এটিকে মোহনবাগান-মুম্বই সিটি এফসি-র ম্যাচকে ঘিরে ছিল তখন চূড়ান্ত উন্মাদনা। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের খেলা চলছিল। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ তখন জমে উঠেছে। এই সময় হঠাৎ করেই দেখা যায় সবুজ-মেরুনের শুভাশিস বসুর সঙ্গে সংঘর্ষে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মুম্বইয়ের রানাওয়াদে। টিভির পর্দায় দেখা যায়, সংঘর্ষের পর সঙ্গে সঙ্গেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন রানাওয়াদে। শনিবার গোয়ার ফতোরদায় হঠাৎ করেই যেন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় । দু’দলের প্লেয়ারদের হাত জোর করে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ার রানাওয়াদেকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনা যেন আরও একবার জুনিয়রের মৃত্যুকে মনে করিয়ে দিয়েছিল। সেই সময় ডেম্পোর গোলকিপার ছিলেন অভিজিৎ মণ্ডল। জুনিয়রের ঘটনাটি তাঁর সামনেই ঘটে। এ দিন অভিজিৎকে ফোন করা হলে বলছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, রানাওয়াদেকে ওই ভাবে অজ্ঞান অবস্থায় চোখ উল্টিয়ে থাকতে দেখে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে পড়ে গিয়েছিল জুনিয়রের মুখটা। ওরও তো চোখ উল্টে গিয়েছিল। কিছুতেই জুনিয়রকে আর ফেরাতে পারিনি। রানাওয়াদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। চাই না, ভারতীয় ফুটবলে আর জুনিয়রের মতো ঘটনা ঘটুক।’
দীর্ঘ দিন ডেম্পোতে খেলেছেন দেবব্রত রায়। যদিও জুনিয়রের ঘটনার সময়ে তিনি মাহিন্দ্রাতে খেলতেন। তবে সুব্রত পালের কাছের বন্ধু ছিলেন বলে, পুরো ঘটনার সঙ্গে দেবব্রতও যেন জড়িয়ে গিয়েছিলেন। এ দিন তিনি বলছিলেন, ‘আমি সুব্রতর যন্ত্রণাটা সেই সময় কাছ থেকে দেখেছিলাম। সবাই ওকে কাঠগড়ায় তুলেছিল। একে জুনিয়রের মতো প্লেয়ারের মৃত্যুর যন্ত্রণা, তার সঙ্গে সুব্রতর কঠিন লড়াই, খুব খারাপ সময় গিয়েছে। সেই রকম ঘটনা আর চাই না। রানাওয়াদের অজ্ঞান হওয়ার দৃশ্য দেখে সত্যিই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক, এটুকুই চাওয়া।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।