টেস্ট বিশেষজ্ঞের তকমা পড়ে গিয়েছে পিঠে। তাই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলে ঋদ্ধিমানের কথা ভাবা হয়নি। ৯টি ওয়ান ডে খেলেছেন। তবে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানো হয়নি ঋদ্ধির।
আইপিএল যদি জাতীয় দলে ঢোকার অলিখিত মাপকাঠিতে পরিণত হয়, তবে ঋদ্ধির পারফর্ম্যান্স তাঁকে জাতীয় টি-২০ দলে কেন জায়গা করে দেবে না, তা নিয়ে যথাযথ যুক্তি পেশ করা মুশকিল হবে জাতীয় নির্বাচকদের পক্ষে। অবশ্য বিশ্বকাপের বছরে জাতীয় টি-২০ দলে ঢোকার জোরালো দাবি জানাতে হলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানকে।
আপাতত চোখ রাখা যাক এমন কিছু পরিসংখ্যানে, যা চলতি আইপিএলে বাকিদের থেকে ঋদ্ধিকে বেশ কিছুটা এগিয়ে রাখছে।
আসলে আইপিএল ২০২২-র পাওয়ার প্লে-তে অন্তত ১০০ বল খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ঋদ্ধিমান সাহার স্ট্রাইক-রেট তৃতীয় সর্বোচ্চ। ভারতীয়দের মধ্যে পাওয়ার প্লেতে ঋদ্ধির থেকে দ্রুত রান তুলেছেন কেবল পৃথ্বী শ। সার্বিকভাবে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
পাওয়ার প্লে-তে ওয়ার্নারের স্ট্রাইক-রেট ১৬৩.৭৯। পৃথ্বী শ পাওয়ার প্লে-তে ১৫৯.৫ স্ট্রাইক-রেটে রান তুলেছেন। প্রথম ৬ ওভারে ঋদ্ধির স্ট্রাইক-রেট ১৪৩.২৭। পাওয়ার প্লে-র ওভারে রান সংগ্রহের গড় যদি হিসাব করা হয়, তবে সেক্ষেত্রে ঋদ্ধিমান সাহা (১৪৯) সবার আগে রয়েছেন।
আরও পড়ুন:- GT vs MI: নিজেদের নাক কেটেছে আগেই, গুজরাটকে হারিয়ে পরের যাত্রাভঙ্গ জারি রোহিতদের
এমনটা নয় যে, দু-একটা ম্যাচের চমকেই ঋদ্ধির পরিসংখ্যান তাঁর হয়ে কথা বলছে। বরং ৬ ম্যাচে তাঁর ব্যক্তিগত ইনিংসগুলি ছিল সমান মূল্যবান। ঋদ্ধি ৬টি ইনিংসে সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ১১, ২৫, ৬৮, ২৯, ২১ ও ৫৫ রান। টি-২০ ক্রিকেটে ইনিংসের শুরুতেই আগ্রাসী মেজাজে ২০ রান সংগ্রহ করাও যথেষ্ট কৃতিত্বের। দলের শক্ত ভিত গড়ার পক্ষে যথেষ্ট এমন ইনিংস। সুতরাং, টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত যদি এমন পারফর্ম্যান্স জারি রাখতে পারেন ঋদ্ধিমান সাহা, তবে নির্বাচকরা ভাবতেই পারেন তাঁর কথা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।