সচিন তেন্ডুলকরকে ঘিরে নিজের মুগ্ধতার কথা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন রিকি পন্টিং। তিনি বলেছেন, ‘আমি যে প্রজন্মে খেলেছি, ও টেকনিক্যালি আমার দেখা সেরা খেলোয়াড়।’ রিকি পন্টিংয়ের মতে, এমন কোনও ব্যাটসম্যান তিনি দেখেননি, যিনি সচিনের মতো টেকনিক্যালি ভালো খেলেন।
সচিন তেন্ডুলকর ২৪ এপ্রিল তাঁর ৫০তম জন্মদিন উদযাপন করবেন। তার আগেই সচিনকে নিয়ে বড় দাবি করলেন পন্টিং। সচিনের বিরুদ্ধে অনেক ম্যাচই খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ফলে সচিনের শক্তি ও দুর্বলতা ভালো ভাবেই জানেন পন্টিং। তাই তিনিই সচিনকে তাঁর বিপক্ষ দলের ব্যাটারদের মধ্যে টেকনিক্যালি সেরা বলে দাবি করেছেন। ‘আইসিসি রিভিউ’-এ পন্টিং বলেছেন, ‘আমি বরাবরই বলে এসেছি, আমি যে ব্যাটারদের সঙ্গে একই দলে বা বিপক্ষ দলে খেলেছি তাদের মধ্যে সচিনই টেকনিক্যালি সেরা। আমরা ওর বিরুদ্ধে বোলিং করার সময় যে পরিকল্পনাই করতাম, তার মোকাবিলা করার ক্ষমতা ছিল ওর। ভারতের মাটিতে হোক বা অস্ট্রেলিয়ার, সচিন সবসময়ই সেরা।’
আরও পড়ুন: কোহলিদের খেলা দেখতে দর্শকাসনে দ্রাবিড়, ‘বিরাট-পতন’ দেখে হলেন নিরাশ
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘খেলোয়াড়দের র্যাঙ্ক করা এবং বিচার করা কঠিন। কারণ সকলেই আলাদা এবং প্রত্যেকে আলাদা স্টাইলে খেলে। তবে অবশ্যই আমি যে প্রজন্মে খেলেছি, তাতে আমার দেখা, ও (সচিন) টেকনিক্যালি সেরা খেলোয়াড় ছিল।’
সচিনের সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা করতে নারাজ পন্টিং। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে তুলনা করার চেষ্টা হয়। আমি জানি সচিনের ক্যারিয়ারের শেষ দিকে কিছু দিন একসঙ্গে খেলেছে বিরাট। কিন্তু এখন খেলা একটু বদলে গিয়েছে। খেলার নিয়ম কিছুটা বদলে গিয়েছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এখন ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে কম ফিল্ডার থাকে। দু'টি নতুন বলে খেলা হয়। এখন ব্যাটিং অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। ব্যাটও এখন আগের চেয়ে ভালো পাওয়া যাচ্ছে। সচিন যখন ওডিআই ক্রিকেট খেলত, তখন ইনিংসের শেষ দিকে বল প্রায় দেখতে পাওয়াই যেত না। বলের রং বদলে যাওয়ার পাশাপাশি বল নরমও হয়ে যেত। ফলে শট খেলা কঠিন হত। বল রিভার্স স্যুইংও করত। এখন ৫০ ওভারের ম্যাচে এ সব দেখা যায় না।।’
আরও পড়ুন: নেটে দীর্ঘ অনুশীলন, কোচ-অধিনায়কের সঙ্গে আলাদা করে কথা লিটনের, ওপেনিং জুটি একই থাকছে?
এর সঙ্গেই পন্টিংয়ের দাবি, ‘বিরাট এখনও অনেক দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবে। ও অবিশ্বাস্য রকমের ভালো খেলোয়াড়। সেই ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই। ওর এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০টির মতো শতরান হয়ে গিয়েছে। সচিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি শতরান করেছে। সচিনের সঙ্গে তুলনা করতে হলে বিরাটের ক্যারিয়ার শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। একজন খেলোয়াড় কত দিন ধরে খেলতে পারছে, সেটা দেখেই আমি তার গুণের বিচার করি। কারণ, দীর্ঘ দিন ধরে সেরা ফর্মে খেলে যাওয়া সবচেয়ে কঠিন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।