আইপিএল-এ ‘Soft সিগনাল’ -এর দাবি করলেন হর্ষ ভোগলে। শুক্রবার পঞ্জাব কিংস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচে বিতর্কিত নট-আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের মতামত দিলেন ক্রিটেক বিশেষজ্ঞ। তাঁর মতে এমন ঘটনার জন্যই ক্রিকেটে ‘Soft সিগনাল’ -এর দরকার। আসলে ক্রিকেটে লো ক্যাচ ধরার জন্য আম্পায়ারদের যে ‘Soft সিগনাল’ –এর প্রয়োজন হয় তা এদিন স্পষ্ট হয়ে গেল।
পঞ্জাব কিংস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসের ১৯তম ওভারে শিবম মাভির তৃতীয় বল লেগ-সাইডে তুলে মারেন লোকেশ রাহুল। বাউন্ডারি লাইন থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে রাহুল ত্রিপাঠী সামনের দিকে শরীর ছুঁড়ে দিয়ে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন। ক্যাচটি ছিল বিতর্কিত লো ক্যাচ। মাটির খুব কাছ থেকে ক্যাচ ধরেন ত্রিপাঠী। ফিল্ডার বল যথাযথ তালুবন্দি করতে পেরেছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হয় আম্পায়ারদের। কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে ফিল্ড আম্পায়াররা বিষয়টি বিবেচনার জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেন। তবে সেই সময় নেওয়া হয়নি কোনও ‘Soft সিগনাল’।
টেলিভিশন আম্পায়ার অনিল ডান্ডেকর বেশ কয়েরবার রিপ্লে খতিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, বল মাটি ছুঁয়ে ত্রিপাঠীর হাতে জমা পড়েছে। ফলে লোকেশ রাহুলকে নট-আউট দেওয়া হয়। এরপরেই ক্রিকেট মহল এই বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখলে মনে হবে বলটি আগে মাটিতে পড়েছে। আবার অন্য দিক থেকে দেখলে বা ক্রিকেটের বুদ্ধি দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে বলের নিচে ফিল্ডারের হাত ছিল।
এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন হর্ষ ভোগলে। তিনি জানান, লো ক্যাচের জন্য ‘Soft সিগনাল’ -এর খুব দরকার। তিনিও এটিকে আউট হিসাবে মনে করছেন। হর্ষ ভোগলের সঙ্গে একমত সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের এক অংশ। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন যে, এক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।