Lack of support for KKR at Eden: শামি-ইশানদের না নেওয়ার ফল না বাজে পারফরম্যান্স? কেন ইডেনে সমর্থন কমছে KKR-র

কেন দিন দিন কলকাতা নাইট রাইডার্সের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সমর্থকরা? বেশ কয়েকটি কারণ উঠে এল এবার।

কেকেআর বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচে ইডেন গার্ডেন্স। ছবি- টুইটার 

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচে ইডেন গার্ডেন্সকে দেখে মনে হয়েছে এখানে কেকেআর অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলছে। কেকেআরের সমর্থকের থেকে চেন্নাইয়ের সমর্থক অনেক বেশি দেখা যায়। গোটা ইডেন হলুদ জার্সিতে ঢেকে যায়। শুধু চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচেই নয়, পাশাপাশি আরসিবির বিরুদ্ধেও একই ছবি ধরা পড়ে। অধিকাংশ সমর্থককে আরসিবির জার্সিতে দেখা যায়। ফলে এই দুই ছবি দেখে এটা স্পষ্ট, সময় যত গড়াচ্ছে ততই কেকেআরের সমর্থক কমছে। সেটা একপ্রকার পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও মিলেছে কেকেআর দলের অন্যতম কর্ণধার জুহি চাওলার গলায়।

কেন এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে? কেনই বা নিজের শহরের দলকে ভরসা করতে পারছেন না সমর্থকরা? এমনই একাধিক প্রশ্ন সামনে এসেছে। তবে মনে করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতির জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা কাঠগড়ায় তুলছেন নাইট কর্তাদের। কারণ হিসাবে অনেক কিছুই সামনে এসেছে।

প্রথমত, আইপিএলে অন্য সব ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সেই রাজ্যের ক্রিকেটার থাকলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সে পশ্চিমবঙ্গের কোনও ক্রিকেটার নেই। এই অভিযোগ আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার ক্রিকেটারদের উপর বিশ্বাস হারিয়েছেন নাইট কর্তারা। তাই বাংলার ক্রিকেটারদের বাদ দিয়েই দল সাজান বেঙ্কি মাইসোররা। বাধ্য হয়েই অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে দেখা যায় বাংলার ক্রিকেটারকে। সেখানে ভালো পারফরম্যান্স করলেও নাইট কর্তাদের তা নজরেই পড়ে না। বাধ্য হয়েই অনেক সমর্থক নাইটদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

যেখানে বেশ কিছু বাংলার ক্রিকেটার অন্য দলের হয়ে দুর্দান্ত খেলছেন, সেখানে কলকাতায় আইপিএলের দল থেকেও তাদের জায়গা হয় না। এটা শুধুমাত্র এই বছরই নয়, গত কয়েক বছর ধরেই বাংলার ক্রিকেটারদের উপর থেকে ভরসা উড়ে গিয়েছে নাইট টিম ম্যানেজমেন্টের। এমনটা অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। শুধু সমর্থকরাই নন, বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন শাহরুখ খানের দল থেকে। আইপিএলে যেখানে ঋদ্ধিমান সাহা গুজরাট টাইটানসের হয়ে দুর্দান্ত খেলছেন। অপরদিকে দিল্লিতে খেলছেন মুকেশ কুমার, অভিষেক পোড়েল এবং আরসিবিতে খেলছেন আকাশদীপ এবং শাহবাজ আহমেদ। অনেকেই নিজেদের সেরা দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের দলে নিতে হাত বাড়ান না বেঙ্কি মাইসোররা।

দ্বিতীয়ত, প্রায় প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এমন বেশ কয়েক জন রয়েছেন যারা স্টার ক্রিকেটার। কিন্তু নাইট দলে সেই সংখ্যা নেই বললেই চলে। নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট বরাবরই স্টার ক্রিকেটারের দিকে না ঝুঁকে প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে তুলে আনে। যাদের হয়ত অনেকেই চেনে না। এবারের আইপিএলে নাইটদের সেরা আবিস্কার সুয়াশ শর্মা।

তৃতীয়ত, বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এমন কিছু ক্রিকেটার রয়েছেন যারা প্রথমবার থেকে সেই দলের সদস্য। অথবা দীর্ঘদিন ধরে এই দলের হয়ে খেলছেন এবং সেই সঙ্গে অধিনায়কত্ব পালন করছেন। কেকেআরে সুনীল নারিন এবং আন্দ্রে রাসেল অনেক দিন ধরেই রয়েছেন। তবে তাদের অফ ফর্ম যেমন চিন্তায় রেখেছে সমর্থকদের, ঠিক তেমনই এই দুই ক্রিকেটারকে আগের ফর্মে না দেখায় স্টেডিয়াম থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। 

চতুর্থ, দীর্ঘদিন ট্রফির দেখা নেই কেকেআরের। ২০১২ এবং ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় শাহরুখ খানের দল। তারপর থেকে আর চ্যাম্পিয়ন হয়নি তারা। প্লেঅফে একাধিকবার উঠলেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ট্রফি না জেতায় হতাশ নাইট সমর্থকরা। বেশ কিছু কারণের জন্যই দু'বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন নাইট সমর্থকরা।

(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl)