এখনও ভারতের করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। ৪ মে আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরেই নিজের দেশে ফিরতে না পারলেও, মলদ্বীপে সুরক্ষিত ভাবে পৌঁছে গিয়েছিলেন ওয়ার্নাররা। তার পরও বহু দিন কেটে গিয়েছে। আইপিএল অংশগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ানরা এখন সুরক্ষিত ভাবে যে যাঁর বাড়িতেই রয়েছেন। আর বাড়িতে পৌঁছানোর পরেই ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন ওয়ার্নার।
অস্ট্রেলিয়ার একটি রেডিয়ো শো-তে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘প্রত্যেকেই একটা ধাক্কা খেয়েছিল, যখন টিভিতে বারবার যখন দেখানো হচ্ছিল, ভারতে অক্সিজেন সমস্যা কতটা তীব্র আকার নিয়েছে। মাঠে যাতায়াতের পথে বেশ কয়েক বার আমরা দেখেছিলাম, রাস্তায় লোক সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাদের পরিবারের লোকজনের শেষকৃত্যের জন্য। এমনকী একই লোকজনকে সেখানে একাধিকবার দেখা গিয়েছিল। এটা খুবই ভয়ানক একটা বিষয় ছিল। মানবিক দিক থেকে এটা খুবই হতাশাজন।’
করোনার জেরে আইপিএল স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় বিসিসিআই। আর এই সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক ছিল বলে দাবি করেছেন ওয়ার্নার। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, একদম ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আমরা ম্যাচ খেলতে অন্যত্র যাওয়া আসা করার জন্য, বিমানে ওঠা-নামা করতেই হত, সে ক্ষেত্রে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকাটাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠত।’ এরই সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘ভারতে টুর্নামেন্টটি (আইপিএল) করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা প্রত্যেকেই জানি, ভারতের মানুষ খুবই ক্রিকেট পছন্দ করে। ক্রিকেট দেখেই দেশের অর্ধেক লোকের মুখে হাসি ফোটে।’
করোনার থাবা যখন আইপিএলেও পড়ে, তখন ভারত থেকে যে কোনও উপায়ে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন ওয়ার্নাররা। তিনি বলেওছেন, ‘এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। যত শীঘ্র সম্ভব ওখান থেকে বেরিয়ে আসাটা দরকার ছিল। মলদ্বীপে আমাদের মতো অনেকেই ছিল। তারাও কিন্তু আমাদের মতোই দেশে ফিরতে পারছিল না বলে, মলদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছিল। কারণ ভারত থেকে অন্যান্য দেশে ঢোকার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।