শুভব্রত মুখার্জি
এটিকে মোহনবাগান পারলেও এই মরশুমে এসসি ইস্টবেঙ্গল-সহ আইএসএলের আরও কয়েকটি দল যে ক্লাব লাইসেন্সিং পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি, তা কয়েকদিন আগেই অফিশিয়ালি জানা হয়ে গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিযায় একটি পোস্ট করে এটিকে-মোহনবাগানের তরফে জানানো হয়েছিল, আগামী মরশুমের জন্য সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে এএফসি এবং জাতীয় লাইসেন্স পেয়েছে।
আইএসএলে খেলা ক্লাবগুলির মধ্যে এসসি ইস্টবেঙ্গল, ওড়িশা এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি এবং হায়দরাবাদ এফসিও এই লাইসেন্সিং পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। অপরদিকে এটিকে-মোহনবাগান, এফসি গোয়া, বেঙ্গালুরু এফসি, জামশেদপুর এফসি, চেন্নাইয়িন এফসি এবং মুম্বই সিটি এফসি ২০২০-২১ মরসুমের জন্য এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিং এবং জাতীয় লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এখানেই চাপে পড়ে গিয়েছে বাকি দলগুলির উপর।
এই অবস্থায় পাশ না করতে পারা দলগুলির সামনে দুটি রাস্তা খোলা ছিল। এক, ফেডারেশনের ক্লাব লাইসেন্সিং অ্যাপিলস বডির কাছে এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো। দুই, তাদের অব্যাহতি দিয়ে এবারের মরশুমে এএফসি ও জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় খেলতে দেওয়া হয়। তবে দ্বিতীয় পথই বেছে নিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই মরশুমে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সোমবার আবেদন করে ফেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, তারা যাবতীয় নথিপত্র তারা জমা দিয়েছিল। তবে লাইসেন্সিংয়ের শর্তাবলী পূরণ হয়নি। আবেদন করা হয়েছে এবারের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে এসসি ইস্টবেঙ্গল বাদে বাকি ক্লাবগুলি আগেই মুচলেখা দিয়েছিল যে তারা ২০২১ সালের মধ্যে ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের সব শর্ত পূরণ করবে।
উল্লেখ্য লাইসেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে মূলত পাচটি বিষয় দেখা হয়। ১) খেলাধুলোর পরিকাঠামো, ২) নিযুক্ত প্রতিনিধিগণ, ৩) প্রশাসন, ৪) আইনি এবং ৫) আর্থিক দিক। এছাড়াও প্রতিটি বিভাগের একাধিক উপ-বিভাগ আছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।