২০১১-র বিশ্বকাপ ফাইনাল ছিল দুই দেশের লড়াই। ২০২২ সালের আইপিএল ফাইনাল – দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির লড়াই। ১১’র বিশ্বকাপ ফাইনাল ছিল ৫০ ওভারের খেলা, ২২’র আইপিএল ফাইনাল ২০ ওভারের... দুই ম্যাচের মধ্যে ১১ বছরের ব্যবধান। এমন কোনও খেলোয়াড় ২২’র আইপিএল ফাইনাল খেলতে নামেননি, যাঁরা ১১’র ফাইনালে খেলেন। তবুও এই দুই ফাইনালে রয়েছে অবিশ্বাস্য কিছু ‘মিল’। আর ট্রফি জিততেই সেই ‘মিল’ তুলে ধরে টুইট করল গুজরাট টাইটানস।
২০১১ সালের ফাইনালে ৭ নম্বর জার্সি পরিহিত ধোনির ছক্কায় খেলা শেষ হয়েছিল। ২০২২-এর ফাইনালে গুজরাতের ৭ নম্বর জার্সিধারী শুভমন গিল ছক্কা মেরে খেলা জেতান দলকে। ২০১১ সালের ফাইনালে ভারতীয় ডাগআউটে ছিলেন গ্যারি কার্স্টেন (তৎকালীন ভারতীয় দলের কোচ) এবং আশীষ নেহরা (ভারতীয় দলের প্রাক্তন পেসার)। গতকালকের ফাইনালে তাঁরা দু’জন ছিলেন জয়ী গুজরাট টাইটানসের ডাগআউটে। ২০১১ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার জার্সিতে হারের ঢেকুর গিলতে হয়েছিল কুমার সাঙ্গাকারা এবং লাসিথ মালিঙ্গাকে। ২২-এর আইপিএল ফাইনালে এই দুই মহারথী ফের হারলেন, এবার অবশ্য কোচি স্টাফ হিসেবে। আর দুই ফাইনালের এই সব মিল তুলে ধরেই একটি টুইট করে গুজরাট টাইটানস।
উল্লেখ্য, রবিবার টসে জিতে সঞ্জু স্যামসন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত বোলিং রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দেয়। বল হাতে ফাইনালে গুজরাট অধিনায়ক তিন উইকেট নেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩০ রান করে রাজস্থান। ১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুজরাট শুরুতেই ঋদ্ধিমান ও ম্যাথু ওয়েডকে হারালেও ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক হার্দিক এবং ওপেনার শুভমন গিল। পরে ৩৪ রান করে হার্দিক সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন শুভমন গিল এবং ডেভিড মিলার। শুভমন ৪৩ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ জেতানো ছক্কার শটটি আসে তাঁর ব্যাট থেকেই। প্রাক্তন নাইট তারকাকে যোগ্য সঙ্গত দেন ডেভিড মিলার। মাত্র ১৯ বলে তিনি করেন ৩২ রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।