শুভব্রত মুখার্জি
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাব আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবকেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। ভারতীয় ফুটবলেও করোনার বিরূপ প্রভাব পড়েছে। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে প্রায় প্রত্যেকটি ক্লাবকে। বেঙ্গালুরুও সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি।
ভারতীয় ফুটবলে এবার যুক্ত হল নতুন মাত্রা। বেঙ্গালুরু এফসির কর্ণধার পার্থ জিন্দাল আর্থিক ক্ষতির সমস্যা নিয়ে চিঠি দিয়েছেন আইএসএলের চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানিকে। চিঠিতে ক্লাবের আর্থিক ক্ষতির কথা তুলে ধরেছেন জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্তা। তাঁর দাবি, প্রতি বছর ক্লাবকে প্রায় ২৫ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সামলাতে হচ্ছে।ফলে প্রশ্ন উঠেছে ভারতীয় ফুটবলে অন্যতম সফল ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসির এই অবস্থা হলে বাকি ক্লাবগুলির কী দশা ! নীতা আম্বানিকে পাঠানো চিঠিতে পার্থ জিন্দাল লিখেছেন, করোনার কারণে এবার গোয়ায় বায়ো-বাবলে খেলা হচ্ছে। খেলাগুলো হচ্ছে দর্শকশূন্যভাবে। ফলে টিকিট বিক্রি করে আয়ের কোন জায়গা নেই। করোনার বাজারে স্পনসরশিপও অনেক কমেছে। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার জন্য খরচও বেড়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ২৫ কোটিরও বেশি দাঁড়িয়েছে ।
এই পরিস্থিতি সামলে ভবিষ্যতে কীভাবে এগোনো উচিত, কীভাবে এগোলে এই ধাক্কা সামলানো যাবে, সে ব্যাপারে নীতা আম্বানির পরামর্শ চেয়েছেন বেঙ্গালুরুর কর্ণধার। প্রসঙ্গত প্রতি বছর আইএসএল দলগুলির খরচ হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ক্লাবগুলি সবমিলিয়ে আয় করতে পারে ২০-২৫ কোটি টাকা। ফলে সবকটি দল কার্যত ক্ষতি স্বীকার করেই খেলছেন। করোনার কারণে সেই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এবার বেড়েছে। আর্থিক কারণে এফসি পুণে সিটি ক্লাব বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। দিল্লি ডায়নোমোস জায়গা পরিবর্তন করে চলে গিয়েছে ওড়িশায়। ফলে বলা যেতে পারে, জিন্দালের চিঠিতে আইএসএলের আর্থিক মডেল বড় প্রশ্নের সামনে পড়ে গেল।