরে ধরেছিল পুরো টিমকেই।
আরও পড়ুন: আপনাদের কী আরও রান করা উচিত ছিল- প্রশ্ন শুনেই চটলেন সঞ্জু- ভিডিয়ো
জয়ের জন্য হায়দরাবাদের ১২ বলে ৪১ রান দরকার ছিল। এমন পরিস্থিতিতে ১৯তম ওভারে কুলদীপ যাদবের বিপক্ষে গ্লেন ফিলিপস হায়দরাবাদকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনতে পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকান। এর পর চতুর্থ বলে চার মারেন এবং এখান থেকেই ম্যাচের রং বদলাতে শুরু করে। পঞ্চম বলে অবশ্য তিনি আরও একটি বড় শট খেলার চেষ্টা করেন। তবে সেটি ক্যাচ হয়ে যায়। ডাইভ দিয়ে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন শিমরন হেতমায়ের।তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়। কিন্তু একটি চার ও তিনটি ছক্কার হাত ধরে তাঁর ৭ বলে ২৫ রানের ইনিংসই হায়দরাবাদের জয়ের আশা পুনরুজ্জীবিত করে।
আরও পড়ুন: আপনার কাজ ভালো খেলা, এর পর ফিরে যাওয়া- ভারতীয় ফ্যানদের একহাত নেওয়ায় SRH তারকাকে তোপ বীরুর
এ দিন ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হওয়া গ্লেন ফিলিপস মাত্র ৭ বলে মাত্র ২৫ রান করে নজিরও গড়ে ফেলেন। গ্লেন ফিলিপস মাত্র সাত বল খেলেছিলেন, যা আইপিএলের ইতিহাসে প্লেয়ার-অফ-দ্য-ম্যাচ পুরষ্কার জেতা ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে যারা প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়েছে, তারা কখনও এত কম বল খেলে এই পুরস্কার পাননি।
দলকে জেতানোর পর ফিলিপস বলেছেন, ‘আমি এমন একটি পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করতে নেমেছিলাম, যখন আমরা জিততেও পারতাম, আবার হেরে যেতেও পারতাম। এই পরিস্থিতিতে জয় পেয়ে ভালো লাগছে। আমরা সবাই নিজেদের কাজটা করতেই এখানে এসেছি। আমাদের কাছ থেকে এটাই চায় দল। আমাদের খেলার উপযুক্ত ফল পাওয়া গেল বলে খুশি হয়েছি। আমার ব্যাটিং করে দারুণ মজা লেগেছে। আমি যে বলে আউট হয়েছি, সেই বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। বড় শট খেলার বল মাঠের বাইরে পাঠাতে পারিনি বলে হতাশ হয়েছি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আমাদের ১৭ রান দরকার ছিল। সেই অবস্থা থেকে সামাদ দলকে জিতিয়ে দিল। আমরা ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছি। নো-বল আমাদের সাহায্য করেছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।