মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফিনিশার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে দীনেশ কার্তিকের মধ্যেও যে সেই গুণটা রয়েছে, সেটা বোঝা যায় নিদাহাস ট্রফিতে। চলতি আইপিএলে কার্তিক নিজেকে সেই ভূমিকায় যেভাবে তুলে ধরেছেন, তাতে এই মুহূর্তে তাঁকে বিশ্বের সেরা ফিনিশার বলেও ডাকা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
চলতি আইপিএলে কার্তিকের পারফর্ম্যান্সে মুগ্ধ বিশেষজ্ঞরাও। সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা সেখানে প্রাক্তন নাইট অধিনায়ককে নিয়ে যে উচ্ছ্বসিত হবেন, সেটা অতি স্বাভাবিক বিষয়।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলে চলেছেন কার্তিক। সংক্ষিপ্ত অথচ কার্যকরী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকছেন অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। তবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলার পরে বিরাট কোহলিকেও মোহিত দেখায় দীনেশ কার্তিকে।
ফজলহক ফারুকির শেষ ওভারে পরপর ৩টি ছক্কা ও ১টি চার মেরে সাজঘরে ফেরার পরে কার্তিককে মাথা নীচু করে কুর্নিশ জানান বিরাট কোহলি। এমন মুহূর্তের ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তে।
ব্যাট হাতে যেরকম ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন কার্তিক, তাতে তাঁর টি-২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাকা বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনও সেই দলেই নাম লিখিয়েছেন।
আইপিএল ২০২২-এ ব্যাট হাতে কার্তিকের তাণ্ডব:-
বনাম পঞ্জাব: ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে অপরাজিত ৩২ রান।
বনাম কেকেআর: ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭ বলে অপরাজিত ১৪ রান।
বনাম রাজস্থান: ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে অপরাজিত ৪৪ রান।
বনাম মুম্বই: ১টি ছক্কার সাহায্যে ২ বলে অপরাজিত ৭ রান।
বনাম চেন্নাই: ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ৩৪ রান।
বনাম দিল্লি: ৫টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে অপরাজিত ৬৬ রান।
বনাম লখনউ: ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে অপরাজিত ১৩ রান।
বনাম চেন্নাই: ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে অপরাজিত ২৬ রান।
বনাম হায়দরাবাদ: ১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে অপরাজিত ৩০ রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।