নিজেরা আগেই প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছিল। এ বার চেন্নাই সুপার কিংসের যাত্রাভঙ্গ করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত শর্মার টিমের কাছে ৫ উইকেটে হেরে প্লে-অফে ওঠার ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ হয়ে গেল চেন্নাইয়ের। সিএসকে-র ব্যাটিং বিপর্যয়েই সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল মহেন্দ্র সিং ধোনিদের।
এ দিন টসে জিতে মুম্বইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় চেন্নাইকে। প্রথমে ব্যাট করতে নামলে পুরো ভরাডুবি হয় চেন্নাইয়ের। ব্যাটিং বিপর্যয়ের জেরে ১৬ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে অল আউট হয়ে যায় চেন্নাই। ধোনির ৩৩ বলে ৩৬ রান ছাড়া, কেউ ১৫ রানের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি।
রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই প্রথম দিকে একটু হলেও নড়বড় করছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ৩১ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করে ফেলে মুম্বই। তিলক বর্মা ৩২ বলে ৩৪ করে অপরাজিত থাকেন। আর টিম ডেভিডের ৭ বলে অপরাজিত ১৬ রান শেষ পাতে মিষ্টি মুখের মতোই ছিল।
ম্যাচ হারায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের এ বারের আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার আশা শেষ হয়ে গেল। হতাশ ধোনি ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে বেশ বিরক্ত। তিনি বলেছেন, ‘উইকেট যেমনই হোক না কেন, ১৩০-এর নীচে যে কোনও স্কোরই রক্ষা করা কঠিন।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘যখন কেউ চাপের মধ্যে ব্যাট করে, তখন প্রথম কয়েকটি ডেলিভারি গুরুত্বপূর্ণ হয়। যদি প্রথম ডেলিভারি হিট করতে চায়, ব্যাটাররা সেটা করতেই পারে। এটা বেঁচে থাকার লড়াই। যদি তারা প্রথম কয়েকটি ডেলিভারি খেলে দিতে পারে, তবে তারা টিকে যাবে। তবে আমাদের সে রকম কিছু ঘটেনি। কোনও লাভ হয়নি। এর পাশাপাশি বলব, প্রতিপক্ষ সত্যিই ভালো বোলিং করেছে এবং আমাদের পক্ষ থেকে কিছুটা লড়াই করার প্রয়োজন ছিল। আমাদের কয়েকজন ব্যাটার ভালো ডেলিভারিতে আউট হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্লে-অফের ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ CSK-এর, লিগ টেবলের অঙ্ক কী বলছে?
তবে ব্যাটিং নিয়ে বিরক্ত হলেও দুই তরুণ বোলার মুকেশ চৌধুরি এবং সিমরজিৎ সিং-এর পারফরম্যান্সে খুশি মাহি। মাত্র ৯৭ রানের লক্ষ্যের সঙ্গে চেন্নাইয়ের বোলাররা লড়াই করে জেতাতে পারেননি ঠিকই, তবে দুই ফাস্টবোলার কিন্তু চাপে ফেলে দিয়েছিল মুম্বইকে। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মুকেশ। সিমরজিৎ আবার ৪ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।
ধোনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, দুই তরুণ ফাস্ট বোলার সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। এ রকম একটি ম্যাচ এবং সেই ম্যাচে ওদের অবদান আখেরে ওদের মনের জোর বাড়াতে সাহায্য করবে। ’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা এমন একটা সময় পার করেছি, যখন বেঞ্চে সে ভাবে ফাস্ট বোলার ছিল না। সেই শক্তিটাই আমাদের ছিল না। তা ছাড়াও ফাস্ট বোলারদের ক্ষেত্রে যা হয়, তাদের পরিণত হতে সময় লাগে। আপনি যদি ভাগ্যবান হন, তবে আপনি এমন একজনকে পাবেন, যিনি ছয় মাসের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি যাই হোক না কেন, সব ফর্ম্যাটে খেলে দেবে। আমি মনে করি, আইপিএল সেই জায়গাটা তৈরি করে দিচ্ছে। এটি ওদের জন্য একটি সুযোগ এবং ওরা একটু বেশি সাহসী হয়ে উঠছে, যা এই ধরনের ফরম্যাটে গুরুত্বপূর্ণ।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।