জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮৯। ৮.২ ওভারে ৫৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস। ১৪ ওভার শেষে ভারতীয় দলের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১০২। সুতরাং ৪ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ৬ ওভারে ভারতীয় দলকে তুলতে হতো ৮৭ রান।
এই অবস্থায় নমন ওঝা সাত নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাগআউটে ফেরার পর ইরফান পাঠানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্রিজে ঝড় তোলেন মনপ্রীত গোনি। স্লগ ওভারে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন দু'ই প্রাক্তন ভারতীয় তারকা।
ভারত শেষ ৬ ওভারে ৮০ রান তোলে এবং উত্তেজক ম্যাচে অল্পের জন্য হার মানতে হয় তাদের। তবে ইরফান ও গোনির দুরন্ত ব্যাটিং মুগ্ধ করে ক্রিকেটপ্রেমীদের। দু'জনের জন্যই ভারত লক্ষ্যের এত কাছে পৌঁছতে পারে। নাহলে ভারত একতরফাভাবে ম্যাচ হারতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছিল একটা সময়।
শেষমেশ ইংল্যান্ড লেজেন্ডসের ৭ উইকেটে ১৮৮ রানের জবাবে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের ইনিংস শেষ করে ৭ উইকেটে ১৮২ রানে। ৬ রানে ম্যাচ হারতে হয় ভারতীয় দলকে।
ইন্ডিয়া লেজেন্ডসের হয়ে ব্যাট হাতে এদিন ব্যর্থ হন সচিন (৯), সেহওয়াগ (৬), কাইফ (১), বদ্রিনাথরা (৮)। যুবরাজ করেন ২১ বলে ২২ রান। ইউসুফ পাঠান ১৫ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। নমন ওঝা ১০ বলে ১২ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। ইরফান ৩৪ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। মনপ্রীত গোনি ১৬ বলে ৩৫ রান করে নট-আউট থাকেন। তিনি ১টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। মন্টি পানেসর ৩টি ও ট্রেডওয়েল ২টি উইকেট নেন।
তার আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন কেভিন পিটারসেন। মাত্র ১৮ বলে ব্যাক্তিগত অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকে যান তিনি। ৫০ রানে পৌঁছতে কেপি ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। শেষমেশ ৬টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৭৫ রান করে আউট হন পিটারসেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন কেভিন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।