অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারতের পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহম্মদ শামি। স্পিনার অধ্যুষিত নাগপুর টেস্টে তিনি নিয়েছেন ৩টি উইকেট। মহম্মদ শামির সিম পজিশনের কারণে তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গত এক দশকে একাধিকবার টিম ইন্ডিয়ার হয়ে এককভাবে ম্যাচ জিতিয়েছেন শামি। তবে তাঁর কেরিয়ার একটা সময়ে অন্ধকারের মধ্যে চলে যাচ্ছিল।
কয়েক দিন আগেই দীনেশ কার্তিক বলেছিলেন যে, বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার মতো তিনিও শামির বলের মুখোমুখি হতে পছন্দ করতেন না। তারা সকলেই নেটে তাঁকে এড়িয়ে যেতেন। মহম্মদ শামির মতো তারকা ক্রিকেটার মাঠে যতই সাফল্য পেয়ে থাকুন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব একটা বেশি শান্তি পাননি। মহম্মদ শামির জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়টা ছিল ২০১৮ সাল। ভারতীয় পেসারের স্ত্রী হাসিন জাহান তাঁর বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন।
আরও পড়ুন… দুর্বল টিম কখনও রঞ্জি ফাইনাল খেলে না- ইডেনের পিচ থেকে ফাইনাল খেলার সিদ্ধান্ত, মুখ খুললেন উনাদকাট
এতে গার্হস্থ্য সহিংসতা, ম্যাচ ফিক্সিং এবং পাকিস্তানের একজন মহিলার সঙ্গে মেলামেশার অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই সময়ে মহম্মদ শামির সঙ্গে কী চলছিল তা প্রকাশ করেছেন তাঁর সতীর্থ বোলার ইশান্ত শর্মা। তাঁর মতে, ‘শামি এই বিষয়ে আমার সঙ্গে অনেক কথা বলেছিলেন। ঘটনার পর বিসিসিআই-এর দুর্নীতি দমন ইউনিট দলের সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা মহম্মদ শামির বিষয়ে তথ্য চেয়েছিলেন। মানে কি ম্যাচ ফিক্সিং করতে পারে শামি? এটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার সময় জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলির মতো ছিল।’
ইশান্ত শর্মা জানিয়েছেন, বিসিসিআই-এর দুর্নীতি দমন ইউনিট টিম ইন্ডিয়ার প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাদের তরফ থেকে শামি ম্যাচ ফিক্সিং করতে পারে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছিল। এছাড়াও, নানা কাগজে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছিল। ক্রিকবাজের শোতে ইশান্ত শর্মা বলেছিলেন, ‘তারা আমাকে অনেক প্রশ্ন করছিল এবং কাগজে সবকিছু লিখছিল। আমি সেই লোকদের বলেছিলাম যে আমি শামির ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানি না, তবে আমি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত যে সে ম্যাচ ফিক্সিং করতে পারে না। আমি তাঁকে খুব ভালো করে চিনি বলেই বলছি।’ ইশান্তের মতে, যখন মহম্মদ শামি জানতে পারলেন যে আমি তাঁকে নিয়ে কী ভাবছি, আমাদের সম্পর্ক আরও ভালো হয়ে গেল।
আরও পড়ুন… BPL 2023: সাজঘরে ধূমপান করে রেহাই পেলেন না BCB-র ডিরেক্টর, খালেদ মাহমুদকে ফাইন করল বোর্ড
হাসিন জাহানের অভিযোগ ছিল যে মহম্মদ শামি এক পাকিস্তানি মহিলার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এর পরে, বিসিসিআই শামিকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বের করে দেয় এবং অভিযোগের তদন্ত করে। তবে সব অভিযোগ থেকে সরে এসেছেন শামি। তিনি মাঠে দৃঢ় প্রত্যাবর্তন করেন এবং জানান তিনি কী মাটির তৈরি। বর্তমানে মহম্মদ শামি এবং হাসিন জাহান দুজনেই আলাদা থাকেন। বছরের পর বছর ধরে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বহুবার বিষয়টি আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে। যদিও শামি এত সমস্যা সত্ত্বেও নিজেকে সামলেছেন এবং তিনি ক্রমাগত ভালো পারফর্ম করছেন। ২০১৮ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার পর, শামি ২০১৯ বিশ্বকাপে বিস্ময়কর কাজ করেছিলেন। শামি মাত্র ৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন, যার মধ্যে একটি হ্যাটট্রিক ছিল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।