ওমেনস টি-২০ চ্যালেঞ্জে প্রথমবার মাঠে নামার সুযোগ পান সাবভিনেনি মেঘনা। টুর্নামেন্টে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করে দলকে বড় রানের লক্ষ্য পৌঁছে দেন তিনি। আগ্রাসী ইনিংস খেলার পথে সুযোগ ছিল শেফালি বর্মার সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার। তবে অল্পের জন্য সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় মেঘনার।
পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ওমেনস টি-২০ চ্যালেঞ্জের তৃতীয় তথা শেষ লিগ ম্যাচে টস জেতে ভেলোসিটি। টস জিতে দীপ্তি শর্মা শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান স্মৃতি মন্ধনার ট্রেলব্লেজার্সকে। ক্যাপ্টেন মন্ধনার সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন মেঘনা। মন্ধনা মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে মেঘনা ব্যাট হাতে চার-ছক্কার ঝড় তোলেন।
মাত্র ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মেঘনা। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটি তৃতীয় দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি। ওমেনস টি-২০ চ্যালেঞ্জে সব থেকে কম ৩০ বলে হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে শেফালি বর্মার নামে। তিনি সুপারনোভাসের বিরুদ্ধে গত ম্যাচেই এই নজির গড়েন।
এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জেমিমা রডরিগেজ, যিনি এদিন মেঘনার সঙ্গে ১১৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ২০১৯ সালে ভেলোসিটির বিরুদ্ধে জেমিমা ৩১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন। এই ম্যাচে জেমিমা ৩৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
আরও পড়ুন:- Women's T20 Challenge: সব থেকে কম বলে হাফ-সেঞ্চুরি, জেমিমার রেকর্ড ভাঙলেন শেফালি
শেষমেশ মেঘনা ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৭৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন। চলতি টুর্নামেন্টে এটিই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। লরা উলভার্টের পরে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ওমেনস টি-২০ চ্যালেঞ্জের অভিষেক ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি করেন মেঘনা।
জেমিমা ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ৬৬ রান করে আউট হন। ট্রেলব্লেজার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯০ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলেন। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত এটিই সব থেকে বেশি রানের দলগত ইনিংস। সুতরাং ম্যাচ জিততে হলে দীপ্তি শর্মাদের ফের রান তাড়া করার রেকর্ড গড়তে হবে।
যদিও ফাইনালে উঠতে হলে মন্ধনাদের ৩১ রানের বেশি ব্যবধানে জিততেই হবে। সুতরাং, ১৫৯ রানে পৌঁছলেই ম্যাচ হেরেও ফাইনালে চলে যাবে ভেলোসিটি।