
ISL 2020-21: ফিরতি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করল এটিকে-মোহনবাগান
Updated: 19 Feb 2021, 09:28 PM IST- বাগানের হয়ে গোল করেন কৃষ্ণা, উইলিয়ামস ও জাভি।
আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বিতে মোহনবাগান ২-০ গোলে পরাজিত করে ইস্টবেঙ্গলকে। এবার ফিরতি বড় ম্যাচেও জয় পেল সবুজ-মেরুন শিবির।
ডার্বি জয়ের সুবাদে ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল এটিকে-মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল ১৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরেই থেকে গেল।
প্রথম লেগের বড় ম্যাচে এটিকে-মোহনবাগান ২-০ গোলে জয়লাভ করেছিল। ফিরতি ডার্বিতে মোহনবাগান ৩-১ গোলে পরাজিত করে ইস্টবেঙ্গলকে। ১৫ মিনিটে কৃষ্ণার গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ৪১ মিনিটে তিরির আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। ৭২ ও ৮৯ মিনিটে বাগানের হয়ে পরের দু'টি গোল করেন যথাক্রমে ডেভিড উইলিয়ামস ও জাভি হার্নান্ডেজ।
রেফারি লম্বা বাঁশিয়ে জানিয়ে দিলেন, আইএসএলের ফিরতি কলকাতা ডার্বি শেষ।
ইনজুরি টাইমে হলুদ কার্ড দেখলেন ড্যানি ফক্স।
সংযোজিত সময়ে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের অঙ্কিত।
ইনজুরি টাইমে মনবীরকে তুলে নিয়ে প্রবীরকে মাঠে নামায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় যোগ হয়।
৮৯ মিনিটে জাভি হার্নান্ডেজের গোলে ৩-১ লিগ নেয় মোহনবাগান। সুপরিকল্পিত আক্রমণে বাজিমাত এটিকের। কৃষ্ণার অসাধারণ ক্রস থেকে হেডে গোল করেন ৬৬ মিনিটে মার্সেলিনবোর পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা জাভি।
৮৮ মিনিটে মোহনবাগান উইলিয়ামসকে তুলে নিয়ে প্রণয়কে মাঠে নামায়। তার আগে অবশ্য হলুদ কার্ড দেখেন উইলিয়ামস।
৭৮ মিনিটে স্টেনম্যামনকে তুলে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল মাঠে নামায় জোশুয়াকে।
৭৬ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় কুলিং ব্রেকে দু'দলের ফুটবলাররা।
৭২ মিনিটে উইলিয়ামসের গোলে ২-১ এগিয়ে গেল মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল ঢিফেন্ডারদের ভুল বক্সের মধ্যেই বল পেয়ে যান রয় কৃষ্ণা। তিনি নিজে না শট নিয়ে বল বাড়িয়ে দেন উইলিয়ামসের দিকে। অরক্ষিত উইলিয়ামস বল ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি।
৬৬ মিনিটে মার্সেলিনহোর পরিবর্তে মোহনবাগান মাঠে নামায় হার্নান্ডেজকে।
৬৪ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন মোহনবাগানের সন্দেশ ঝিঙ্গান।
৬২ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেলেন ইস্টবেঙ্গলের পিলকিংটন।
৬০ মিনিটের খেলা অতিক্রান্ত। ম্যাচ এখনও ১-১ সমতায়।
৫০ মিনিটে ম্যাকহিউয়ের বাড়িয়ে দেওয়া বলে শট নেন উইলিয়ামস। বল ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
৪৭ মিনিটে ব্রাইটের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।
৪৬ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
বিরতির পর পুনরায় ম্যাচ শুরু।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় দাঁড়িয়ে।
প্রথমার্ধে ৩ মিনিট সময় যোগ হয়।
৪৪ মিনিটে মনবীর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মনবীরের শটে নিয়ন্ত্রন ছিল না।
৪১ মিনিটে রাজু গায়কোয়াড়ের লং থ্রোয়ে হেডে বল নিজেদের জালেই জড়িয়ে বসেন তিরি। ইস্টবেঙ্গল ১-১ সমতায় ফেরে।
৩৮ মিনিটে কার্ল ম্যাকহিউয়ের বাড়িয়ে দেওয়া বল ধরে শট নেন কৃষ্ণা। তবে তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৩৪ মিনিটের মাথায় মার্সেলিনহো বল বাড়িয়ে দেন কৃষ্ণার দিকে। সতর্ক ফক্স বিপদ হতে দেননি।
৩০ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম কুলিং ব্রেকে ফুটবলাররা।
৩১ মিনিটে ড্যানি ফক্সের হেডার লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৩০ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন বাগানের কার্ল ম্যাকহিউ।
২৬ মিনিটের মাথায় হাওয়া ভেসে আস বল দখলে মরিয়া প্রীতম লাফিয়ে ওঠেন। তাঁর কনুই লাগে পিলকিংটনের পিঠে। রেফারি ফ্রি-কিকের নির্দেশ দেন।
২৩ মিনিটের মাথায় মার্সেলিনহোর শট প্রতিহত করেন সুব্রত পাল। বক্সের মধ্যে ডেভিড উইলিয়ামসের কাছ থেকে বল পেয়ে জোরালো শট নেন মার্সেলিনহো। সুব্রতকে পরাস্ত করা যায়নি। অঙ্কিত বল ক্লেয়ার করেন।
২০ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের আক্রমণ প্রতিহত করে ইস্টবেঙ্গল। শুরুতে গোল পেয়ে যাওয়া মোহনবাগানের একতরফা দাপট বজায়।
১৮ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রাইট।
১৫ মিনিটের মাথায় কৃষ্ণার গোলে ১-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। তিরির লং বল ধরে কৃষ্ণা পরাস্ত করেন ইস্টবেঙ্গলের শেষ ডিফেন্স সুব্রত পালকে।
৫ মিনটের মাথায় মার্সেলিনহোর বাড়ানো বল ধরার জন্য তাড়াহুড়ো করে ফেলেন তিরি। রেফারি অফসাইডের নির্দেশ দেন।
জাতীয় সঙ্গীতের পর রেফারির বাঁশিতে খেলা শুরু।
সুব্রত পাল (গোলকিপার), অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, সার্থক গোলুই, রাজু গায়কোয়াড়, ড্যানি ফক্স (ক্যাপ্টেন), নারায়ন দাস, মাত্তি স্টেনম্যান, সৌরভ দাস, অ্যান্থনি পিলকিংটন, জ্যাক ম্যাঘোমা, ব্রাইট।
অরিন্দম ভট্টাচার্য (গোলকিপার), শুভাশিস বোস, প্রীতম কোটাল (ক্যাপ্টেন), সন্দেশ ঝিঙ্গান, তিরি, লেনি রডরিগেজ, মনবীর সিং, ডেভিড উইলিয়ামস, কার্ল ম্যাকহিউ, রয় কৃষ্ণা ও মার্সেলিনহো।