আইপিএল নিলামে কিছু প্লেয়ার বিশাল ভাবে লাভবান হয়। তাঁদের সঙ্গে বড় অঙ্কের চুক্তি হয়। কিন্তু একই সময়ে বাকি প্লেয়ার, যাঁরা অবিক্রিত থাকেন, তাদের কাছে বিষয়টি চূড়ান্ত হতাশার হয়। প্রত্যাখ্যানের যে যন্ত্রণা বা অসম্মান, তার সঙ্গে লড়াই করাটা সহজ হয় না। পাশাপাশি প্রায় সমবয়সী ক্রিকেটার বা সতীর্থদের প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে দেখার ফলে মনে যে প্রভাব পড়ে, সেটা চিরস্থায়ী হয়ে যায়। এমনটাই মত রবিন উত্থাপ্পার।
এই বছর আইপিএলের মেগা নিলামে মোট ৫৯০জন খেলোয়াড় নিলামে অংশ নিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে মাত্র ২০৪ জন প্লেয়ারকে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনেছে। বাকিরা পরের বছর তাদের ভাগ্য পরীক্ষা করার আশায় রয়েছেন।
আর আইপিএল নিলামের এই খারাপ দিকটাই তুলে ধরেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা প্লেয়ার রবিন উত্থাপ্পা। যাঁকে চেন্নাই সুপার কিংস ২কোটি খরচ করে দলে ফিরিয়েছে। উত্থাপ্পার মতে, এই ধরনের নিলাম একজন প্লেয়ারকে মানসিক ভাবে সজোরে ধাক্কা দেয়। এই নিলাম পদ্ধতি একজন প্লেয়ারের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেছেন, ‘নিলাম যেন অনেকটা পরীক্ষার মতো বলে মনে হচ্ছে। পরীক্ষা অনেক দিন আগে হয়েছে। তারপর শুধু ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা। সত্যি বলতে, নিজেকে গরুছাগলের মতো (পণ্য) মনে হয়। এই অনুভূতিটা মোটেও সুখের নয়। যেন গোটা বিশ্ব আপনাকে উপভোগ করছে। পারফরম্যান্স নিয়ে মতামত এক জিনিস। কিন্তু আপনি কত টাকায় বিক্রি হতে পারেন, সেটা আর এক জিনিস।’
তিনি আরও দাবি করেছেন, ‘যারা নিলামে বিক্রি হয় না, তাদের উপর দিয়ে কী যায়, তা অন্যের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। সেটা কখনও সুখের হয় না। আমার তাদের জন্য খুবই খারাপ লাগে, যারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও দল পায় না। এটা হতাশাজনক। কেউ আপনার জন্য কতটা খরচ করতে রাজি, তার উপর ভিত্তি করে হঠাৎই ক্রিকেটার হিসেবে আপনার একটা মূল্য ঠিক হয়ে যায়। গত ১৫ বছর ধরে সকলে এই ব্যবস্থাটা চলে আসছে। ’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।