২১৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তুললেও প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বলেই জয়ের বিষয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া সম্ভব ছিল না সচিন তেন্ডুলকরদের। রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের প্রথম সেমিফাইনালে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালায় ক্যারিবিয়ান দল। যদিও উত্তেজক ম্যাচে শেষমেশ জয় তুলে নিতে সক্ষম হয় ইন্ডিয়া লেজেন্ডস।
ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণের শুরুটা অবশ্য মোটেও মনে রাখার মতো হয়নি। ক্যাপ্টেন সচিন ইরফান পাঠানের হাতে নতুন বল তুলে দেন। তবে ইরফানের জীবনের সম্ভবত সবথেকে খারাপ ওভার ছিল এটি। ৫টি ওয়াইড বল করেন ইরফান। সঙ্গে তিনটি বাউন্ডারি হজম করেন। ১১ বলের দীর্ঘ ওভারে পাঠান খরচ করেন ১৮ রান। সঙ্গে লেগ বাই হিসেবে ১ রান তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
স্বাভাবিকভাবেই এমন রংচটা বোলিং করলে যে কোনও অধিনায়ক অস্থা হারাতে পারেন বোলারের উপর। তবে সচিন তেন্ডুলকর সেই পথে হাঁটার লোক নন। তিনি মোটেও আস্থা হারাননি ইরফানের উপর। বরং তাঁকে চার ওভারের কোট পূর্ণ করার সুযোগ দেন। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ শেষ ওভারে, যখন হারের আতঙ্ক চেপে বসেছিল ইন্ডিয়া লেজেন্ডসের ঘাড়ে, জয়ের জন্য লারাদের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান, তখনও ইরফানকেই যোগ্য বলে মনে হয় সচিনের।
দলনায়ককে হতাশ করেননি ইরফান। শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন তিনি এবং ভারত ম্যাচ জেতে ১২ রানে।
ম্যাচের শেষ ইরফান জানান, প্রথম ওভারে চূড়ান্ত খারাপ বল করা সত্ত্বেও সচিন কী বলে আস্থা জুগিয়েছিলেন তাঁকে। টুইটারে পাঠান লেখেন, ‘একটা মাত্র খারাপ ওভারের নিরিখে আমি আস্থা হারাই না। তুমিই আমাদের জয় এনে দেবে। প্রথম ওভারে জীবনের সবথেকে খারাপ বল করার পর সচিন পাজি ঠিক এটাই বলেছিলেন। দারুণ জয় ছেলেরা।'
উল্লেখ্য, প্রথম ওভারে পাঠান খরচ করেন ১৮ রান। ১১তম ওভারে পুনরায় বল করতে এসে ইরফান ১০ রানের বিনিময়ে ডোয়েন স্মিথের উইকেট তুলে নেন। ১৩তম ওভারে ১৫ রান খরচ করেন তিনি। ৩ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া ইরফানকেই সচিন শেষ ওভার বল করতে দেন। যদিও প্রজ্ঞান ওঝা ও ইউসুফ পাঠানকে বল করানোর সুযোগ ছিল তাঁর কাছে। স্বাভাবিকভাবেই সচিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ঝরে পড়ে ইরফানের কথায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।