তাঁরা বহুদিন এক সঙ্গে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দু’জনেই খুব ভাল বন্ধু। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিলিত হয়ে সেলিব্রেশন করা, হইহুল্লোরে মেতে থাকা। সবই এক সঙ্গে করে এসেছেন। কিন্তু ভোটের আবহে সেই বন্ধুত্বে কি হঠাৎ করেই চিড় ধরল? মনোজ তেওয়ারি আর অশোক দিন্দার বন্ধুত্বের ভাঙন নিয়ে এ বার শুরু হয়েছে চাপা গুঞ্জন।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মনোজ তেওয়ারি তৃণমূলের প্রার্থী। হাওড়ার শিবপুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আর বিজেপি-র হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় দাঁড়িয়েছে অশোক দিন্দা। স্বাভাবিক ভাবে ভোটের ময়দানে দু’জনে বিপরীত মেরুতে। এতে কি দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বে ভাঙন ধরবে? মনোজ অবশ্য এ কথা মানতে রাজি নন। বরং তাঁর ব্যাখ্যা, ‘দু’জনের আদর্শগত মিল না-ই হতে পারে। তার জন্য বন্ধুত্ব কেন ভেঙে যাবে? আমার দিক থেকে এই সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার বিষয় নেই। আশা করি, ওর-ও সমস্যা হবে না।’
ভোটের প্রচারে চূড়ান্ত ব্যস্ত মনোজ। তার মধ্যেই বন্ধুর প্রসঙ্গ উঠতেই অনর্গল তিনি। দিন্দাকে নিয়ে কথা উঠতেই পুরনো স্মৃতি হাতড়াতে শুরু করেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। বলছিলেন, ‘আমরা যে শুধু একসঙ্গে বাংলার হয়ে খেলেছি তা নয়। আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভাল। একই জায়গায় থাকি। একসঙ্গে ঘুরতে যাই। বিভিন্ন অনুষ্ঠান একসঙ্গে সেলিব্রেট করি। আমরা একে অপরের সঙ্গে কত সাফল্য-ব্যর্থতা ভাগ করে নিয়েছি। ভোটের লড়াই আলাদা জায়গায়। বন্ধুত্ব আলাদা জায়গায়।’
শেষে মনোজ যোগ করেন, ‘বিধানসভা ভোটের আগে অবশ্য দু’জনের মধ্যে কথা বন্ধ।’ পরে অবশ্য হাসতে হাসতে নিজেই বলেন, ‘আসলে এখন আমরা দু’জনেই প্রচার নিয়ে খুব ব্যস্ত। দম ফেলার সময় নেই কারও। আলাদা আলাদা জায়গায় প্রচারে বের হচ্ছি। দলীয় কর্মসূচী থাকছে। তাই আর কী! আমি তো কাউকেই আলাদা করে কথা বলার জন্য সময় দিতে পাচ্ছি না। ওর-ও নিশ্চয়ই একই অবস্থা।’