
ISL 2020-21: পিলকিংটনের ভুলে ম্যাচ জেতা হল না ইস্টবেঙ্গলের
Updated: 29 Jan 2021, 09:37 PM IST- বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে ১ পয়েন্ট এনে দেন ফক্স।
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম লেগের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ফিরতি লেগেও ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র হয়। গোয়া টুর্নামেন্টের শেষ ৭ ম্যাচে অপরাজিত থাকে। ইস্টবেঙ্গল জয়হীন থেকে যায় ৪ ম্যাচে।
ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করলেও ইস্টবেঙ্গলকে থেকে যেতে হয় ১০ নম্বরেই। ১৪ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। লিগ টেবিলে অবস্থান বদল হয়নি গোয়ারও। ১৪ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তারা থেকে যায় তিন নম্বরেই।
পিলকিংটনের ভুলে ম্যাচ জেতা হল না ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় লাল-হলুদ শিবির। বল বাইরে মারেন পিলকিংটন। ৩৯ মিনিটে গোল করে গোয়াকে ১-০ এগিয়ে দেন ইগর আঙ্গুলো। ৬৫ মিনিটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ১-১ সমতায় ফেরান ড্যানি ফক্স। ড্র ম্যাচ থেকে উভয় দল ১ পয়েন্ট করে ভাগ করে নেয়।
লম্বা বাঁশিতে ম্যাচ শেষের নির্দেশ রেফারির। প্রথম লেগের মতোই ফিরতি লেগেও এফসি গোয়া বনাম এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়। শেষ মুহূর্তে ধীরাজ ইস্টবেঙ্গলের আরও একটি আক্রমণ প্রতিহত করেন।
ইনজুরি টাইমে জর্জকে তুলে নিয়ে গোয়া মাঠে নামায় ইশানকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫ মিনিট সময় সংযোজিত হয়।
৯০ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ড্যানি ফক্স।
৮৭ মিনিটে ম্যাঘোমাকে তুলে নিয়ে অ্যারনকে মাঠে নামায় ইস্টবেঙ্গল।
৭৯ মিনিটে আঙ্গুলোকে তুলে নিয়ে দেবেন্দ্রকে মাঠে নামায় গোয়া। জেসুরাজের পরিবর্তে মাঠে নামেন রেদীম।
৭৫ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় কুলিং ব্রেকে ফুটবলাররা।
৭৫ মিনিটে হরমনপ্রীতের শট প্রতিহত করেন ধীরাজ।
৭৪ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের স্কট নেভিল।
৭৩ মিনিটে জেজেকে তুলে নিয়ে হরমনপ্রীতকে মাঠে নামায় ইস্টবেঙ্গল।
৬৬ মিনিটের মাথায় ম্যাচে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখেন এডু বেদিয়া। ফলে তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন রেফারি। বাকি সময়ে গোয়াকে খেলতে হবে দশ জনে।
৬৫ মিনিটে ড্যানি ফক্সের গোলে ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। পিলকিংটনের কর্ণার শট নিজের আয়ত্তে নিতে ব্যর্থ হন ধীরাজ। বল হাত পিছলে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক তা গোয়ার জালে জড়িয়ে দেন।
৬০ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন গোয়ার স্যাভিওর গামা।
৫৩ মিনিটের মাথায় আলবার্তোর শট ইস্টবেঙ্গল পোস্ট এড়িয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। ইস্টবেঙ্গল রানা ঘরামীকে তুলে নিয়ে লুয়াংকে মাঠে নামায়।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। ১-০ গোলে এগিয়ে এফসি গোয়া।
প্রথমার্ধে ২ মিনিট অতিরিক্ত সময় যোগ হয়।
৩৯ মিনিটের মাথায় ইগর আঙ্গুলোর গোলে ১-০ এগিয়ে যায় গোয়া। আলবার্তোর পাস থেকে গোল করেন ইগর।
৩৭ মিনিটে অর্টিজের ফ্রি-কিক শট প্রতিহত করেন দেবজিৎ।
৩২ মিনিটের মাথায় রফিককে তুলে নিয়ে অঙ্কিতকে মাঠে নামায় ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের ২৯ মিনিটের মাথায় প্রথম কুলিং ব্রেকে ফুটবলাররা।
২৭ মিনিটের মাথায় ব্রাইটের সাজিয়ে দেওয়া বলে পা ঠেকাতে ব্যর্থ হন পিলকিংটন। গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল।
৯ মিনিটের মাায় গোয়া অধিনায়ক এডুর ফ্রি-কিক শট মাঠের বাইরে বেরিয়ে যায়।
৭ মিনিটের মাথায় জেসুরাজের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৫ মিনিটের মাথায় আঙ্গুলোর শট প্রতিহত করেন দেবজিৎ মজুমদার। ইস্টবেঙ্গলের পতন রোধ করেন তিনি।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই লিড নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল। ১৯ সেকেন্ডের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে যায় লাল-হলুদ শিবির। তবে স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন পিলকিংটন। ধীরাজ যথাযথ অনুমান করতে না পারলেও ২ মিনিটের মাথায় স্পট কিক থেকে বল বাইরে মারেন পিলকিংটন।
জাতীয় সঙ্গীতের পর রেফারির লম্বা বাঁশিতে ম্যাচ শুরু।
ধীরাজ সিং (গোলকিপার), স্যাভিওর গামা, ডোলিং, মহম্মদ আলি, আদিল খান, আলবার্তো নগুয়েরা, জর্জ অর্টিজ, প্রিন্সটন রেবেলো, আলেকজান্ডার জেসুরাজ, এডু বেদিয়া (ক্যাপ্টেন), ইগর আঙ্গুলো।
দেবজিৎ মজুমদার (গোলকিপার), রানা ঘরামী, ড্যানি ফক্স (ক্যাপ্টোন), স্কট নেভিল, নায়ারন দাস, অজয় ছেত্রী, মহম্মদ রফিক, জ্যাকস ম্যাঘোমা, অ্যান্থনি পিলকিংটন, ব্রাইট, জেজে লালপেখলুয়া।