লিগে সকলকে পিছনে ফেলে দিয়ে একেবারে শীর্ষস্থানের দখল নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু শেষ রক্ষা তারা করতে পারল কই! প্লে-অফ থেকেই ছিটকে যেতে হল তাদের। প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুইয়ে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারে তারা। তার পর বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হারল। যার নিটফল, লিগ টেবলের শীর্ষে থেকে শেষ করেও ফাইনালে ওঠা হল না দিল্লির। বুধবার আইপিএল থেকেই ছিটতে যেতে হল দিল্লিকে।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একই ভাবে লিগ টেবল থেকে ছিটকে গিয়েছে দিল্লি। ২০১২ সালে লিগ টেবলের শীর্ষে থেকে শেষ করেছিল তারা। কিন্তু সে বারও তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল দিল্লিকে (তখন দিল্লি টিমের নাম ছিল দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস)। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা। সে বারও ফাইনালে কলকাতা আর চেন্নাই মুখোমুখি হয়েছিল।
২০১৬ সালে গুজরাট লায়ন্সও লিগ টেবলের শীর্ষে শেষ করেছিল। কিন্তু আইপিএলে তৃতীয় হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদেরও। ঠিক একই ঘটনা এ বারও ঘটল দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে।
বুধবার টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৩৫ রান করে দিল্লি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২.২ ওভারে ৯৬ রানে ১ উইকেট থেকে ১৯.৪ ওভারে ১৩০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে কলকাতা। যার ফলে জেতা ম্যাচ কার্যত হাতছাড়া করে ফেলেছিল নাইট রাইডার্স। ২ বলে ৬ রান করতে হত তাদের। আগের দু'টি বলে দুই উইকেট হারিয়েছে কলকাতা। সেখান থেকে চাপের মধ্যেও ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ১৯.৫ ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতাকে জিতিয়ে দেন রাহুল ত্রিপাঠি। তিনি হয়ে যান বাজিগর। সেই সঙ্গে আইপিএল থেকে ছিটকে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস।