ভারতের করোনা আতঙ্ক এখনও তাঁর পিছু ধাওয়া করে চলেছে। কিছুতেই এই আতঙ্ক তিনি কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। নিজের দেশে পরিবারের মাঝে ফিরে যাওয়ার পরও তিনি স্বস্তি পাচ্ছেন না। কথা হচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান টিম সেইফার্টের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলতে এসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সেইফার্ট। আর সেই অভিজ্ঞতা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ভাগ করে নিতে গিয়ে কেঁদেই ভাসালেন কিউয়ি তারকা প্লেয়ার।
অন লাইন সাংবাদিক সম্মেলনে সেইফার্ট বলছিলেন, ‘ওই সময়কার কথা ভাবলেই খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে প্রথম কয়েক দিন কেটে যাওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল। তবে বুঝতেই পারছিলাম, আগামী দিনগুলো আরও কঠিন হতে চলেছেে, তাই নিজেকে পজিটিভ রাখার চেষ্টা করতাম সব সময়।’
আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের বাকি প্লেয়াররা ফিরে গেলেও, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁকে ভারতেই থেকে যেতে হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের সতীর্থদের ফিরে যাওয়ার খবরে মানসিক ভাবে আরও ভেঙে পড়েছিলেন সেইফার্ট। তিনি বলেছেন, ‘মনে হচ্ছিল, গোটা পৃথিবীটা যেন থমকে গিয়েছে। আমার ভাবনাশক্তি যেন লোপ পেয়েছিল। এর পর আমি ভয়ও পেয়েছিলাম খুব। মনে হচ্ছিল, কোভিড নিয়ে যা যা খারাপ কথা শুনেছি, সেগুলি আমার সঙ্গেই ঘটবে এ বার।’
আসলে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরই যে হারে সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছিল, তাতে চিকিৎসা পরিষেবা ভেঙে পড়েছিল। অক্সিজেনের হাহাকার শুরু হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সেইফার্টও ভেবে নিয়েছিলেন, তাঁকেও এ বার চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। তবে তাঁকে সে রকম কোনও খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। সে কারণে নিজেকে ‘ভাগ্যবান’ বলেছেন সেইফার্ট।
তিনি স্টিফেন ফ্লেমিং এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। কারণ ওই সময়ে তাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকে সাহস জুগিয়েছিলেন। সেইফার্ট বলেছেন, ‘ওদের জন্যই এই বিষয়টি আমার কাছে সহজ হয়ে গিয়েছিল।’ এরই সঙ্গেই তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের সিইও ভেঙ্কি মাইসরের কথাও বলেছেন। জানিয়েছেন, তিনি সব সময় সেইফার্টের খেয়াল রেখেছেন এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরতে সাহায্য করেছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।