গতির মাহাত্ম্য প্রথম দিকে বুঝতে পারেননি ভারতের পেস বোলার ভুবনেশ্বর কুমার। পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেস বোলিং-এ গতির প্রয়োজন বুঝতে পেরেছেন তিনি। তারপরে ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত নিজের সুইং বোলিং-এ গতির মাত্রা যোগ করেছেন। এরপর ফল হাতে নাতে পেয়েছিলেন ভুবনেশ্বর। নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পেস বোলার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের প্রথম দিকে নিজের বোলিং-এর গতি নিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। তিনি ভাবতেন তাঁর বোলিং-এ যা গতি আছে তা যথেষ্ট। এরপর নিজের বোলিং-এ সুইংকে উন্নত করার দিকে মন দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুঝতে পারেন, শুধু সুইং করলেই চলবেনা, ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখতে হলে সুইং-এর সঙ্গে গতিকেও হাতিয়ার করতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে নিজের গতির উপর কাজ করতে থাকেন ভুবি। পরে নিজের নিজের লক্ষ্যে পৌঁছান তিনি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছে,
যেখানে ভুবনেশ্বর কুমার নিজের পেস বোলিং-এর গল্প জানালেন। তিনি বললেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম কয়েকটা বছর আমি ভাবতে পারিনি যে গতি এমন একটা বিষয় যেটা আমায় আরও বাড়াতে হবে। খেলতে খেলতে আমার মনে হল, আমার সুইং-এর সঙ্গে আমার গতিকেও উন্নতি করতে হবে। কারণ ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতির বলে সুইং থাকলে ব্যাটসম্যানের কোনও অসুবিধা হচ্ছেনা, তারা সেটাকে মানিয়ে নিচ্ছিল। তাই, আমি আমার গতিকে বৃদ্ধি করতে চাই, কিন্তু আমি জানতাম না এটা কী করে করতে হয়। এরপর সাধারণ নিয়ম মেনে নিজে কঠিন অনুশীলন করতে থাকি ও বেশির ভাগ সময়টা জিমে কাটাতে থাকি।’
৩১ বছরের এই পেস বোলার নিজের সুইং বোলিংএ বর্তমানে কিছু বাড়তি পেস যুক্ত করতে পেরেছেন। বর্তমানে তিনি গড়ে ঘন্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করছেন। যারফলে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা সমস্যায় পড়ছেন।
ভুবনেশ্বর কুমার আরও জানিয়েছেন, ‘ভাগ্যক্রমে, আমি আমার বোলিং-এর গতি উন্নত করতে সক্ষম হয়েছি এবং এটি আমাকে পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। সুতরাং হ্যাঁ, আপনি যখন যদি গতি পান, সেটা ১৪০ কিলোমিটার প্লাস না হলেও যদি সেটা ১৩০ কিলোমিটারের মাঝামাঝিও হয় এবং তার সঙ্গে নিজের সুইংকে যদি আপনি ধরে রাখতে পারেন ব্যাটসম্যানের বল বুঝতে অসুবিধা হবেই।’