লখনউয়ের কাছে ৭৫ রানে হেরে এসে পরের ম্যাচেই মুম্বইকে ৫২ রানের বড় ব্যবধানে হারাল কলকাতা নাইটরাইডার্স। ম্যাচের পর শাহরুখ খানের সেই বিখ্যাত সংলাপের কথা মনে পড়তেই পারে কেকেআর সমর্থকদের – ‘হারকে জিতনে ওয়ালে কো বাজিগর কেহতে হ্যাঁ।’ তবে দলের অধিনায়ক শ্রেয়স কিন্তু এই জয়তেও সন্তুষ্ট নন। এবং ম্যাচ শেষে শ্রেয়সের কথায় সেই বিষয়টি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। শ্রেয়স জানান, মুম্বইকে হারিয়ে কেকেআর অধিনায়ক ‘খুশি’ তবে তিনি আগামী ম্যাচগুলির দিকে নজর ঘোরাতে চান। পাশাপাশি দলের প্রথম একাদশ বারবার বদল করার ‘কঠিন কাজের’ কথাও তুলে ধরেন শ্রেয়স।
এদিন ম্যাচ শেষে শ্রেয়স বলেন, ‘যদি আপনি গত ম্যাচের দিকে তাকান, আমরা বড় ব্যবধানে হেরেছি। সেখানে থেকে ফিরে এসে এত বড় ব্যবধানে এই ম্যাচ জিততে পেরে আমি খুশি। আজকে আমরা প্রথম থেকেই পাওয়ারপ্লেতে ভালো ভাবে শুরু করেছিলাম। পরে নীতীশ এসে পোলার্ডকে বেছে নিয়ে ছয় মেরেছে। তবে নতুন ব্যাটারদের কাছে এই পিচে নেমে ব্যাট করা একটু কঠিন ছিল। এরপর যখন আমরা বল করতে আসি, তখনও আমরা আমাদের পরিকল্পনা মাফিক খেলতে পেরেছি। আমরা জানতাম মুম্বইয়ের কয়েকটা উইকেট যদি আগে ফেলা যায় তাহলেই ওরা চাপে পড়ে যাবে।’
এদিকে বিগত কয়েক ম্যাচ ধরে দলে বেশ কয়েকটি বদল হয়েছে। প্যাট কামিন্স, বেঙ্কেটেশ আইয়ার, অজিঙ্কা রাহানেদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল। দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না বরুণ চক্রবর্তীও। তবে গত ম্যাচে এরা সবাই প্রথম একাদশে সুযোগ পান। দলে এত বদল প্রসঙ্গে শ্রেয়স বলেন, ‘এটা খুব কঠিন। আমি নিজে যখন আইপিএল খেলতে শুুর করেছিলাম, আমিও এর ভুক্তভোগী ছিলাম। আমরা কোচেদের সঙ্গে কথা বলি এই নিয়ে, সিইও নিজে দল বাছাইয়ের সঙ্গে যুক্ত, ব্যাজ (ব্রেন্ডন ম্যাককালাম) নিজে গিয়ে খেলোয়াড়দের জানিয়ে আসে যে আজকে সে খেলছে কি খেলছে না। তবে যাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সবাই সেটাকে সমর্থন করে।’
শ্রেয়স এদিন আরও বলেন, ‘আমরা যেভাবে নিজেদের মন উজাড় করে দিয়ে ভালো ভাবে খেলেছি, তাতে আমি গর্বিত। জয়টা ব্যাপক ছিল। ম্যাচটা জেতার জন্য খেলোয়াড়রা উদ্বুদ্ধ ছিল। আগের ম্যাচগুলোর ফলাফল আমাদের জন্য ভালো ছিল না। আপনি যখন হেরে যাচ্ছেন তখন এটা আপনার মনে থাকে সেই বিষয়টা। আমি সন্তুষ্ট নই, তবে অন্যান্য গেমগুলিতে আরও শক্তি নিয়ে ফিরে আসার জন্য আমি এই গতি বজায় রাখতে চাই।’