
ISL 2020-21: জ্যাকসনের ইনজুরি টাইমের গোলে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের স্বপ্ন চুরমার
Updated: 20 Dec 2020, 09:40 PM IST- শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে জেতা ম্যাচ ১-১ ড্র করে লাল-হলুদ শিবির।
আইএসএলে ৫ ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত একটিও ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। একই কথা প্রযোজ্য কেরালা ব্লাস্টার্সের ক্ষেত্রেও। যদিও কেরালা দু'টি ম্যাচ ড্র করেছে। ইস্টবেঙ্গল হেরেছে চারটি ম্যাচে।
কেরালার কাছ থেকে ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করায় ইস্টবেঙ্গল ৬ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ১০ নম্বরে উঠে আসে। ১১ নম্বরে নেমে যায় ওড়িশা এফসি। কেরালা ৬ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ কর যথারীতি ৯ নম্বরে থাকে।
কার্যত শেষ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও ম্যাচ জিততে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। ৬ ম্যাচে এই নিয়ে দু'টি ড্র করে ইস্টবেঙ্গল। জয় অধরা কেরালাও। যদিও তাদের ক্ষেত্রে এই ফলাফল ইতিবাচক। নিশ্চিত হার বাঁচিয়ে ইস্টবেঙ্গলের কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নেয় কেরালা। তারা ৬ ম্যাচে এই নিয়ে তিনটি ড্র করে।
রেফারি লম্বা বাঁশিতে জানিয়ে দেন ম্যাচ শেষ। ম্যাচের ১ মিনিট বাকি থাকতে গোল হজম করে জেতা ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করে ইস্টবেঙ্গল।
জোর ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলের জয়ের স্বপ্নে। ইনজুরি টাইমে আব্দুল সামাদের পাস থেকে গোল করেন কেরালার জ্যাকসন সিং। ৯০+৫ মিনিটে গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে কেরালাকে ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরান জ্যাকসন।
৯০+৩ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের স্কট নেভিল।
চতুর্থ রেফারি দ্বিতীয়ার্ধে ৬ মিনিট ইনজুরি টাইমের নির্দেশ দেন।
৮৭ মিনিটে ম্যাঘোমার শট বাঁচান কেরালা গোলরক্ষক।
৮৪ মিনিটে রফিককে তুলে নিয়ে লুয়াংকে মাঠে নামায় ইস্টবেঙ্গল।
৮৪ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ড্যানি ফক্স।
৭৯ মিনিটে চোট পান কোনে। ৮২ মিনিটে তাঁকে তুলে নিয়ে লালথাথাঙ্গাকে মাঠে নামায় কেরালা।
৭৫ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় কুলিং ব্রেকে দু'দলের ফুটবলাররা।
৭২ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের সুরচন্দ্র সিং।
৭১ মিনিটে আব্দুল সামাদ বল বাড়িয়ে দেন মারের উদ্দেশ্যে। মারে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন ইস্টবেঙ্গলের পোস্ট লক্ষ্য করে। দুরন্ত সেভ করেন দেবজিৎ মজুমদার।
৭০ মিনিটে হাওবামকে তুলে নিয়ে ইয়ুমনামকে মাঠে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলার।
৬২ মিনিটে মাত্তির পাস থেকে বল ধরে গড়ানো শটে গোল করার চেষ্টা করেন রফিক। তবে কেরালা গোলরক্ষক আক্রমণ প্রতিহত করেন।
৫৮ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন কেরালার বাকারি কোনে।
৫১ মিনিটে পেরেইরার কর্ণার কিক হেডে ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়ানোর চেষ্টা করেন কোনে। তবে বল সাইড নেটে গিয়ে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের একসঙ্গে তিনটি পরিবর্ত মাঠে নামায় কেরালা। রোহিত কুমারের বদলে মাঠে নামেন জ্যাকসন সিং, সত্যসেনের পরিবর্তে মাঠে নামেন আব্দুল সামাদ ও গ্যারি হুপাদের বদলে মাঠে নামেন জর্ডন মারে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। বিরতিতে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে এগিয়ে।
চতুর্থ রেফারি প্রথমার্ধে ৩ মিনিটের ইনজুরি টাইমের নির্দেশ দেন।
৩৫ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের হাওবাম সিং।
৩১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম কুলিং ব্রেকে উভয় দলের ফুটবলাররা।
৩০ মিনিটে জেসেলের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট।
২৪ মিনিটে গোমেজের দূরপাল্লার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
১৬ মিনিটের মাথায় পিলকিংটন ব্যবধান দ্বি-গুন করার চেষ্টায় ছিলেন। তবে তাঁর শট কেরালা ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়। কর্ণার পায় ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৩ মিনিটে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ শিবির। রফিকের আক্রমণ এড়ানোর চেষ্টায় বাকারি কোনের নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন।
১৩ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন কেরালার রাহুল কেপি।
১১ মিনিটে কেরালা অধিনায়ক কোস্তার হেডার ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
৯ মিনিটের মাথায় কেরালার পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন হাওবাম। তবে কেরালা গোলরক্ষক বিচক্ষণতার সঙ্গে আক্রমণ প্রতিহত করেন।
৩ মিনিটের মাথায় ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে প্রথম শট নেয় ইস্টবেঙ্গল। পিলকিংটনের বাড়ানো বল ধরে মাত্তি শট নেন কেরালার পোস্টের উদ্দেশ্যে। বল প্রতিহত হয় ডিফেন্সে। শেষ পর্যন্ত বল চলে যায় আলবিনোর দস্তানায়।
জাতীয় সঙ্গীতের পর রেফারির বাঁশিতে ম্যাচ শুরু।
আলবিনো গোমেজ (গোলকিপার), বাকারি কোনে, নিশু কুমার, সত্যাসেন সিং, রোহিত কুমার, ফাকুন্দ পেরেইরা, জেসেল কারনেইরো, রাহুল কেপি, বিসেন্ত গোমেজ, কোস্তা (ক্যাপ্টেন), গ্যারি হুপার।
দেবজিৎ মজুমদার (গোলকিপার), স্কট নেভিল, ড্যানি ফক্স (ক্যাপ্টেন), মাত্তি স্টেনম্যান, মহম্মদ রফিক, জ্যাকস ম্যাঘোমা, অ্যান্থনি পিলকিংটন, বিকাশ জাইরু, শেহনাজ সিং, সুরচন্দ্র সিং, হাওবাম সিং।