ফাইনালে হারতে হলেও রাজস্থান রয়্যালসের আইপিএল ২০২২ মন্দ কাটেনি। আগাগোড়া ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন সঞ্জু স্যামসনরা। মেগা নিলাম থেকে ঢেলে দল সাজানোর পরে রাজস্থান স্কোয়াডের মূল প্লেয়ারদের চিহ্নিত করে ফেলেছে। স্বাভাবিকভাবেই দলে কাদের প্রয়োজন বেশি এবং কাদের দরকার পড়বে না, তা নির্ধারণ করে ফেলেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সঙ্গত কারণেই পরের মরশুমে কয়েকজন ক্রিকেটারকে স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দিতে পারে রাজস্থান। দেখে নেওয়া যাক তালিকা-
জিমি নিশাম: কিউয়ি অল-রাউন্ডার আইপিএল ২০২২-তে মাত্র ২ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পান। সাকুল্যে ৩১ রান করেন। পারফর্ম্যান্স দিয়ে নিশামকে বিচার করার সুযোগ নেই। তবে প্রয়োজন পড়বে না বলেই তাঁকে ছেড়ে দিতে পারে রাজস্থান। বাটলার, বোল্ট, হেতমায়ের, ফিট থাকলে প্রথম একাদশে এই তিন বিদেশি ক্রিকেটারের জায়গা পাকা। ওবেদ ম্যাকয় টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার মর্যাদা দিয়েছেন। পরের বছর কুল্টার-নাইল ফিরলে নিশামকে অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে রাজস্থানের।
ডারিল মিচেল: নিশামের মতোই কিউয়ি অল-রাউন্ডার ডারিল মিচেলকেও প্রয়োজন নাও পড়তে পারে রাজস্থান রয়্যালসের। সেক্ষেত্রে পরের মরশুমে মিচেলকেও ছেড়ে দিতে পারে রাজস্থান রয়্যালস। মিচেল এবছর ২টি ম্যাচে মাঠে নেমে ৩৩ রান করেছেন। নিশামের মতোই কোনও উইকেট নিতে পারেননি তিনি।
নভদীপ সাইনি: ২৯ বছর বয়সী ভারতীয় পেসার জাতীয় দলের আঙিনায় ঘোরাফেরা করলেও পরের মরশুমে নভদীপ সাইনিকে ছেড়ে দিতে পারে রাজস্থান। কেননা, বোলিং লাইনআপে তাঁকে জায়গা করে দেওয়াই মুশকিল। অশ্বিন-চাহালের স্পিন জুটির বাইরে রাজস্থান আপাতত কিছু ভাববে বলে মনে হয় না। বোল্টের সঙ্গে প্রসিধ কৃষ্ণার জুটি হিট হয়েছে। ম্যাকয় নজর কেড়েছেন। এখন কুলদীপ সেন সম্ভাবনা দেখানোয় কপাল পুড়তে পারে সাইনির। নভদীপ এবছর ২টি ম্যাচে মাঠে নেমে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন।