রবিবারই ২০২৩ আইপিএলের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্সের সামনে ২১৫ রানের লক্ষ্য রাখে রাজস্থান রয়্যালস।
হায়দরাবাদের ২১৫ রান তাড়া করে রাহুল ত্রিপাঠি, হেনরিখ ক্লাসেন এবং অবশেষে গ্লেন ফিলিপস এবং আব্দুল সামাদ সানরাইজার্সকে ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করেন। জেতার কাছাকাছি এসেও ম্যাচ হারায় মুষড়ে পড়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ম্যাচ পরবর্তী উপস্থাপনায় তিনি নিজের হতাশা লুকিয়ে রাখেননি। সঞ্জু বলেন, ‘এই ধরনের ম্যাচগুলিই আইপিএলকে স্পেশ্যাল করে তোলে। যতক্ষণ ম্যাচ না জিতে যাচ্ছি, ততক্ষণ কোনও স্বস্তি থাকে না। আমি জানতাম যে কোনও প্রতিপক্ষই জিততে পারে এবং ওরাও (হায়দরাবাদ) ভালো ব্যাটিং করেছে।’
আরও পড়ুন: আপনার কাজ ভালো খেলা, এর পর ফিরে যাওয়া- ভারতীয় ফ্যানদের একহাত নেওয়ায় SRH তারকাকে তোপ বীরুর
জেতার জন্য সানরাইজার্সের শেষ ওভারে ১৭ রান প্রয়োজন ছিল। সন্দীপ শর্মাকে বল দেন সঞ্জু। কিন্তু তিনি শেষ ওভারে ১৯ রান দিয়ে বসে থাকেন। সেই সঙ্গে ম্যাচও রাজস্থানের হাত থেকে বের হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ম্যাচের একেবারে শেষ বলে সঞ্জু নো করে বসেন। আর ফ্রি-হিটে ছক্কা হাঁকিয়ে হায়দরাবাদকে জেতান আব্দুল সামাদ। সকলে যখন রাজস্থানের হারের জন্য সন্দীপকে দায়ী করছেন, তখন রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু নিজের দলের প্লেয়ারের পাশে দাঁড়ালেও, ঘুরিয়ে কিন্তু সন্দীপকেই হারের জন্য দায়ী করলেন। সঞ্জু বলেছেন, ‘সন্দীপের উপর আমার বিশ্বাস ছিল। সে একই পরিস্থিতিতে সিএসকে-র বিরুদ্ধে আমাদের ম্যাচ জিতিয়েছে। আজও সেটা করতে পারত। কিন্তু সেই নো-বলই আমাদের হারের দিকে ঢেলে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোহিতের নাম ‘নো হিট শর্মা’ রাখা উচিত- MI অধিনায়ককে চূড়ান্ত কটাক্ষ শ্রীকান্তের
নিজের দলের ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সঞ্জু বলেন, ‘আমরা এই উইকেটে এত বড় স্কোর তুলতে গিয়ে ব্যাটিংটা সত্যিই ভালো করেছি। কিন্তু আমি মনে করি ওরা (SRH) সত্যিই বুদ্ধি করে ব্যাটিং করেছে। ওরা যে ভাবে ব্যাটিং করেছে, তার জন্য কৃতিত্ব ওদেরই যায়।’ সানরাইজার্সের বিপক্ষে দল যে ভাবে ব্যাটিং করেছে তাতে তিনি খুশি কিনা জানতে চাইলে সঞ্জু বলেন, ‘আমরা যে লক্ষ্যমাত্রাই নির্ধারণ করি কিনা, আসলে জেতার পরেই খুশি হওয়া যায়, তাই এই মুহূর্তে আমি খুশি নই।’
জয়ের জন্য কি আরও বড় স্কোর করা উচিত? এমন প্রশ্ন শুনে একটু বিরক্তই হন সঞ্জু। বলেন, ‘এটি একটি ভালো প্রশ্ন… তবে আমি এর উত্তর জানি না। সত্যি বলতে এই ফরম্যাটে খেলা সহজ নয়, বিশেষ করে এই টুর্নামেন্টে। প্রতিটি ম্যাচে আমাদের সেরা স্তরের ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা আবার কামব্যাক করবই।’
শেষ ওভারের শেষ বলটি ‘নো’ হওয়ায় সেই মুহূর্তে কী অনুভূতি হয়েছিল, সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে সঞ্জু বলেন, ‘এটি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলার নেই। এটি একটি নো বল। এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তাও করছি না। সন্দীপ জানে ওকে কী করতে হবে। হয়তো কয়েক সেকেন্ডের জন্য মানসিকতায় সামান্য পরিবর্তন হয়েছিল। আসলে ভেবেই নিয়েছিলাম, জিতে গিয়েছি। সবাই উদযাপন করছিল। কিন্তু আমি মনে করি, এটাই খেলার প্রকৃতি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।