রাজস্থান রয়্য়ালসের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় পেল আরসিবি। সঞ্জু স্যামসনের দলকে মাত্র ৫৯ রানে গুটিয়ে দিলেন বিরাট কোহলিরা। শেষ ম্যাচে অর্থাৎ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে খুব সহজেই জয় পায় রাজস্থান রয়্য়ালস। যশস্বী জয়সওয়ালের শতরানে ভর করে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। কিন্তু ঠিক পরের ম্যাচেই অর্থাৎ ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে ধাক্কা খেল সঞ্জু স্যামসনের দল। এদিন সুপার সানডেতে জয়পুরে মুখোমুখি হয় রাজস্থান রয়্যালস এবং রয়্যালস চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু'প্লেসির ৪৪ বলে ৫৫ রান (৩টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি) এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৩৩ বলে ৫৪ রানে (৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি) ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তোলে আরসিবি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। কেকেআর ম্যাচে শতরান করা যশস্বী খাতা খুলতে না পেরেই সিরাজদের বলে ফিরে যান। বাটলারও পার্নেলের বলে ফিরে যান খাতা খুলতে না পেরেই। পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। অধিনায়ক সঞ্জু মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান। জো রুটও মাত্র ১০ রান করেন। পরপর উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে রাজস্থান।
এই ম্যাচে হার কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় রাজস্থানের। কিন্তু শেষ চেষ্টা চালিয়ে যান শিমরন হেতমেয়ার। ৮ ওভারের মাথায় পরপর তিনটি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। কিন্তু তখন ম্যাচ হাতের বাইরে চলে যায়। পরিস্থিতি একটুও বদলায়নি।
কিন্তু সেই ওভারের পরই ম্যাচ শেষ হতে খুব একটা দেরি হয়নি। ১০ ওভারের মাথায় হেটমেয়ার ১৯ বলে ৩৫ রানে ফিরে যেতেই ম্যাচে হার নিশ্চিত হয়ে যায় রাজস্থানের। ১০.৩ ওভারে মাত্র ৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজস্থান। ১১২ রানে জয় আরসিবির। আইপিএলে সর্বনিম্ন স্কোরের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই ম্যাচ। এর আগে ২০১৭ সালে কেকেআরের বিরুদ্ধে আরসিবি ৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায় এবং ২০০৯ সালে কেপটাউনে রাজস্থান আরসিবির বিরুদ্ধে ৫৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফের একবার লজ্জার ইতিহাসের খাতায় নাম লেখাল রাজস্থান রয়্যালস।
ম্যাচ শেষে আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু'প্লেসি জানান, 'আমাদের নেট রানরেটের জন্য খুব ভালো ম্যাচ। এই পিচটা খুবই কঠিন। কিন্তু তারপরও আমরা এই পরিস্থিতির মধ্যে প্রথমে ব্যাট করেছি। যখন আমরা পাওয়ারপ্লেতে ব্যাট করছিলাম তখন আমরা ভেবেছিলাম এই পিচে ১৬০ খুব ভালো রান। আমরা ১৫ ওভার পর্যন্ত ধরে ধরে খেলেছি। তারপরই আমরা কিছুটা হলেও নিজেদের খেলা পরিবর্তন করি। ব্রাকওয়েল খুব ভালো বল করেছে। আমাদের একজন বাঁহাতি স্পিনারের প্রয়োজন। তবে আমরা চাই একজন রিস্ট স্পিনারকে। আজকের দিনটা দলের জন্য ভালো ছিল। শেষ দুই ম্যাচে জিততে এই আত্মবিশ্বাস দরকার ছিল।'
(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।